জনসংখ্যা গোলমাল ও বয়স চুরির বিপদ

বাংলাদেশের প্রকৃত জনসংখ্যার চেয়ে ৬৪ লাখ বেশি নিবন্ধিত হয়েছে। ৫-১০ হাজার নয়, ৬৪ লাখ বেশি? গত ৬ অক্টোবর প্রথম আলোয় শিরোনাম হয়েছিল ‘জনসংখ্যার চেয়ে জন্মনিবন্ধন বেশি’। আবার গত ৬ জানুয়ারি একই পত্রিকায় ছাপা হয়েছে যে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের প্রতি চারজনে একজনের জন্মই নিবন্ধিত নেই। এই বাদ পড়া শিশুদেরও যুক্ত করা হলে দেশের জনসংখ্যার হিসাব ২২ থেকে ২৩ কোটিতে ঠেকবে। জনসংখ্যাচিত্র এ রকম হওয়ার কোনোই কারণ নেই। স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে, জন্মনিবন্ধন নির্ভুল হয়নি। তাতে অসংখ্য গলদ আছে।

জন্মনিবন্ধন হালনাগাদ করার পেছনে গত তিন দশকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি ছাড়াও বেশ কিছু দেশি-বিদেশি উন্নয়ন-সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় বাংলাদেশের সরকারগুলো জন্মনিবন্ধনকে অন্যতম দরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কারণ, নাগরিক পরিচিতি হতে শুরু করে কমপক্ষে ১৬টি অত্যাবশ্যক পরিষেবা পেতে জন্মনিবন্ধন সর্বপ্রথম প্রয়োজন। নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র কার্ড ডিজিটাইজেশন হচ্ছে। প্রশ্নটি হচ্ছে, জন্মনিবন্ধন সর্বজনীন করতে গিয়ে ‘নির্ভুল জন্মনিবন্ধন’ বিষয়টিতে মূল গুরুত্ব আরোপ করা হয়নি কেন?

জন্মনিবন্ধন সঠিক না হলে জীবন নির্বাহে, বিশেষত স্বাস্থ্যব্যবস্থায় নানা রকম বিপর্যয় নেমে আসে। সম্ভবত সে কারণেই বাংলাদেশ সরকারের টনক নড়েছে। ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পত্রিকায় খবর হয়েছে যে ‘নির্ভুল জন্মনিবন্ধন’ নিশ্চিত করার জন্য জরুরি সরকারি নির্দেশনা এসেছে। কিন্তু এই বিশাল বিশাল ভুল কীভাবে শুদ্ধ করা হবে? এ প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে বয়স চুরির গতি-প্রকৃতি-বাস্তবতা আমলে নেওয়া প্রয়োজন।

বয়স চুরি কেন ও কীভাবে হয়?
ঘটনাটি ১৯৯৫ সালের। দেশের প্রথম সারির একটি এনজিওর মাতৃ, শিশুস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা প্রকল্পের তথ্য সংগ্রহ চলছিল। তথ্যদাতারা সবাই বিবাহিত হতদরিদ্র নারী। এনজিওটির একদল নারী মাঠকর্মী মিরসরাইয়ের দূরবর্তী একটি গহিন গ্রামে গেলেন। তাঁরা নারীদের নাম-ধাম, বয়স, সন্তানের সংখ্যা ইত্যাদি তথ্যও নিয়ে এলেন। তিন-চার দিন পর তাঁরা তথ্য পুনর্যাচাই করতে গেলেন। গিয়ে এক অদ্ভুত বিপদেই পড়লেন তাঁরা। একই তথ্যদাতা, যিনি প্রথমবার বয়স বলেছিলেন ৩৫ বছর, দ্বিতীয়বারে বললেন তাঁর বয়স ২৫। আগে বলেছিলেন চারটি শিশুসন্তান আছে। দ্বিতীয় দফায় বললেন মাত্র দুটি সন্তান। এ রকম একই ঘটনা ঘটল বেশির ভাগ তথ্যদাতার ক্ষেত্রেই। তাঁরা আগের দিনের চেয়ে সাত-আট বছর কম বয়স জানাচ্ছিলেন। সন্তানের সংখ্যাও কমিয়ে বলছিলেন। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল, তাঁরা তথ্য গোপন করছিলেন।

