করোনাকালে চিকিৎসকদের একগুচ্ছ পরামর্শ

>করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় সচেতনতা, পরীক্ষা ও চিকিৎসাই প্রধান। সামনের সারিতে রয়েছেন চিকিৎসকেরা। এখানে তাঁদের পক্ষ থেকে তিনজন চিকিৎসকের করোনা মোকাবিলার অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ তুলে ধরা হলো সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে। প্রতিবেদন তৈরি করেছেন ফারুক ওয়াসিফ
ডা. ফাইজুল ইসলাম চৌধুরী, ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী, ডা. মুনীরা পারভীন, ডা. মহিউদ্দিন আহমেদ, কনসালটেন্ট
ডা. ফাইজুল ইসলাম চৌধুরী, ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী, ডা. মুনীরা পারভীন, ডা. মহিউদ্দিন আহমেদ, কনসালটেন্ট

ভাইরাস-প্রজেকশন মডেল চাই

ডা. ফাইজুল ইসলাম চৌধুরী, প্রাক্তন অধ্যাপক, মেডিসিন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

প্রশ্নটা সরল। করোনা-আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে হবে। তার মানে চিকিৎসাই এখানে প্রধান। কাজটা প্রধানত চিকিৎসকদের। করোনা মোকাবিলায় যে দুই ধরনের ব্যবস্থাপনা দরকার, তার প্রাথমিক ও চূড়ান্ত চ্যালেঞ্জ হলো চিকিৎসা। এটা হলো ক্লিনিক্যাল ব্যবস্থাপনা। অথচ আমাদের শীর্ষ নীতিনির্ধারণী জায়গায় মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা নেই। চিকিৎসকেরাই মূল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবেন। ডিজি-হেলথ সবকিছু সমন্বয় করবেন, মানে কোথায় কোন চিকিৎসক লাগবে, ঘাটতি আছে কি না, কোনো সমস্যার উদ্ভব হলে কী করণীয় প্রভৃতি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থাকবে সবকিছুর নিয়ন্ত্রণে।

আরেকটা হলো কমিউনিটি পর্যায়ে কমিউনিটি ব্যবস্থাপনা। এই কাজটা আইইডিসিআরের। আইইডিসিআর কারিগরি সমর্থন দেবে, সচেতনতা তৈরি করবে এবং সরকারের মুখপাত্রের ভূমিকা নেবে। কমিউনিটি ব্যবস্থাপনার কাজ হলো, লকডাউন, টেস্টিং, আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিনের আয়োজনের দেখাশোনা করা।

আমার ভয় হয়, আমরা এখন সিগময়েড কার্ভের প্রথম পর্যায় পার হচ্ছি, এর পর খুব দ্রুত আক্রান্তের হার বাড়বে। এখন কমিউনিটি পর্যায়ে ছড়াচ্ছে। প্রথম দিকে তিন-তিনজন করে প্রায় ৫০ জন আক্রান্ত হচ্ছিল, এখন তো ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত ১৮ জন অতিক্রম করেছে। আইইডিসিআর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ জন, ৫ জন মৃত।

গণমাধ্যমকে হতে হবে এই পুরো প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যাতে সরকার ও জনগণ উভয়েই সঠিক চিত্রটা পায় ও সে অনুযায়ী জনগণকে হুঁশিয়ার করতে পারে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রয়োজন সুষ্ঠু ও বিজ্ঞানভিত্তিক সামগ্রিক পরিকল্পনা। ভাইরাসের গতিবিধি বোঝার জন্য প্রজেকশন মডেল তৈরি করতে হবে। এই কাজটা ভাইরোলজিস্টদের। লকডাউন ও কোয়ারেন্টিনের বিশেষ প্রয়োগের জন্য এপিডেমিওলজিস্টদের সহায়তা নিতে হবে। এই বিজ্ঞানভিত্তিক পরিকল্পনার জন্য যে টিম গঠন করতে হবে, তার প্রধান হবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

রোগ এবং ভাইরাসের মধ্যে একটি হলো চিকিৎসাবিজ্ঞান বা মেডিকেল সায়েন্স আরেকটি হলো জীববিজ্ঞান। বিজ্ঞানের মাধ্যমে বিজ্ঞানের মোকাবিলা করতে হবে। সাধারণ জ্ঞান দিয়ে এটা মোকাবিলা করা সম্ভব না। এর জন্য বিশেষ জ্ঞানের প্রয়োজন। বিশ্বের অন্যান্য দেশ তা-ই করছে।

