বাংলাদেশে সামাজিক দূরত্বই বেশি কার্যকর

হাবিবুর রহমান
হাবিবুর রহমান
>

হাবিবুর রহমান ১৯৮২ সালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে (সম্মিলিত মেধাতালিকায় প্রথম) এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৯০-১৯৯৭ সালে নিউইয়র্ক মেডিকেল কলেজ এবং আইনস্টাইন কলেজ অব মেডিসিন থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন ইন্টারনাল মেডিসিন, পালমোনারি (চেস্ট) মেডিসেন এবং ক্রিটিক্যাল মেডিসিনে। নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই স্কুল অব মেডিসিন থেকে রোল মডেল পুরস্কারে ভূষিত। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম ফ্যাকাল্টি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মিজানুর রহমান খান

প্রথম আলো: গোটা যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক সবচেয়ে শোচনীয়দের অন্যতম কেন? কেনই–বা সেখানে আবার এত বাংলাদেশির মৃত্যু?

হাবিবুর রহমান: এই নগরীতেই জাতিসংঘসহ বহু বাণিজ্যকেন্দ্র অবস্থিত। তাই পুরো বিশ্ব থেকে লোক আসেন এখানে, বিমানবন্দরগুলো তুমুল ব্যস্ত থাকে। তবে বাংলাদেশিরা সংখ্যায় বেশি, তার কারণ হতে পারে একটু অপেক্ষাকৃত কম জায়গার মধ্যে বেশি মানুষ থাকে। গায়ানিজ, এশীয়, হিস্পানিকের মতো জাতিগত সংখ্যালঘুদের মধ্যে বাংলাদেশিদের মৃত্যুহারটাই বেশি।

প্রথম আলো: বাংলাদেশি চিকিৎসক কেউ কি মারা গেছেন? অনেক চিকিৎসক আক্রান্ত, কিন্তু এত বেশি কেন?

হাবিবুর রহমান: আমার জানামতে, কেউ মারা যাননি। তবে আমার ঘনিষ্ঠদের মধ্যে অন্তত ছয়জন প্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস ও হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু তাঁদের চারজনই প্রাইভেট প্র্যাকটিস ও অন্যরা হাসপাতালে করোনা রোগীর সংস্পর্শে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। দুজন হাসপাতাল ছেড়ে দিন দুই হলো ঘরে ফিরেছেন। আমি রেসপিরেটরি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, তাই চেনাজানা বলেই নয়, চিকিৎসক হিসেবেও আমার সঙ্গে তাঁদের সবার যোগাযোগ আছে। কেন তাঁরা আক্রান্ত হলেন, তার একটা ব্যাখ্যা এই যে তাঁরা করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসাকে ততটা গুরুত্ব হয়তো দেননি। সুরক্ষায় ঘাটতি ছিল।

প্রথম আলো: এ সুরক্ষাটা নিউইয়র্কের হাসপাতালগুলো কীভাবে নিচ্ছে? আপনি কি সরাসরি রোগীর চিকিৎসা দিয়েছেন?

হাবিবুর রহমান: আমার সম্পৃক্ততা সরাসরি। বরং যাঁদের অবস্থা গুরুতর, যাঁদের আইসিইউতে রাখতেই হয়, তাঁদেরই তদারক করে আসছি। এ জন্য আমি তিন ধরনের মাস্ক পরি। প্রথমে এন–৯৫, তার ওপরে আরেকটি সাধারণ মাস্ক এবং চোখে আইশিল্ড। এর মধ্যে একজন রোগী থেকে আরেক রোগীর কাছে যাওয়ার সময় সাধারণ মাস্কটি ফেলে দিই। করোনার জীবাণু প্রধানত নাক, চোখ ও মুখ দিয়ে প্রবেশ করে। যাঁরা চশমা ব্যবহার করেন, তাঁরা এটা চশমার ওপরেই পরেন। আর মানসম্মত পিপিই তো আছেই। আমি বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে আশা করব, চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীরা দায়িত্ব পালনের সময় অবশ্যই এন–৯৫ বা সমমানের মাস্ক পরবেন। আর হাসপাতালের বাইরে তাঁরা সাধারণ মাস্ক পরবেন। যুক্তরাষ্ট্রেও পিপিই এবং মাস্ক সরবরাহে একটা টানাপোড়েন চলছে। আমরা সাধারণত পিপিই এবং এন–৯৫ এক দিনই ব্যবহার করতাম। সরবরাহ–সংকটের কারণে এন–৯৫ চার দিন পর্যন্ত পরেছিলাম কিন্তু সংকট কেটেও গেছে। মাথার ক্যাপ বদল করি প্রতিদিন।

প্রথম আলো: আপনি বাসায় কী করছেন?