কারণটি উদ্ধার করতে বেশ খানিকটা বেগ পেতে হলেও রহস্যের সমাধান মিলল। প্রথমবার তথ্য সংগ্রাহকেরা ভরদুপুরে গিয়েছিলেন। নারীদের স্বামীরা ছিলেন কাজে। শাশুড়ি-ননদেরা বুঝে ওঠার আগেই এনজিওকর্মীরা সঠিক তথ্য জেনে নেন। কর্মীরা চলে আসার পরই শাশুড়ি-ননদেরা চড়াও হয়েছিলেন গৃহবধূদের ওপর। গৃহবধূদের অপরাধ, কেন তাঁরা অচেনা মানুষদের কাছে তাঁদের বয়স বলে দিয়েছেন। এতগুলো সন্তান হয়েছে কেন বললেন? শাশুড়ি-ননদ তারস্বর শাসন করলেন, ‘এখন তো এনজিওওয়ালারা বলবে তোমার বয়স হয়েছে, অনেকগুলো সন্তানও হয়েছে। এবার জন্মনিয়ন্ত্রণ করো। জন্মনিয়ন্ত্রণের জিনিসপত্রও বিলিয়ে যাবে’ ইত্যাদি। কড়া নির্দেশ হলো ‘পরেরবার কেউ বয়স ও সন্তান নিয়ে প্রশ্ন করলে কমিয়ে বলবি’। বিশেষ করে যে নারীর পরপর তিন-চারটি কন্যাসন্তান, তার বেলায় রীতিমতো কারও সঙ্গে কথা না বলতেই নিষেধ করে দেওয়া হলো। কাজকর্ম শেষে সন্ধ্যায় স্বামীরা ফিরলে শাশুড়ি-ননদ অভিযোগ জানালেন। কোনো কোনো নারীর ক্ষেত্রে মারধরও জুটল। সেই কারণে তাঁরা তাঁদের বয়স কমিয়ে বললেন।

পুরুষ-নারী সবার বেলায়ই বয়সসংক্রান্ত আরও বেশ কিছু সমস্যা আছে। একসময় মধ্যবিত্ত ঘরের নারীদের বড় অংশের বয়সও কমিয়েই নিবন্ধন করা হতো। সেই অবস্থাটির সামান্যই পরিবর্তন হয়েছে। এর পেছনে সামাজিক সংস্কার অনেকটাই দায়ী। বিয়েশাদি ছাড়াও কোনো শিশু পড়াশোনায় পিছিয়ে থাকলে বয়স কমিয়ে দিয়ে তাকে নিচের শ্রেণিতে ভর্তি করিয়ে নেওয়ার অসংখ্য উদাহরণ আছে। ছেলেশিশুদের বেলায়ও তেমনটিই ঘটে। ২০০৭ সালে একটি সমাজ-গবেষণার প্রয়োজনে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে ১৪ থেকে ১৫ বছরের বেশ কিছু কিশোরের সঙ্গে কথা বলি। তারা জানায়, তাদের অনেকেরই জন্মনিবন্ধন হয়েছে ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়সী হিসেবে। ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য-চেয়ারম্যানরা অনেকটা জোর করেই তাদের বয়স বদলে দিয়েছে। উদ্দেশ্য, তারা যেন ভোট দিতে পারে। দায়িত্বপ্রাপ্তরা ভোট পাওয়ার লোভে তাদের সমর্থক পরিবারগুলোর অনেককে বেশির ভাগ সময় না জানিয়েই পরিবর্তনগুলো করেছে। পরে সংশোধন করতে গেলে বলা হতো সংশোধন সম্ভব নয় এবং এতে কোনো সমস্যা হবে না। সমস্যাটি আসলে আরও পুরোনো। সম্প্রতি পরিচিত একজন গাড়িচালক তাঁর মনঃকষ্ট জানালেন যে তাঁর বয়স এখন ৩৯ হলেও জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী ৪৫। কারণ, সেই একই—তাঁর ভোটটি পাওয়ার জন্য একজন ইউপি সদস্য এই দুষ্কর্ম করেন।

