তথ্য ও বার্তাবিভ্রাটে করোনা মহামারি

অলংকরণ : আরাফাত
অলংকরণ : আরাফাত

মহামারির সময় রোগ, আতঙ্ক, অনিশ্চয়তা মোকাবিলায় জন্য মানুষকে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়া খুব জরুরি। মহামারি শুধু যে জনস্বাস্থ্য আর অর্থনৈতিক সংকট বয়ে আনে, তা নয়; বরং গুরুতর তথ্যবিভ্রাট এবং যোগাযোগ-সংকটও তৈরি করে। বাংলাদেশে করোনা মহামারি মোকাবিলায় সরকারি ও বেসরকারি নানা সংস্থা প্রিন্ট এবং ভিজ্যুয়াল নানা মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিচ্ছে। বিভিন্নভাবে তথ্য পরিবেশন করছে। কিন্তু সেসব তথ্যের পরিবেশনা সমাজের নানা স্তরে কার্যকরভাবে পৌঁছাচ্ছে কি না, সে বিষয়টি বোঝার জন্য আমরা একটি সংক্ষিপ্ত নৃবৈজ্ঞানিক গবেষণা করি। সঠিক তথ্য গুরুত্বপূর্ণ, কখনো কখনো তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের পরিবেশনা। করোনা বিষয়ে গণমাধ্যম এবং নানাবিধ উৎস থেকে যেসব তথ্য মানুষ অবগত হচ্ছে, সেগুলো তাদের কাছে কীভাবে অর্থময় হচ্ছে? কীভাবে বুঝছে তারা, এবং মানছে, অথবা মানছে না? তথ্য পরিবেশন যারা করছে, তারা কি এই বিপুল জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যগুলো মেনে তা করছে? এগুলোই ছিল আমাদের জিজ্ঞাস্য।

নৃবিজ্ঞান গুণগত গবেষণা করে, সংখ্যা বা শতকরা হার নিয়ে তার মাথাব্যথা নেই; বরং বিশেষভাবে নির্বাচিত অল্পসংখ্যক মানুষের নিবিড় সাক্ষাৎকার এবং পর্যবেক্ষণ ব্যবহার করে এই শাস্ত্রে জ্ঞানের উৎপাদন হয়। বিদ্যমান লকডাউন পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের পক্ষে সরাসরি সাক্ষাৎকার কিংবা পর্যবেক্ষণে যাওয়া নিতান্ত অসম্ভব ছিল। ফলে অন্যান্য স্বীকৃত বিকল্প পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়েছে। এই গবেষণায় আমরা টেলিফোন সাক্ষাৎকার, মানুষের অনলাইন আচরণ পর্যবেক্ষণ এবং ছায়া পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করেছি। গ্রাম, জেলা শহর, ঢাকার নিম্নবর্গ এবং মধ্যবিত্ত থেকে নানা শ্রেণি-পেশার ৮২ জন স্ত্রী ও পুরুষের নিবিড় সাক্ষাৎকার গ্রহণ করি। গবেষণাটি পরিচালিত হয় ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সহযোগিতায়।

চলমান পরিস্থিতিতে আমরা দেখতে পাই ‍ ‘বাড়িতে থাকা’, ‘সামাজিক দূরত্ব’, ‘কোয়ারেন্টিন’, ‘লকডাউন’ শব্দগুলো নিয়ে মানুষের ব্যাপক বিভ্রান্তি আছে। ধরা যাক ইংরেজি ‘স্টে অ্যাট হোম’ কথাটির আদলে নানা মাধ্যমে সবাইকে বলা হচ্ছে ‘আপনারা বাড়িতে থাকুন’। কিন্তু আমরা গবেষণায় পাচ্ছি ‘বাড়িতে থাকা’ কথাটির অর্থ একেক স্তরের মানুষের কাছে একেক রকম। যেমন গ্রামে বাড়ির একক শুধু একটি বাড়ি নয়, বরং কয়েক পরিবারের ঘর নিয়ে হয়ে থাকে একেকটি বাড়ি। ধরা যাক, কোনো গ্রামে সরকার বাড়ি মানে কেবল একটি বাড়ি নয়, কয়েকটি বাড়ির সমন্বয়। গ্রামের মানুষেরা অধিকাংশ জানিয়েছেন লকডাউন বলতে তাঁরা তাঁদের গতিবিধি মূলত পাড়াতে সীমাবদ্ধ রাখাকেই বুঝেছেন বা বুঝতে চেয়েছেন। কারণ, তাঁদের কাছে সীমানার একক পাড়া, তেমনি জেলা শহুরের কাছে সীমানার একক মহল্লা।