হাবিবুর রহমান: আমাদের পরিবারে চারজন চিকিৎসক। স্ত্রী, আমি ও আমার মেয়ে ও জামাতা। মেয়ে–জামাতা আলাদা থাকে। আমরা সবাই বাসাতেও সঙ্গনিরোধের নিয়ম মানছি। পরস্পর থেকে ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখি। বিশেষ করে গত ১০ দিন হলো আমার স্ত্রী বাসাতেও মাস্ক পরছেন। খাবার টেবিলের এক প্রান্তে আমি, আরেক প্রান্তে স্ত্রী বসছেন। এটা ঘটেছে, কারণ আমার স্ত্রীর সহকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা যে যেখানেই আছি, একটা নিয়ম ধরে নিতে হবে যে করোনামুক্ত প্রমাণিত না হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা সবাই সন্দেহভাজন জীবাণু বহনকারী।

প্রথম আলো: বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন কি? প্রস্তুতি নিয়ে কী মনে হয়?

হাবিবুর রহমান: আমি মাঝেমধ্যে দেশে যাই। চিকিৎসক মহলের সঙ্গে মোটামুটি যোগাযোগ রাখি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিশ্বের সব বিশেষজ্ঞই একমত যে যত বেশি পরীক্ষা করা যাবে, তত বেশি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি হ্রাস পাবে। আমিও নিশ্চয় তা–ই মনে করি। যত দ্রুত এবং যত বেশি সম্ভব এই সামর্থ্য বাড়িয়ে যেতে হবে। পরীক্ষা করতে হবে। কিন্তু সময় যা হাতে আছে এবং বাংলাদেশের যা বাস্তবতা, তাতে দক্ষিণ কোরিয়ার মতো প্রতিদিন ২০ হাজার মানুষকে দীর্ঘ সময় ধরে পরীক্ষা করানো সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে এ মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে কার্যকর কৌশল হতে পারে আইসোলেশন বাড়ানো। সামাজিক দূরত্ব সর্বাত্মকভাবে কার্যকর করতে হবে। এটা যত বেশি সার্থক ও সম্পূর্ণ করা যাবে, তত বেশি পরীক্ষা না করিয়ে বেশি সুফল পেতে পারে বাংলাদেশ।

প্রথম আলো: প্রতিটি উপেজলায় যাঁরা লক্ষণযুক্ত, তাঁদের মধ্য থেকে দুজন করে পরীক্ষা করাতে চাইছে সরকার। কিন্তু লক্ষণ না থাকা ব্যক্তিরা কি নিরাপদ?

হাবিবুর রহমান: কার কখন করোনা হয়েছে, কার হয়নি, সেটা নির্ণয় করা খুব দুরূহ বিষয়। পরীক্ষা করে যে ফলই আসুক তার ওপর বেশি নির্ভর করা অর্থহীন হবে। কারণ পরীক্ষায় কারও নেগেটিভ ফল এল, তার মানেই যান্ত্রিকভাবে আপনি তাকে করোনামুক্ত বলতে পারেন না। তাই টেস্ট কিট কত বেশি মজুত আছে, বা কত বেশি মাত্রায় পরীক্ষা করা গেল, সেটাই ভরসার কথা নয়। অবশ্য নতুন প্রজন্মের কিট আসছে, যা আমাদের অধিকতর নির্দিষ্ট ফল দেবে। বিদ্যমান পিসিআর কিটের ফলের ওপর ৬০–৭০ শতাংশ এবং বাকি ৩০–৪০ শতাংশ ঘাটতির পূর্ণতা দেবেন চিকিৎসক। কিটের সঙ্গে তাই আপনার উপযুক্ত চিকিৎসক থাকতে হবে। একজন ব্যক্তির সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যতথ্য, সিটি স্ক্যান বা এক্স–রে রিপোর্ট এবং চলতি সিম্পটম চিকিৎসকের জানাটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এসবের ভিত্তিতে তিনি পিসিআর পরীক্ষার আগেই তিনি পাকা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেন। স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেন যে তার কেসটি কোভিড–১৯। তাই তিনি যদি দেখেন যে টেস্টের ফল নেগেটিভ, তাহলেও চিকিৎসক অটল থাকবেন এবং ঘোষণা দেবেন যে তাকে করোনায় ধরেছে।

