করোনাকালে মাথা ঠান্ডা রাখার ব্যবস্থাপনা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মার্শাল গেঞ্জ তাঁর কমিউনিটি অর্গানাইজিংয়ে একটা তত্ত্ব দেওয়ার সময় উল্লেখ করেছিলেন যে যখন কোনো বিপদ আসে, তখন তা মোকাবিলার তিনটি উপায় অবচেতনভাবেই আমরা খুঁজে বের করি। সেগুলো হলো, যুদ্ধ করো, পালাও অথবা স্থির হয়ে যাও। করোনাভাইরাস সত্যিকার অর্থে একটি আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। সেই বিপদ ও আতঙ্কের সঙ্গে আমরা কীভাবে সাড়া দিচ্ছি, একটু দেখা যাক।

কিছুদিন আগে ইংল্যান্ডে এক বয়স্ক দম্পতি গৃহবন্দী জীবন যাপন করতে করতে মানসিকভাবে এতটাই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন যে তাঁরা আত্মহত্যা করেছেন। স্বামী তাঁর স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করার পর সেই ছুরি দিয়ে নিজেকে হত্যা করেছেন। তার কিছুদিন আগে জার্মানির হেসে প্রদেশের অর্থমন্ত্রী করোনা–পরবর্তী অর্থনীতি কীভাবে টেনে তুলবেন, সেই চিন্তা থেকেই ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনা কিন্তু এখানেই শেষ না। ইংল্যান্ডেই এক তরুণী আত্মহত্যা করেছে কেবল করোনাভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে। অর্থনীতিবিদেরা অর্থনীতি নিয়ে চিন্তিত, রাজনীতিবিদরা রাষ্ট্রব্যবস্থা নিয়ে চিন্তিত। সাধারণ মানুষ জীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন, জীবিকা, চাকরি, খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা ও নানা বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। চারদিকে তাকালেই ভয় আর ভয়, আতঙ্ক আর আতঙ্ক। সামাজিক দূরত্ব ও মৃত্যু সংবাদ সেই আতঙ্ককে আরও বেশি করে জ্বালানি সরবরাহ করছে। আমাদের উচিত ছিল সাবধান হওয়া, কিন্তু আমরা এক ধাপ এগিয়ে গেলাম, হয়ে গেলাম ভীত ও আতঙ্কিত।

করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে গিয়ে গৃহবন্দী জীবন ও মাত্রাতিরিক্ত নেতিবাচক সংবাদ আমাদের অন্য কোনো দূরপ্রসারী মানসিক রোগের দিকে ঠেলে দিচ্ছে কি না, সেটাও কিন্তু দেখার বিষয়। দুশ্চিন্তা থেকে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে, হতে পারে ‘প্যানিক ডিসঅর্ডার’ এমনকি যাদের ‘অবসেসিভ কমপালসিভ ডিসঅর্ডার’ আছে, তাদের এই সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। শিশুদের জন্য এই স্টেট অব ফিয়ার মানসিক ট্রমা সৃষ্টি করতে পারে, যা মেধার বিকাশের পথে অন্তরায়। অর্থাৎ বনের বাঘে না খেয়ে যদি তার আগেই মনের বাঘে খেয়ে ফেলে, সেটার পরিণতিও ভালো হবে না। মনের বাঘ এত খারাপ যে সে একেবারে মারে না, ভোগায়, কষ্ট দিয়ে মারে। কিন্তু বিজ্ঞানীদের হাতে সেই মনের বাঘকে দমন করার ও শাসন করার অস্ত্র আছে। বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়েই আমাদের একে মোকাবিলা করতে হবে। উন্নত বিশ্বের প্রতিটি দেশে করোনা–সম্পর্কিত মানসিক চাপ সামাল দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগ এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে।

করোনাভাইরাস একটি বৈশ্বিক সংকট এবং এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ থাকলেও তা নিয়ে সারা দিন পড়ে থাকার কোনো মানে নেই। ইতিহাসে বিভিন্ন মহামারির মতো এটিও একটি মহামারি, যা থেকে বাঁচার অস্থায়ী কিছু উপায় আমরা জেনেছি। আমাদের ঘরে থাকতে হবে, নিয়মিত হাত ধুতে হবে, মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। কিন্তু প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় লাশ গণনা করাটা নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হবে না।

