সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা

সীতাকুণ্ডের স্থানীয় সাংসদ এ বি এম আবুল কাশেম মাস্টারের দুই ছেলের জাহাজ ভাঙার ইয়ার্ড দখলের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিকেরা। সাংসদের দুই ছেলের সহযোগীরা এ হামলা চালায়।প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ আলোকচিত্রী রাশেদ মাহমুদ, নিজস্ব প্রতিবেদক প্রণব বল, সমকাল-এর সীতাকুণ্ড থানার প্রতিনিধি সেকান্দর হোসেনসহ স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক হামলার শিকার হন। জানা গেছে, সাংসদের শ্যালিকার ছেলে মাহমুদুল হোসেন ওরফে মান্নার নেতৃত্বে ১৫-২০ জন যুবক সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়। এই সময় মান্না নিজেকে সাংসদপুত্র মামুন ও নোমানের প্রতিনিধি দাবি করেন এবং কোনো কথা থাকলে তঁার সঙ্গে বলতে বলেন। বিরূপ পরিস্থিতিতে সাংবাদিকেরা এলাকা ছেড়ে চলে আসতে চাইলে মান্না ও তঁার সহযোগীরা বেড়িবঁাধের ওপর সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। তারা রাশেদ মাহমুদের ক্যামেরা কেড়ে নেয় এবং দখলসংক্রান্ত কিছু ছবি মুছে ফেলে। সাংসদপুত্র নোমান তখন বেড়িবঁাধের নিচে অবস্থান করছিলেন।পরে সাংসদের অপর ছেলে মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জাহাজ ভাঙার মাঠে অবস্থান নেওয়া নিজের লোকজনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। এর প্রায় দুই ঘণ্টা পর ক্যামেরা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু সুফিয়ান ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ রউফ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোশতাক আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক নাজিমুদ্দিন শ্যামল, রিপোর্টার্স স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান নওশের আলী খান ও সাধারণ সম্পাদক আসিফ সিরাজ, চট্টগ্রাম ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মঞ্জুরুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম এক যুক্ত বিবৃতিতে সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তঁারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাসি্ত দাবি করেন।