কোভিড ও নন-কোভিড রোগী মিশে যাওয়ার ঝুঁকি আছে

ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী, বিভাগীয় প্রধান, কার্ডিওলজি, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

আমাদের এখন ধরে নিতে হবে যে আরও দু–তিন মাস এরকম খারাপ অবস্থা চলতে হবে। আমাদের দীর্ঘমেয়াদে চিন্তা করতে হবে। এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আমাদের মোকাবিলা করতে হবে সীমিত সংখ্যক চিকিৎসকদের দিয়ে। এমনিতেই আমাদের দেশে চিকিৎসকদের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। তারো চেয়ে কম নার্সদের সংখ্যা, তারও চেয়ে কম টেকনোলজিস্টদের সংখ্যা। কাজেই আমাকে সীমিত মানবসম্পদের যথাযথ ও সর্বোচ্চ ব্যবহার এমনভাবে করতে হবে, যাতে আমরা তাদের যতটা সম্ভব নিরাপদ রেখে অনেক দিন চিকিৎসা দিয়ে যেতে পারি।

আমরা ধরেই নেব, এ সময়ে আমাদের অনেক ডাক্তার, নার্স, সেবাকর্মী, টেকনোলজিস্ট আক্রান্ত হবেন এবং এদের অনেককেই কোয়ারান্টাইন করা লাগছে। কয়েকটা জায়গায় এমন হয়েছে, যেমন নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ বন্ধ করতে হয়েছে এবং সেখানকার অনেককে কোরায়ান্টাইন করতে হয়েছে। তাই এমনভাবে কাজ করাতে হবে, যাতে একসঙ্গে সবাই করোনার সামনে এক্সপোজড না হয়। তাই ইমার্জেন্সি ছাড়া বাকি সব কাজ টেলিমেডিসিনে নিয়ে যেতে হবে। সব জায়গায়, উপজেলায় কয়েকটা মোবাইল নম্বর সর্বসাধারণের জন্য সর্বক্ষণ খোলা রাখতে হবে । ঢামেকে ইতিমধ্যে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে সাধারণ অসুবিধাগুলোয় রোগীরা ঘরে বসেই পরামর্শ ও ওষুধের নাম পেয়ে যেতে পারেন।

যেমন গর্ভবতী নারীদের জন্য এখন হাসপাতাল মোটেই নিরাপদ না। তাঁদের যে রুটিন চেকাপ সেটা ফোনে কথা বলেই করা যায়: কী করবে কী না করবে, কী ওষুধ কী ভীটামিন বা আয়রন খাবে—সেসব। এসব করা এজন্যই যে, সেই নারী যখন ডেলিভারি করবেন, তখন যেন তাঁর জন্য হাসপাতাল বা ক্লিনিক খোলা পাওয়া যায়।

ডিজিটাল বাংলাদেশে এই অবস্থায় টেলিমেডিসিন ছাড়া উপায় নেই। ফেসবুকে, মোবাইলে, সরকারি–বেসরকারি হাসপাতাল ও ডাক্তারদের এই পথ নিতে হবে। অনেক হাসপাতালে ইতিমধ্যে তা শুরুও হয়েছে। অনেক ডাক্তার নিজস্ব রোগীদের জন্য এটা করছেন।

যারা ফ্রন্টলাইনে কাজ করছেন তাদের সবার জন্য পিপিই দরকার। যারা কোভিড রোগীর চিকিৎসা করছেন তাঁদের জন্য ডিসপোজেবল পিপিই লাগবেই। যে ওয়ার্ডবয় বা টেকনিশিয়ান রক্ত নিচ্ছে, ইসিজি করছে, যে নার্স বা ডাক্তার জরুরি সেবা দিচ্ছেন তাদের পিপিই অবশ্যই লাগবে। সাধারণভাবে সকল স্বাস্থ্যকর্মী মাস্ক ও গ্লাভস পড়বেন। হাসপাতালে আসা রোগী ও রোগীর সঙ্গীদেরও মাস্ক দেওয়া দরকার। এ বাদেও সকলেরই মাস্ক পড়া জরুরি।

জনগণকে বুঝতে হবে, চিকিৎসার জন্য এই সময়ে ধৈর্য্য রাখতে হবে, যাতে আমরা কাজ উদ্ধার করতে পারি। রোগীরা খুব বেশি তথ্য গোপন করছেন। অনেক রোগী লক্ষণ গোপন করে ভর্তি হন। সম্প্রতি পুরোনো হার্ট অ্যাটাক দেখিয়ে একজন ভর্তি হলেন। তাঁকে যেখানে রাখা হয়েছে, তাঁর পাশের বেডে একজনের পেসমেকার লাগানোর কথা। যিনি হার্টের রোগের কথা বলে ভর্তি হলেন, পরে জানা গেল যে তাঁর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। এখন পাশের রোগীও তো ঝুঁকিতে পড়ে গেলেন। তিনি আক্রান্ত কি না, তা না জেনে তাঁর পেসমেকার লাগানো পিছিয়ে দোয়া হয়েছে।