আবার বস্তি বা শহরের নিম্নবর্গীয় অঞ্চলের ক্ষেত্রে ‘বাড়ির’ ধারণাটি আরও জটিল। কারণ, একক করিডর, যে করিডরে আট-দশটি পরিবারের ঘর থাকে, অভিন্ন রান্নাঘর এবং গোসলখানাসমেত। শুধু ঢাকার মধ্যবিত্ত অঞ্চলের মানুষ বাড়িতে থাকা বলতে তাদের ফ্ল্যাটগুলোতে থাকা বুঝিয়েছেন। সুতরাং আমরা দেখতে পাচ্ছি, ‘বাড়িতে থাকা’ কথাটিকে ভিন্ন ভিন্ন স্থানের ভিন্ন ভিন্ন আর্থসামাজিক স্তরের মানুষ ভিন্নভাবে বুঝছেন। ভিন্নভাবে বোঝা ভিন্ন ভিন্ন আচরণ তৈরি করবে, এটাই স্বাভাবিক।

আবার দেখা যাচ্ছে, ‘সামাজিক দূরত্ব’ কথাটিরও কোনো কার্যকর অর্থ মানুষ করছে না। বস্তি এলাকার মানুষের কাছে ‘সামাজিক দূরত্ব’ প্রত্যয়টি রীতিমতো অবাস্তব। বস্তিবাসীরা জানিয়েছেন, যেখানে তাঁরা একটি ঘরে আট-দশজন মানুষ থাকেন, আট–দশটি পরিবার মিলে একটি রান্নাঘর ব্যবহার করেন, একটি টয়লেট ব্যবহার করেন, সেখানে কী করে ‘সামাজিক দূরত্ব’ রক্ষা করা সম্ভব, তাঁদের কাছে তা বোধগম্য নয়। গ্রাম বা জেলা শহরের অনেকে জানিয়েছেন, পরিচিত মানুষের সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা রীতিমতো অসৌজন্যমূলক; ফলে সেটি তাঁরা অনেক ক্ষেত্রেই করতে চান না বা করেন না। ঢাকার মধ্যবিত্তরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাকে একটা ‘দম বন্ধ করা অভিজ্ঞতা’ হিসেবে দেখেছেন।

‘কোয়ারেন্টিন’ ব্যাপারটিও অধিকাংশ মানুষের কাছে স্পষ্ট নয়। সুতরাং আমরা দেখতে পাচ্ছি, মহামারি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক যে পরিভাষাগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলো স্থানীয় প্রেক্ষাপটে অন্য রকম অর্থ তৈরি করছে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে ‘সামাজিক দূরত্ব’বিষয়ক নির্দেশনাকে অনেক মানুষ নেহাতই একটি সরকারি ঘোষণা হিসেবে বিবেচনা করছেন এবং এর সঙ্গে করোনা-আক্রান্ত হওয়ার কোনো ঝুঁকি আছে কি না, সেটি তাঁরা বুঝতে বা মানতে পারছেন না। আমাদের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, মানুষ নানা রকম ছলছুতা চালাকি করে এসব নির্দেশনা এড়িয়ে যাচ্ছেন। কারণ, বার্তাগুলো তাদের বাস্তবতায় পালনীয় মনে হচ্ছে না। ঝুঁকির মাত্রাটা তারা বুঝতে পারছে না।