আগে যে বাংলাদেশি চিকিৎসকদের কথা বললাম, তাঁদের কিছুটা অমনোযোগী হওয়ার আরেকটি কারণ এই ছিল যে রোগী যারা এসেছিলেন, তাঁরা কোনো লক্ষণ নিয়ে আসেননি। তাঁরা ছিলেন নীরব বহনকারী। হয়তো সামান্য কাশি নিয়ে এসেছেন। তাই তাঁদের মূল্যায়নে ঘাটতি ছিল। যাঁরা সাইলেন্ট ক্যারিয়ার তাঁরা আরেকটি ঘটনা ঘটাতে পারে। তাঁর মাধ্যমে যিনি আক্রান্ত হলেন, তাঁর শরীরে লক্ষণ হোস্টের আগে প্রকাশ পেতে পারে। অথচ হোস্ট অসচেতন থাকবেন যে তিনি বহন করছেন। এভাবে তিনি তাঁর পরিবারের আপনজনদের মধ্যে জীবাণুর সংক্রমণ ঘটিয়ে চলতে পারেন।      

প্রথম আলো: তবে ১৪ দিনের মধ্যেই লক্ষণ প্রকাশের বিষয়টি কি স্বতঃসিদ্ধ?

হাবিবুর রহমান: মোটামুটিভাবে ১৪ দিন ধরে নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু আমি এটা শতভাগ নিশ্চিত বলব না। তাত্ত্বিকভাবে বলব, ৯০ শতাংশের বেশি রোগীর ক্ষেত্রে এটা সত্য। বাকিদের ক্ষেত্রে ভাইরাসের নিজস্ব শক্তি, বৈশিষ্ট্য এবং আক্রান্ত ব্যক্তির আত্মরক্ষার শক্তি সব মিলিয়ে সময়ের একটা হেরফের হতে পারে। আন্তর্জাতিক মেডিকেল জার্নালগুলো ১৪ দিনের ওপরেই গুরুত্ব দিচ্ছে।

প্রথম আলো: বাংলাদেশে এখন হাঁচি–কাশি বা শ্বাসকষ্টের রোগীদের হাসপাতালগুলো ফিরিয়ে দিচ্ছে। সরকারি হিসাবেই আমরা দেখছি যে গত তিন বছরের একই সময়ের তুলনায় এবারের মার্চে নিউমোনিয়ার রোগী ১৪ গুণ বেড়েছে। সিঙ্গাপুর এ ধরনের রোগীদের সবাইকে পরীক্ষা করেছে।

হাবিবুর রহমান: উহানের আগে বাংলাদেশে করোনার জীবাণু পৌঁছানোর সম্ভাবনা ক্ষীণ। অবশ্য চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের যোগাযোগ খুবই ব্যাপক। তাই এসব রোগীর ভাইরাল প্যানেল সংরক্ষণ করা দরকার এবং তা খতিয়ে দেখা যেতে পারে।

প্রথম আলো: এবারে ওষুধের কথা বলুন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা কী, সে বিষয়ে বাংলাদেশে প্রকাশ্যে কোনো আলোচনাই নেই। অবশ্য গত ২৩ মার্চ বাংলাদেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান এক ব্রিফিংয়ে বলেন, করোনাবিরোধী লড়াইয়ে সরকারের কাছে পর্যাপ্ত অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মজুত রয়েছে।

হাবিবুর রহমান: আমি মনে করি, এ রকম ঘোষণা দিয়ে তিনি ভালোই করেছেন। এর সংকট দেখা দিলে সমাজে একটা মনস্তাত্ত্বিক সংকট তৈরি হতে পারে। অবশ্য মনে রাখতে হবে যে করোনা নির্দিষ্ট কোনো ওষুধের উদ্ভাবন এখনো হয়নি। তবে রোগীর সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে অ্যাজিথ্রোমাইসিন দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু এটাই করোনা ওষুধ, সেটা ঠিক নয়। বিশ্বের কোথাও এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ওষুধ বের হয়নি। আমরা প্রতিদিনই শিখছি।

প্রথম আলো: এ নিয়ে মেডিকেল জার্নাল এবং মিডিয়ায় প্রচুর লেখালেখি হচ্ছে। আপনি কি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে করোনার ওষুধের বিষয়ে একটা সাধারণ ধারণা পৌঁছে দিতে পারেন। আপনার হাসপাতালে আপনিও তো কিছু ওষুধ দিচ্ছেন। সেগুলো কী?

