৬ মাস বা এক বছরের পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে

ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম।
ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম।
>

ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা। বর্তমানে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা করছেন। করোনা-সংকটের প্রেক্ষাপটে ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে অঘোষিত অবরোধ চলছে। জরুরি সার্ভিস ছাড়া সবকিছু বন্ধ আছে। দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম তথা সার্বিক অর্থনীতিতে এর প্রভাব কী পড়তে পারে এবং এই সংকট উত্তরণে করণীয় নিয়ে তিনি কথা বলেছেন প্রথম আলোর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সোহরাব হাসান

প্রথম আলো: করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী অবরোধ অবস্থা চলছে। আমাদের অর্থনীতিতে এর অভিঘাত কতটা গুরুতর হবে বলে মনে করেন?

মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম: কয়েকটি খাতেই এর অভিঘাত সঞ্চারিত হবে। প্রথমত রপ্তানি খাত। বাংলাদেশের যে উচ্চ প্রবৃদ্ধি, তাতে রপ্তানির উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। যদিও সংকটের আগে থেকেই রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব ছিল। এখন সেটি আরও ঘনীভূত হবে। বৈশ্বিক বাজারে চাহিদা কমবে। ইতিমধ্যে অনেক দেশ ক্রয়াদেশ স্থগিত রাখতে বা বাতিল করতে বলেছে। তৈরি পোশাকশিল্পের ৮৬ শতাংশ তন্তু আসে চীন থেকে। চীনের পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। এ ছাড়া ভারত থেকেও অনেক কাঁচামাল আসে। সেখানেও লকডাউন চলছে। শিল্পের কাঁচামাল না এলে উৎপাদন কম হবে। এ ছাড়া সরবরাহের সমস্যা তো আছেই।

প্রথম আলো: করোনা-সংকটের কারণে অনেক দেশ থেকেই প্রবাসী শ্রমিকেরা ফেরত আসতে শুরু করেছেন। এটাও নিশ্চয়ই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম: প্রবাসী আয়ে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ পড়বে। প্রবাসী আয়ে আমাদের প্রবৃদ্ধি ছিল ২১ দশমিক ৫ শতাংশ, যা খুবই আশাব্যঞ্জক। জানুয়ারিতে কমে গিয়েছিল ২ দশমিক ৬ শতাংশ। করোনা-সংকটের কারণে প্রবাসী আয়ও অনেক কমে যাবে। যেসব দেশে আমাদের শ্রমিকেরা কাজ করছেন, সেসব দেশে বেতন কমে যাবে। অনেকে চাকরি হারাবেন। তাঁরা দেশে ফিরলে সেটিও অর্থনীতিতে চাপ তৈরি করবে।

প্রথম আলো: এর বাইরে বড় চ্যালেঞ্জ?

মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম: অন্যান্য খাতের মধ্যে যোগাযোগব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। বৈদেশিক যোগাযোগও বন্ধ হয়ে গেছে। বিমানের আয় কমে যাবে। অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ বন্ধ থাকার কারণে শ্রমিক–কর্মচারীরা চাকরি হারাবেন। তৈরি পোশাক শিল্প মালিক সমিতি বিজিএমইএ ইতিমধ্যে কিছু কিছু কারখানা বন্ধ রাখতে বলেছে। কারখানা বন্ধ থাকলে শ্রমিকেরা চাকরি হারাবেন। কর্মসংস্থান না হলে বেকারত্ব আরও বাড়বে। নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষের জীবনমানের অবনতি হবে।

প্রথম আলো: করোনা-সংকট ঘাটতি আরও বাড়াবে। এটি কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে?

মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম: রাজস্ব আহরণের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম। করোনা-সংকটের কারণে সরকারের আয় কমবে, ব্যয় বাড়বে। গরিব-নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য সহায়তা বাড়াতে হবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে করের হার কমাতে হবে। কোনো ক্ষেত্রে মওকুফ করতে হবে। ফলে বাজেট ঘাটতি আরও বাড়বে। চলতি অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেল থেকে সরকারের যে ঋণ নেওয়ার কথা, সেটি পুরোটাই নিয়ে নিয়েছে। জাতীয় সঞ্চয়পত্রের বিক্রি অনেক কমে গেছে। টিআইএন বাধ্যতামূলক করা এবং সুদের ওপর কর বাড়ানোর কারণে বেসরকারি ঋণের পরিমাণ ৯ দশমিক ১ শতাংশে এসে পৌঁছেছে, যা গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। সে ক্ষেত্রে বাজেটের ঘাটতি মেটাতে সরকারকে দুটি উৎস থেকে ঋণ নিতে হবে। এক. কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দুই. বৈদেশিক ঋণ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নেওয়া ভালো দৃষ্টান্ত নয়। সরকার সুদের হার ৬ ও ৯ শতাংশ বেঁধে দিয়েছে। এ ছাড়া সুদের ওপর সরকারের কর, ব্যাংকের সার্ভিস চার্জ আছে। ফলে ব্যাংক আমানতও কমে গেছে। আমানত কমলে বিনিয়োগও কমবে। শেষ পর্যন্ত এটি শিল্প খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সব দিক দিয়ে সামষ্টিক অর্থনীতি বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন বলে মনে করি। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, প্রবৃদ্ধির হার ১ দশমিক ১ শতাংশ কমে যাবে।

প্রথম আলো: সংকট উত্তরণে সরকার বেশ কিছু প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। একে কীভাবে দেখছেন?

মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম: সরকার রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানার জন্য যে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে, সেটি আমি সমর্থন করি। এই প্রণোদনা থেকে শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি দেওয়া হবে। শিল্প রক্ষার জন্য আপৎকালীন সহায়তা হিসেবে তা হয়তো ঠিকই আছে। কিন্তু এই প্রণোদনা দিয়ে তো রপ্তানি বাড়ানো যাবে না। আর রপ্তানি না বাড়লে শিল্পের প্রসার ঘটবে না। কর্মসংস্থান বাড়বে না।

প্রথম আলো: রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানার জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করলেও অনানুষ্ঠানিক খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সরকারের কোনো পরিকল্পনা আছে কি?

মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম: আমাদের অনানুষ্ঠানিক খাতই সবচেয়ে বড়। এই খাতে ৮৫ শতাংশ কর্মসংস্থান হয়ে থাকে। সরকার সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় কিছু কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির কথা বলেছে। এ ছাড়া ভিজিডি, ভিজিএফ ও কাবিখা কর্মসূচি আছে।

প্রথম আলো: কিন্তু সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির রেকর্ড তো খুব ভালো নয়। অপচয় ও দুর্নীতি হয়।

মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম: সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির কলেবর বেড়েছে। কিন্তু বিতরণের ক্ষেত্রে সমস্যা আছে। এ ক্ষেত্রে তিন ধরনের অপচয় হয়। এক. যারা পাওয়ার যোগ্য নয়, রাজনৈতিক প্রভাব বা অন্য কোনো কারণে তাদের দেওয়া হয়। দুই. যাদের পাওয়ার কথা, তাদের দেওয়া হয় না। তিন. সরাসরি তছরুপ হয়। মাঝেমধ্যেই আমরা পত্রিকায় দেখি, ভিজিডির চাল আত্মসাতের জন্য অমুক চেয়ারম্যান-মেম্বার ধরা পড়েছেন। এ বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে হবে। সরকারের গণপূর্ত কর্মসূচির আওতায় আমি ১০০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি চালু করেছিলাম। পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ সরকার সেটিকে আরও বিস্তৃত করেছে। বর্তমানে কর্মসৃজন কর্মসূচি গরিব মানুষের একটা অবলম্বন হতে পারে।

প্রথম আলো: শহর থেকে যাঁরা গ্রামে গেছেন, তাঁদের ঘরে ফেরা কর্মসূচির আওতায় আনার কথা বলেছে সরকার। চাইলে তাঁরা ভাসানচরেও যেতে পারেন বলে জানানো হয়েছে। এই মুহূর্তে এই কর্মসূচি কী ফল দেবে?

মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম: ঘরে ফেরা কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল শহরের চাপ কমানো ও গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা। কিন্তু এখন যাঁরা গ্রামে গেছেন, তাঁরা তো কোনো কর্মসূচির আওতায় যাননি। তাঁরা যেতে বাধ্য হয়েছেন। আর ভাসানচরে পাঠানোর প্রস্তাব আমার কাছে বোধগম্য নয়। ভাসানচর তৈরি করা হয়েছিল রোহিঙ্গাদের জন্য। তারা আসতে রাজি হয়নি। ঘরে ফেরা কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল গরিব মানুষ যাতে নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে কাজ করতে পারে, সে জন্য সহায়তা দেওয়া। ভাসানচরে পাঠানোর এই প্রস্তাব অবাস্তব বলেই মনে করি।

প্রথম আলো: আপনি যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন, ২০০৮ সালে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছিল। কীভাবে সামাল দিয়েছিলেন? এখন সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর সুযোগ আছে কি?

মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম: সে সময় বিশ্বব্যাপী চাল ও জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গিয়েছিল। আমার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ব্ল্যাংক চেক দেওয়া হয়েছিল যেখান থেকে পারুন চাল কিনে আনতে হবে, যত টাকা লাগুক। আমরা একটা ভালো মজুত তৈরি করেছিলাম। সরকারি গুদামে ভালো মজুত থাকলে সুযোগসন্ধানীরা সুযোগ নিতে পারে না। একই সঙ্গে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে বাজেটের ২ দশমিক ৮ শতাংশ এবং এডিপির ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ বরাদ্দ করেছিলাম, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেছেন, প্রচুর খাদ্যশস্য আছে। সেটি সরবরাহের ক্ষেত্রে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেই তদারকি জোরদার করা প্রয়োজন।

প্রথম আলো: করোনা-সংকট মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপকে কি যথেষ্ট মনে করেন?

মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম: করোনা-সংকটের আগ পর্যন্ত সরকারের মধ্যে একধরনের অস্বীকৃতির প্রবণতা বা ডিনায়েল সিনড্রোম চলছিল। সবকিছু ঠিকমতো চলছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দাবি করে আসছিলেন। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৮-২০০৯ সালে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ ছিল ২১ দশমিক ৯ শতাংশ। ১২ বছর পর আমরা দেখছি, সেটি বেড়েছে মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায় সংকটের স্বীকৃতির পাশাপাশি সমাধানের চেষ্টার কথাও আছে।এই মুহূর্তে বেশি কিছু করা যাবে না। তবে প্রান্তিক মানুষগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আমরা জানি না সংকট কত দিন স্থায়ী হবে। আগামী ছয় মাস কিংবা এক বছরের পরিকল্পনা নিয়ে সরকারকে এগিয়ে যেতে হবে।

প্রথম আলো: করোনা-সংকট থেকে উত্তরণে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা সহায়তার কথা বলেছে। বাংলাদেশ কীভাবে লাভবান হতে পারে?

মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম: প্রথমত যতটা সম্ভব মঞ্জুরি সহায়তা বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু এসব সংস্থা ঋণ দিতেই বেশি আগ্রহী থাকে। মঞ্জুরি সহায়তা খুব বেশি পাওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে সফট লোন বা সহজ ঋণের জন্য দর-কষাকষি করতে হবে। আমরা যদি দৃঢ় অবস্থান নিই, তাহলে বাড়তি সুবিধা আদায় করা কঠিন হবে না। বিনিময়ে এসব প্রতিষ্ঠান সুশাসন, বিনিয়োগ পরিবেশ, ব্যবসা সহজীকরণের শর্ত পূরণ করার কথা বলবে। এসব বিষয়ে আমাদের দক্ষতা বাড়াতে হবে।

প্রথম আলো: এই প্রেক্ষাপটে আগামী অর্থবছরের বাজেট কেমন হওয়া উচিত?

মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম: বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ কোনোভাবে ৫ শতাংশের বেশি করা ঠিক হবে না। আর বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ কমানো যেতে পারে অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্পে বেশি বরাদ্দ রেখে। আমরা প্রতিবার একনেকের বৈঠকে অনেক প্রকল্প অনুমোদন হতে দেখি। এর সবই অগ্রাধিকারভিত্তিক নয়। অনেক প্রকল্প থাকে অগ্রাধিকারবর্জিত। এসব প্রকল্পে বরাদ্দ কমাতে হবে।

প্রথম আলো: সামনে রোজা-ঈদ। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আরেক দফা বাড়তে পারে। তখন তো পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে পড়বে।

মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম: রোজার সময় সাধারণত পেঁয়াজ, চিনি, ডাল-ছোলার দাম বাড়ে। এসব পণ্যের মজুত বাড়ানোর পাশাপাশি কঠোর মনিটরিং করতে হবে। আমাদের সময়ই কনজ্যুমার প্রোটেকশন আইন ও অ্যান্টি-মনোপলি আইন তৈরি করা হয়। বর্তমান সরকার দুটোই সংসদে পাস করেছিল। এখন দরকার হলো আইনের যথাযথ প্রয়োগ।

প্রথম আলো: দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?

মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম: দেশ নিঃসন্দেহে কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই সময়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে সরকারের বাইরে যেসব বিশেষজ্ঞ আছেন, তাঁদের পরামর্শও নিতে পারেন। আনুষ্ঠানিক হোক আর অনানুষ্ঠানিক হোক, পরামর্শ নেওয়া উচিত। সমস্যা অস্বীকারের প্রবণতাও পরিহার করতে হবে। এ প্রসঙ্গে আমি একটি গল্প বলি। আফ্রিকার একটি দেশের প্রেসিডেন্ট ইচ্ছা প্রকাশ করলেন একজন অর্থমন্ত্রী নেবেন। তিনি তাঁর অধীন কর্মকর্তাদের বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য বললেন। বিজ্ঞাপনের খসড়া তাঁকে দেখানো হলো। বিজ্ঞাপনে যেসব শর্তের কথা বলা হয়েছে, তার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট দ্বিমত করলেন না। শুধু বললেন, আরেকটি শর্ত যোগ করো। শর্তটি হলো আমার অর্থমন্ত্রীকে হতে হবে ‘ওয়ান হ্যান্ডেড’। অর্থাৎ এক হাতওয়ালা। কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালে প্রেসিডেন্ট বলেন, অর্থমন্ত্রীর দুই হাত থাকলে বলবেন, এটাও হতে পারে, ওটাও হতে পারে। এক হাতওয়ালা অর্থমন্ত্রী হলে তিনি তাঁর সিদ্ধান্তে বরাবর অনড় থাকবেন।

প্রথম আলো: ধন্যবাদ আপনাকে।

মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম: আপনাকেও ধন্যবাদ।