এটা বেশি হলে প্রতিটি রোগীকে অবিশ্বাস করতে হবে। রোগীকে অবশ্যই সেবা দিতে চাই, তার জন্য পারস্পরিক অবিশ্বাস খুব সমস্যা হয়ে দেখা দেয়। ডাক্তার সব জানলে তবেই না সঠিক চিকিৎসা করবেন। জ্বর–কাশি মানেই কোভিড না, এটা স্বাস্থ্যকর্মীসহ সবারই মনে রাখতে হবে। অনেক অপারেশন হয়তো এখনই করা লাগবে না যেমন গলব্লাডার ইত্যাদি। কিন্তু কিছু অপারেশন জরুরি যেমন অ্যাপেনডিসাইটিস—সেটা এখনই করতে হবে। রোগীদেরও এটা মানতে হবে। এখানে আমরা–তোমরা বলে কিছু নেই। সবাই হলাম 'আমরা', 'আমরা' সবাই মিলে। সবাই মিলে কিন্তু কাজটা উদ্ধার করতে হবে। নইলে কেউ টিকব না।

আবার যারা কোভিড হাসপাতালে কাজ করবেন, তাঁদের আলাদা থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত। চীনে ও ইতালিতে তাই করা হয়েছে। আমি আমার বাসায় এখনো আলাদা থাকছি, আলাদা ভাবে খাচ্ছি। আমি আমার স্ত্রী বা পুত্রকে স্পর্শও করছি না। যাতে আমি ও আমার পরিবার নিরাপদ থাকি এবং আমার কাজটা আমি করে যেতে পারি। এটা স্বাস্থ্যকর্মী ও তাদের পরিবারকেও বুঝতে হবে। অন্তত আগামী দুই মাস। এছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীদের চলাফেরার পথে যাতে নিরাপত্তাকর্মীরা সহায়তা করেন। এটা সারা দেশেই করা উচিত, ঢাকায় যেমন ঢাকা মেডিকেল কলেজের জন্য কিছু বিআরটিসি বাস দেওয়া হয়েছে, সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে এটা সবখানেই করা উচিত।

প্রধানমন্ত্রীর একটা কথা খুবই পছন্দ হয়েছে। তিনি বলেছেন, যাঁরা কাজ করবেন তাঁদের পুরস্কৃত করবেন, এবং যারা করবেন না তাঁরা শাস্তি পাবেন। ঝুঁকি নিয়ে কাজ করায় আমরা প্রস্তুত, কিন্তু যতদূর সম্ভব আমাদের নিরাপত্তা যেন দেওয়া হয়।

টেস্টের জন্য স্যাম্পল সংগ্রহ একটা সমস্যা
ডা. মুনীরা পারভীন, সহযোগী অধ্যাপক, ভাইরোলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

আমাদের হাসপাতালে ভাইরোলজি বিভাগের ল্যাবরেটরির যাত্রা শুরু ২০১১ সালে। অনেক চাওয়ার পর গত বছরের ২৯ আগস্ট আমরা একটা পিসিআর মেশিন পাই। আরও অনেক কিছু পেয়েছি। যেহেতু পিসিআর আমাদের ছিল না, সেহেতু এর ওপর অনেকের প্রশিক্ষণ ছিল না। পিসিআরের জন্য যে বায়োলজিক্যাল সেফটি কেবিনেট দরকার তা ছিল, কিন্তু সার্টিফিকেশন ছিল না। সার্টিফিকেশন করাতে গিয়ে জানা যায়, সেফটি কেবিনেটে ত্রুটি আছে। সার্টিফিকেশন ছাড়া মেশিন ঠিকমতো কাজও করে না। টেকনোলজিস্টদের স্পেশাল ইকুইপমেন্ট ছিল না। তবে এখন সব ঠিক চলছে। আমরা স্যাম্পল সংগ্রহ করে টেস্ট করাচ্ছি। কিন্তু লোকবল কম বলে শুধু ঢাকা মেডিকেলকে সুরক্ষিত রাখায় কাজ করছি। হাসপাতালে যাতে রোগীদের মধ্যে সংক্রমণ না হয়, সেটা নিশ্চিত করা দায়িত্ব আমাদের।