হাবিবুর রহমান: একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রতিটি ব্যক্তির অবস্থা বিবেচনায় ওষুধের ব্যবস্থাপত্র নির্দেশ করবেন। তবে চীনা সূত্র এবং অবশিষ্ট বিশ্ব থেকে পাওয়া সীমিত তথ্যের ভিত্তিতে যেসব ওষুধ কেবলই প্রাতিষ্ঠানিক দিকনির্দেশনার অধীনে দেওয়া যেতে পারে, তার উল্লেখ করছি।

১. হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন (এটি মূলত ম্যালেরিয়া ও গেঁটে বাত রোধক) ২. টসিলিজুমাব (যা মাত্রাতিরিক্ত প্রদাহ দমন করে) ৩. রেমদিসিভির (ভাইরাসের উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়) এটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। ৪. অ্যাজিথ্রোমাইসিন। হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের সঙ্গে এটি দিলে রোগ নিরাময়ের প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত হয়। ৫. কোরটিকোস্টেরয়েড (বিশেষ করে যাদের হাঁপানি বা ক্রনিক শ্বাসকষ্ট থাকবে) ৬. সিস্টেমেটিক অ্যান্টিকগুলেশন (রক্তজমাট বাঁধা প্রতিরোধী) ৭. ইমিউনোগ্লোবিন (অত্যন্ত রুগ্‌ণদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ৮. মেউকোলাইটিক্স, এক্সপেকটোরেন্ট, ব্রঙ্কোডিলেটরস, (মৃদু কাশি উপশমের জন্য)। এ ছাড়া পালস অক্সিমিটারে যদি কারও শরীরে অক্সিজেনের ঘনত্ব ৯৪ শতাংশের নিচে নামে তাহলে তাকে প্রন পজিশনে (পেছনে বালিশ দিয়ে) রাখতে হবে। শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে অক্সিজেন দিতে হবে। কোভিড–১৯ চিকিৎসায় ইয়েল প্রটোকল অনুসরণের পরামর্শ দেব আমি।

প্রথম আলো: হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ও ক্লোরোকুইন গত শনিবার এফিডিএ অনুমোদন করল। ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ওষুধকে ‘গেম চেঞ্জার’ বলার পরে অ্যারিজোনায় এই ওষুধ খেয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং তাঁর স্ত্রী সংকটাপন্ন হন। ট্রাম্পের উপদেষ্টা ফাউচিও বলেছেন, এটা যে কাজ দেয়, এ পর্যন্ত শুধু ‘এনেকডোটাল এভিডেন্স’ রয়েছে। অন্যদিকে ফ্রান্স সমীক্ষা করে বলেছে, এটা কাজ দেয় না।

হাবিবুর রহমান: ট্রাম্প এটা বলে খুবই সমালোচিত হয়েছেন। তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বলেছেন। তবে ওষুধের বিষয়টি একটা পরীক্ষা–নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমি আশা করি, দু–এক মাসের মধ্যে চূড়ান্তভাবে ওষুধ বেরোবে। টিকা আসতে বছর লাগবে।

প্রথম আলো: বাংলাদেশি অনেক কোম্পানি ভেন্টিলেটর ও আইসিইউর দিকে ঝুঁকছে। সাধারণ মানুষ কীভাবে সুরক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারে? নিউইয়র্কের বাংলাদেশি চিকিৎসক তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে মানুষকে হাসপাতালে না গিয়ে বাসায় থাকতে বলেছেন।

হাবিবুর রহমান: তিনি খুব খারাপ বলেননি। আমরা জানি না বাংলাদেশের সামনে কী অপেক্ষা করছে। তবে খারাপের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তাই হাসপাতাল বা অন্য যেকোনো জায়গাকে করোনা চিকিৎসা উপযোগী করতে হবে। এ জন্য সবচেয়ে কার্যকর হলো কম খরচে নেগেটিভ প্রেশার ফ্লো (রোগীর কক্ষের বাতাস ফিল্টার হয়েই কেবল বাইরে যাবে) কক্ষ তৈরি করা। আর মানুষ বাড়িতে দেড়–দুই হাজার টাকায় পালসোমিটার কিনতে পারেন। করোনায় সাধারণত রক্তের চাপ ঠিক থাকে। অক্সিজেনের ঘনত্ব (সেচুরেশন) বাসায় বসেই মনিটর করা সম্ভব। কারও যদি ৯৪–এর নিচে নামে তাহলেই তাঁকে হাসপাতালে পাঠাতে হবে।