মন এমন এক অশরীরী অস্তিত্ব, যা ক্রিকেটের উইকেট পড়ে গেলেও বিষণ্ন হয়; আর এটা তো মানুষের জীবন। স্বাভাবিক অবস্থায় জীবনে কখনো এভাবে প্রতিদিন লাশ গুনেছি কি? প্রতিদিন কী পরিমাণ মানুষ মারা যায়, আমরা জানি কি? আমরা যদি সাধারণ অবস্থায়ও প্রতিদিন এভাবে মৃতের সংখ্যা গুনি, তাহলেও এর সমান পরিমাণ হতাশই হব। করোনা–যুদ্ধে জয়ের জন্য ভয় নয় বরং আত্মবিশ্বাস বেশি প্রয়োজন। কিন্তু আত্মবিশ্বাস এমনিতেই তৈরি হয় না; তাকে নির্মাণ করতে হয় নিজের কার্যকর ও ফলপ্রসূ আচরণ ও কাজের মাধ্যমে। আত্মবিশ্বাস কীভাবে তৈরি করা যেতে পারে, সেটি নিয়েই একটু বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনা করা যাক।

শুরুতেই দুশ্চিন্তাকে দুইভাবে দেখি। একটি হলো রাষ্ট্রীয় পর্যায় অপরটি ব্যক্তিগত পর্যায়। করোনার কারণে নিজেকে নিয়ে ও নিজের পরিবার নিয়ে যেমন একটি উদ্বেগের মধ্যে রয়েছি, তেমনিভাবে সরকার কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না নিচ্ছে, সেগুলো নিয়েও খুব ভাবনার মধ্যে আছি আমরা। আমাদের ভাবনাগুলোকে, উদ্বেগগুলোকে একটি নির্ধারিত পথ দেখিয়ে দিতে হবে। বিশৃঙ্খল ভাবনাই আতঙ্কের জন্ম দেয়। দুশ্চিন্তা থেকে বাঁচার জন্য আমাদের সমাজে একটি প্রচলিত কথা আছে, সেটি হলো ‘এত ভাবার দরকার নাই’। কিন্তু নিউইয়র্কভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্য সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর বিহেভিয়রাল অ্যান্ড কগনিটিভ থ্যারাপিস (এবিসিটি) বলছে ভিন্ন কথা। তারা বলছে, দিনভর ভাবনা মাথার মধ্যে আসে আর আমরা সব সময় তাকে দূরে ঠেলে দিতে চাই। দুশ্চিন্তা আবার আসতে চায় আমরা তাকে আবার দূরে ঠেলে দিই। এটা নিজের সঙ্গে নিজের যুদ্ধ, যা আপনাকে একসময় ভাবায় যে ‘আমি কেন এই দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকতে পারছি না?’ তখন আপনি আরও বেশি হতাশ হয়ে যান। এ কারণে এবিসিটি বলছে ‘দিনের এক বা আধা ঘণ্টা সময় বরাদ্দ রাখুন শুধু ভাবার জন্য।’ অর্থাৎ এই সময়টুকু আপনি শুধু ভাববেন আর ভাববেন। একটা খাতা আর কলম নিয়ে বসুন। কী কী ভাবনা আছে আপনার সামনে লিখে ফেলুন। যেমন, চাকরি, ব্যাংক লোন, খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ, ছেলেমেয়েদের নিরাপত্তা। এবার ভাবুন করোনাভাইরাস না এলে কি এই সমস্যাগুলো আপনার জীবনে ছিল না? তখন এই সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করতেন, ভাবুন। দিনের এই সময়টুকু শুধু ভাবুন এবং অন্য সময় পরিবারকে সময় দিন।