আগে উল্লেখ করা গবেষণার জন্য তথ্যদানকারী কিশোরদের কেউ কেউ জানিয়েছিল যে তারা দালাল বা আত্মীয়দের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে যেতে পারার জন্য বয়স বাড়িয়ে নিয়েছে। ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলোয় শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করার জন্য ইউনিসেফ, আইএলও এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের চাপ শুরু হয়। সেই সময় কিছু কিছু ফ্যাক্টরির ব্যবস্থাপকেরা দক্ষ শিশুশ্রমিকদের বয়স বাড়িয়ে নিবন্ধন করিয়ে নেয় বলে অভিযোগ আছে। বাংলাদেশে সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩০ থাকায় অনেক তথাকথিত শিক্ষিত মা-বাবাও বয়স অনেক কম দেখিয়ে শিশুদের প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি করান। বিদেশে স্কুলে ভর্তি হতে হয় বয়সের ছক মেনে। স্বচক্ষে দেখেছি কিছু বাংলাদেশি মা-বাবার দুর্গতি। সন্তানটির বয়স হয়তো ১৫। তার দশম শ্রেণিতে থাকার কথা। কিন্তু কাগজে-কলমে ১১ বা ১২ হওয়ায় তাকে ভর্তি করাতে হয়েছে পঞ্চম বা ষষ্ঠ শ্রেণিতে। এই সন্তানেরা শরীরগত ও বয়সগত স্পষ্ট পার্থক্যের কারণে বন্ধু বানাতে পারে না। কারণ, অনেক শিশু-কিশোর ভয়াবহ মানসিক স্বাস্থ্যবিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়ে পড়াশোনা ছেড়ে দিতেও বাধ্য হয়।

একটি কৌতুক আছে যে বাংলাদেশের অর্ধেক মানুষ জানুয়ারির ১ তারিখ বা ডিসেম্বরের ৩১ তারিখে জন্ম নিয়েছে। আগে জন্মতারিখের গুরুত্ব বুঝে-বোধে না থাকায় জন্মদাতারা সন্তানের জন্মদিন লিখে রাখার প্রয়োজনও বোধ করতেন না। যখন প্রয়োজন হতো তখন তাৎক্ষণিকভাবেই এই দুই দিনের যেকোনো একটি উল্লেখ করতেন। উদ্দেশ্য সহজে মনে রাখতে পারা। ওদিকে এসএসসি পরীক্ষার নিবন্ধন হতো স্কুলে। স্কুলে ভর্তির খাতায় ছাত্রদের বয়স লেখা থাকলেও শিক্ষকেরা সেসবে সময় দিতে চাইতেন না। যেটি করতেন, সেটি হলো তড়িঘড়ি ছাত্রছাত্রীদের নামের সামনে অনুমাননির্ভর একটি তারিখ দিয়ে দিতেন। শোনা কথা, এ কারণে একবার এমন হয়েছিল যে একজন ছাত্রের রেজিস্ট্রেশনের তারিখ হয়ে গেল ৩০ ফেব্রুয়ারি। সেটি সংশোধনে আবার সেই ছাত্রকে চূড়ান্ত গলদঘর্মও হতে হয়েছিল।

লোকসংস্কার থেকে প্রবাদ তৈরি হয়েছে—পুরুষের উপার্জন আর নারীর বয়স নিয়ে কোনো প্রশ্ন করতে নেই। ‘বয়স’ স্পষ্টই ট্যাবু। হাসি-তামাশাচ্ছলে বলা হয় ২৮ বছর বয়স হলে নারীদের বয়স প্রতি তিন বছরে এক বছর করে বাড়ে। রগড়টি যেহেতু রগড়, খানিকটা অতি সাধারণীকরণ ও অসংবেদনশীলতাও আছে। সেসব বাদ দিয়ে রূপক মেসেজটিতে গুরুত্ব দেওয়া কিন্তু আসলেই প্রয়োজন। কারণ, এটি শারীরবৃত্তীয় বিচারে তো নয়ই, সাংস্কৃতিকভাবেও স্বাস্থ্যকর বিষয় নয়। নারীর প্রতি বিদ্বেষ এবং নারীকে খাটো করে দেখার পেছনেও এই চর্চা দায়ী। বয়স লুকানোর অপচর্চা নারীর মানসিক হীনম্মন্যতা সৃষ্টির কারণ হয়ে অনেক সময়ই। যিনি সঠিক বয়স লিখে রেখেছেন, কাগজে-কলমে সার্টিফিকেটেও সঠিক বয়স নিবন্ধন করেছেন, তাঁর মন খারাপ হওয়া, হীনম্মন্যতায় ভোগা শুরু হয় এই ভেবে যে অন্যরা হয়তো তাঁর আসল বয়সকেও নকল বয়স ভাবছে।