কম টেকনোলজিস্ট দিয়ে কমিউনিটির মধ্যে কাজ করা যায় না। আমাদের ৮ জন চিকিৎসক দুই শিফটে কাজ করি। দুই শিফটে ৯৬+৯৬ মিলিয়ে মোট ১৯২ জনের টেস্ট প্রতিদিন করার সামর্থ্য থাকলেও, অত স্যাম্পল সংগ্রহের লোকবল আমরা পাইনি। এ ধরনের লোকবল হাতে-কলমে শিখিয়ে দ্রুত তৈরিও করা যায় না।

ভাইরোলজি বিভাগ অনেক পুরোনো মেডিকেল কলেজে থাকলেও, সেখানে সহকারী অধ্যাপক থাকলেও, সব জায়গায় তাঁদের এমনকি বসার জায়গায়ও নেই। তাঁদের কাজ করতে হয় মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সঙ্গে। সব মিলিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ৫০–৬০ জনের মতো ভাইরোলজিস্ট দেশে আছেন। শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এই কোর্সটা পড়ানো হয়। সামনে আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজেও কোর্স খুলব।

আমাদের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ রয়েছে, সেখানেও করোনার টেস্ট হতে পারে। কিন্তু স্যাম্পল সংগ্রহ তো তারা করতে পারবে না, সেটা স্বাস্থ্য দপ্তরের অন্য বিভাগের করে দিতে হবে। তাদের এই সক্ষমতাকে কীভাবে কাজে লাগানো হবে সেটা সরকার বিবেচনা করে দেখবে।

সমন্বয়হীনতা কাটানো দরকার
ডা. মহিউদ্দিন আহমেদ, কনসালটেন্ট, মেডিসিন ও ক্রিটিকাল কেয়ার, বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটাল, কল্যাণপুর

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কিছু বলা যায় না। যত রোগী আসে তাদের জরুরি বিভাগের সিঙ্গল রুমে যত দূর পারা যায় পরীক্ষা করা হয়। যাদের করোনা ছাড়া অন্য রোগের লক্ষণ বেশ জোরালো, তাদের রাখা হয়, বাকিদের করোনা হাসপাতালে রেফার করা হয়। তবে এ পর্যায়ে কোভিড ও নন-কোভিড রোগী একাকার হওয়ার সুযোগ থাকে। আবার হাসপাতালগুলোতে সবাইকে তো সিঙ্গল রুম আইসোলেশন দেওয়া যাচ্ছে না। এ জন্য আমরা বলি, যেসব অসুখ বাড়িতে থেকে সারানো যায়, সেসবের জন্য হাসপাতালে আসার দরকার নেই। হার্ট কিংবা কিডনির রোগীদেরও শ্বাসকষ্ট হয়। যাঁর সন্দেহ হবে, তাঁর পরীক্ষার সুযোগ থাকলে এই অনিশ্চয়তা থাকত না। সারা দেশে যে কোভিড ওয়ার্ড, সেখানে তো আর পরীক্ষার সুযোগ নেই, আইসোলেশনে রাখারও ব্যবস্থা নেই। অন্যদিকে পরীক্ষার ফল ৭০ শতাংশ সঠিক হয়। ৩০ শতাংশ প্রমাণিত হয় না। তাদের মধ্যে যদি এই রোগী থাকে?

তখন যার নেই তারও হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এমনিতে হাসপাতালের কর্মী-চিকিৎসক সবাই সুরক্ষা নিয়ে কাজ করি। অনেক বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধ। তবে জরুরি বিভাগ সব জায়গায় খোলা। আমাদের হাসপাতালে সব ধরনের চিকিৎসাই চালু আছে। আমরা শুধু করোনার সম্ভাবনা কম, এমন রোগীদের রাখছি।

কিছু সমন্বয়হীনতা না থাকলে ভালো হয়। যেমন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, সব হাসপাতালে ১০ শতাংশ আইসোলেশন বেড রাখতে হবে। আবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি বলছেন, শুধু কোভিডের জন্য নির্ধারিত হাসপাতালেই বেড থাকবে। আরও ভালো হয় যদি যেসব হাসপাতালে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি সুবিধা আছে, সেসব হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা সরকারিভাবে করা হলে।

অনেকেই আতঙ্কিত হচ্ছেন। বাস্তবে ৮০ ভাগেরও বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে যাবে। সারা পৃথিবীতেই এটা দেখা যাচ্ছে। যারা মারা যাচ্ছে তাদের বেশির ভাগই অন্য রোগে আগে থেকে আক্রান্ত ছিল।