মাত্র এক মাস ঘরে বন্দী থাকলে কি সেই সমস্যা থেকে উতরানো খুব কঠিন হবে? মোটেই না। তাহলে এই সময়টা এত কঠিন করে লাভ কী? সবার সঙ্গে যা হবে আমার সঙ্গেও তাই হবে। সবাই মিলেই তো চেষ্টা করছি এই সংকট মোকাবিলা করার। এই এক বা আধা ঘণ্টা সময়ের পর আরও আধা ঘণ্টা সময় নিন কোয়ারেন্টিন সময়টিতে আপনি কী কী করতে পারেন বা কী কী করলে সময়টা অর্থবহ হতে পারে।

নেতিবাচক সংবাদ বারবার শোনার কারণে মনোজগতে বিরূপ প্রভাব পড়ে, এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ব্রিটিশ মেন্টাল হেলথ ডিপার্টমেন্ট করোনাকালীন যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে। তারা কিছু উপায়ও বাতলে দিয়েছে, যেটি আমরা অনুসরণ করতে পারি। এ বিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে শিশুদের ক্ষেত্রে।

শিশুরা একটি দারুণ প্রতিকূল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। স্কুল বন্ধ, বাইরে যাওয়া ও খেলাধুলা বন্ধ। সারা দিন ঘরের মধ্যে গেমস আর কম্পিউটার নিয়েই আছে বেশির ভাগ শিশু–কিশোর। এই মুঠোফোন আর ল্যাপটপ প্রাথমিকভাবে চোখ, ঘাড় ও মাথাব্যথার কারণ হবে। এরপর এগুলোই থেকে হবে অবসাদের জন্ম। বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শিশুদের সঙ্গে সহজভাবে বর্তমান প্রেক্ষিত আলাপ করুন। তাদের বোঝানো যেতে পারে যে এই ভাইরাসটি আমাদের জন্য একটি ঝুঁকি। কিন্তু আমাদের হাত ধোয়া ও শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার মতো কিছু দায়িত্বও আছে। এগুলো করতে পারলেই সব আগের মতো হয়ে যাবে। তাদের এটাও বোঝাতে হবে যে আমরা ভাইরাসের ভয়ে লুকিয়ে নেই বরং আমরা সাবধানতা অবলম্বন করেছি। ভাইরাসকে কাবু করার এই উপায়টি তাদের সুন্দর করে বুঝিয়ে দেওয়া যেতে পারে। তাদের সঙ্গে সময় দেওয়া, কম্পিউটার ও মোবাইল গেমস থেকে সরিয়ে সবাই মিলে বাস্তব জগতের ক্যারম, লুডু খেলার ব্যবস্থা করা হতে পারে আনন্দময় একটি অভিজ্ঞতা।

এই সময় ঘর পরিষ্কার বা রান্নাবান্নায় বাড়ির সবাই একসঙ্গে অংশ নিলে চমৎকার পারিবারিক ছন্দ ফিরে আসবে, যা অনেক দিন হলো হয়তো আমরা খেয়ালই করিনি। এই সময় ধূমপান–মদ্যপান একেবারে বাদ দেওয়া উচিত। পর্যাপ্ত ভিটামিন সি গ্রহণ ও পানি পান করতে হবে। যে বিষয়গুলো দুচিন্তার উদ্রেক করতে পারে, সেগুলোর প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত। যেমন কেউ যদি একটি নির্দিষ্ট ওষুধ নিয়মিত সেবন করে থাকে, তাহলে সেই ওষুধটি ফুরিয়ে গেলে তার চিন্তা বেড়ে যায়। এই সময় উচিত হবে যেন ওষুধটি ঘরে থাকে, সেটি নিশ্চত করা। অন্য যেকোনো কারণেই যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাহলে খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রথম যে দুশ্চিন্তা তাঁর মাথায় আসবে, সেটি হলো ‘আমার করোনা হয়নি তো?’ তাহলে কী প্রয়োজন এসব বাড়তি দুশ্চিন্তা ডেকে নিয়ে আসার! যার যার ধর্মীয় চর্চা বাসায় বসেই চালিয়ে যাওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বিশ্বাস রাখতে হবে যে ইতিপূর্বে পৃথিবীর সব সমস্যা যেভাবে সমাধান হয়েছে, এটিও তার ব্যতিক্রম হবে না। ব্রিটেনভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক দাতব্য সংস্থা মাইন্ড বলছে, যদি ঘরে বসে ইয়োগা করতে পারেন, বড় বড় শ্বাস নিয়ে শ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন, তাহলে চমৎকার বোধ করবেন। যেহেতু সারা দিন ঘরের মধ্যে থাকছেন, এ কারণে সুগার লেভেল মেইনটেইন করার জন্য হলেও ডায়েট কন্ট্রোল ও ঘরের কাজে নড়াচড়া বজায় রাখতে হবে।