বয়স চুরিজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি
পাঁচ-ছয় দশক বা তারও আগে গ্রাম্য সমাজে কারও বয়স বা জন্মতারিখ লিখে রাখা হতো না। মেয়েরা ঋতুমতী হলেই বিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হতো। অসুখ-বিসুখ হলে যখন চিকিৎসার জন্য যেতেন ডাক্তার-কবিরাজরা তাঁদের আসল বয়স নিমেষেই বের করে ফেলতেন। বিয়ের কয় বছর আগে তাঁরা ঋতুমতী হয়েছিলেন, তা বোঝা সহজ ছিল। চিকিৎসকেরা কোনো ঐতিহাসিক ঘটনার সংঘটনকালকে ধরেও বয়স বের করতেন। যেমন প্রশ্ন করতেন ৭০–এর ঘূর্ণিঝড়ের সময় বা স্বাধীনতার সময় তাঁদের বয়স কত ছিল? এ রকম সহজ পদ্ধতিতে চিকিৎসকেরা রোগীর বয়সের মোটামুটি নির্ভুল হিসাব বের করতে জানতেন। বর্তমান সময়ের বহুধাজটিল বয়স চুরির চর্চার কারণে নিবন্ধনকারীদের এক বড় অংশেরই প্রকৃত বয়স জানা দুরূহ। এ কারণে ভুল নিবন্ধন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় একটি বড় হুমকির রূপ নিয়েছে।

বয়স কমিয়ে বা বাড়িয়ে বলা বড়ই বিপজ্জনক বিষয়। পুরুষ-নারী সবার ক্ষেত্রেই। অনেক অসুখ-বিসুখের চিকিৎসা বয়সনির্ভর। ৪৫ বছর বয়সীদের জন্য যে চিকিৎসা বা ওষুধের ডোজ, ৫০ থেকে ৫৫ বছর বয়সী কেউ নিজের বয়স ৪৫ বললে চিকিৎসক সেই ডোজটিই দেবেন। তাতে অসুখ না সেরে উল্টো বাড়বে। নারী ও প্রসূতিদের স্বাস্থ্য রক্ষায় চিকিৎসার বেলায় দিনক্ষণের হেরফের হওয়া বেশি বিপজ্জনক। চিকিৎসককে রোগী ভুল বয়স বললে অত্যন্ত চৌকস চিকিৎসকও ভুল চিকিৎসা দিয়ে বসতে পারেন। এভাবে দেশের বেশির ভাগ নারী ও পুরুষ বয়স চুরিজনিত মহাবিপদ-ঝুঁকির মধ্যেই দিন যাপন করছেন।

শুদ্ধির সহজতম উপায় কী হতে পারে?
সম্ভবত সহজতম উপায়টি হবে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ফেরত খামসহ গোপন তথ্য-খাম পাঠানো। খামের ভেতর ভুল বয়স নিবন্ধনের ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির এক পাতা বিবরণ থাকা প্রয়োজন। সচেতনতামূলক এই বিবরণের সঙ্গে আরেকটি কাগজে খানা ও পরিবারের সব সদস্যের প্রকৃত বয়স উল্লেখের ব্যবস্থা থাকতে পারে। খামের ভেতর আরও রাখা প্রয়োজন একটি সুস্পষ্ট সরকারি অঙ্গীকারনামা। তাতে সরকারের পক্ষ থেকে তথ্যদাতাদের সব তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার নিশ্চয়তা দেওয়া থাকতে হবে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য আলাদা মেডিকেল কার্ড তৈরি করা যেতে পারে। কার্ডটি নাগরিকদের ভুল চিকিৎসার হাত থেকে বাঁচাবে। এই কার্ডকেই প্রকৃত ভোটার আইডেনটিফিকেশন কার্ড হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা গেলে দেশের অঢেল অর্থ ও সময় বাঁচার পাশাপাশি সবচেয়ে বড় দুটি সমস্যার সমাধানও মিলবে! সমস্যা দুটির একটি ভুল চিকিৎসার স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং দ্বিতীয়টি ভুল ভোটদানের কারণে গণতন্ত্রহীনতার ঝুঁকি।

তার আগে গণমাধ্যমসহ সব মাধ্যমে বয়স চুরিজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকিবিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিকারী ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা জারি রাখা অত্যাবশ্যক!

হেলাল মহিউদ্দীন: অধ্যাপক, সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ, পলিটিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড সোসিওলজি; নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।