বাড়ির যাঁরা বয়স্ক তাঁরাও মানসিকভাবে খুব একটা ভালো নেই, কারণ তাঁরা মিডিয়ার মাধ্যমে জেনে গেছেন যে এই ভাইরাসে যত মানুষ মারা যাচ্ছে তার একটি বড় অংশ বয়স্ক জনগোষ্ঠী। তাঁরা আমাদের বুঝতে না দিলেও বিষয়টি নিয়ে বেশ বিপর্যস্ত। এ কারণে তাঁদের প্রতি আরও আন্তরিক ও শ্রদ্ধাশীল হওয়া যেতে পারে। বয়স, লিঙ্গ, পেশা ও সামাজিক অবস্থাভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন নাগরিকদের আলাদা আলাদা মানসিক চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে করোনা–পরবর্তী বাংলাদেশে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ বছর ১৮ মার্চ তারিখে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যে রিপোর্ট প্রকাশ করে, তাতে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে ‘এই সময় মানসিক স্বাস্থ্য প্রস্তুতি কোনো স্প্রিন্ট দৌড়ের মতো নয় বরং এটি ম্যারাথন দৌড়ের মতো।’ এই কথাটির মধ্যেই করোনাভাইরাস যে খুব সহজে যাচ্ছে না, তার ইঙ্গিত রয়েছে। সুতরাং ব্যক্তিপর্যায়ে ওপরে আলোচিত সাধারণ কথাবার্তা যথেষ্ট হলেও বৃহৎ সামাজিক পর্যায়ে মাস্টারপ্ল্যানের প্রয়োজন হবে। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করে, তারা কতটা প্রস্তুত সেই মাস্টারপ্ল্যান তৈরিতে, সেটাও একটা প্রশ্ন।

সাধারণ মানুষের উচিত সাবধান হওয়া, আতঙ্কিত নয়। আর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত প্রস্তুত হওয়া। করোনা একটি সমস্যা, তাকে সমাধান দিয়ে দমন করতে হবে। অপর দিকে দুশ্চিন্তা নিজেই একটি সমস্যা। সমস্যা দিয়ে আরেকটি সমস্যাকে দমন করা যায় না। এ কারণে আমরা দুশ্চিন্তাকে বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে চিন্তা করব তার সমাধান করার জন্য। দুশ্চিন্তার কারণ ও সমাধান পর্যালোচনা করব, কিন্তু এর বেড়াজালে আটকা পড়ব না। সেই পর্যালোচনায় জাতীয় মানসিক ইনস্টিটিউট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগ তাদের গৃহীত পদক্ষেপকে যথেষ্ট ও সন্তোষজনক মনে করছে কি? বাংলাদেশের আতঙ্কিত মানুষের অন্তরে ঢুকতে পারছে সঠিকভাবে? করোনা–পরবর্তী বাংলাদেশে নাগরিকদের একটি মজবুত মানসিক ভিত্তি নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা তৈরিতে হাত দিয়েছেন কি তাঁরা? আর্থসামাজিক অভিঘাত সহ্য করার পাশাপাশি নাগরিকদের মানসিক বৈকল্য দূর করাটাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে করোনা–পরবর্তী বাংলাদেশে, যার প্রস্তুতি শুরু করা উচিত এখন থেকেই।

সুমন জিহাদী: পাবলিক পলিসি গবেষক, ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার, যুক্তরাজ্য। সহকারী সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।