‘হাত ধোয়া’র নিয়মকানুন নিয়েও অধিকাংশ মানুষের মধ্যে সংশয় ও দ্বিধা আছে। মহামারির কারণে বিশেষ সতর্কতা হিসেবে হাত ধোয়ার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে মানুষ এবং আগের তুলনায় হাত ধোয়ার সময় সাবান ব্যবহারের পরিমাণও বাড়িয়েছে। গ্রামাঞ্চলে দেখা গেছে, টিউবওয়েলের সঙ্গে বিশেষ প্রক্রিয়ায় সাবান ঝুলিয়ে রাখা আছে। কিন্তু হাত ধোয়ার বিশেষ পদ্ধতির ব্যাপারে কেউ ওয়াকিবহাল নয়। অনেকে ২০ সেকেন্ড হাত ধোয়ার নির্দেশনাকে ও সময়কালকে নানাভাবে ভুল ব্যাখ্যা করেছে। কেউ বলেছে, সরকার থেকে ২০ মিনিট হাত ধুতে বলা হয়েছে, কেউ বলেছে দিনে ২০ বার হাত ধুতে বলা হয়েছে।

শত্রু আণুবীক্ষণিক। কিন্তু মানুষ দৃশ্যমান শত্রুদেরই মোকাবিলা করতে করতে ক্লান্ত। ফলে খালি চোখে দেখা যায় না এমন একটি জীবাণুকে বিভিন্ন মাধ্যমে যেভাবে গ্রাফিক্যালি পরিবেশন করা হয়েছে, তা–ও নানা রকম অর্থ তৈরি করছে। গ্রামের মানুষের ভেতর আণুবীক্ষণিক জীবাণুর ধারণা না থাকাটা আশ্চর্যের কিছু নয়। একটি ইউটিউব পোস্টে আমরা দেখতে পেয়েছি, করোনা কী জানতে চাইলে গ্রামের একজন বয়স্ক মানুষ বলছেন, তিনি টিভিতে দেখেছেন যে চাকতির মতো একটি জিনিস ঘুরতে ঘুরতে মানুষের দিকে ছুটে আসে এবং মানুষকে আঘাত করে হত্যা করে। টিভিতে প্রতিনিয়ত করোনাভাইরাসের মাইক্রোস্কোপিক ইমেজের যে বৃহদাকার গ্রাফিক দেখানো হয়, সেটিকে প্রতীকীভাবে অনুবাদ করার সক্ষমতা সবার থাকার কথা নয়। কিন্তু আমরা এসব যোগাযোগ বার্তা তৈরি করার সময় এগুলো নিয়ে হয়তো একেবারেই ভাবিনি!

মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, এটিকেও অনেক মানুষ সরকারি নির্দেশ হিসেবে দেখছে এবং মাস্ক বেচারাকে কানের দুপাশে ঝুলিয়ে আর থুতনির নিচে রেখে দিয়ে সেই নির্দেশনাকে প্রতীকীভাবে পালন করছে! মাস্ক ব্যবহার নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবেই নানা বিভ্রান্তি আছে। কোনো দেশ এটি ব্যবহারকে বাধ্যতামূলক করেছে, আবার কোনো দেশ মাস্ক ব্যবহারকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে না। এই আন্তর্জাতিক বিভ্রান্তি মিডিয়ায় বাহিত হয়ে বাংলাদেশেও পৌঁছে গেছে। অনেকেই বলেছেন, যেহেতু বিশ্বের নেতারাই মাস্ক ব্যবহার বিষয়ে একমত হতে পারছেন না, সেখানে মাস্ক ব্যবহারের বিশেষ উপকার আছে বলে তাঁরা মনে করেন না।

মাস্কের ধরনের ভেতরও সামাজিক মর্যাদার তারতম্য হয়ে গেছে। অভিজাত শ্রেণির মানুষেরা এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহার করেন, ফলে যিনি এন-৯৫ মাস্ক কিনতে পাননি, তিনি সামাজিক মর্যাদাহানির আশঙ্কায় অন্য কোনো মাস্ক পরা থেকে নিজেকে বিরত রাখছেন, এমনটাও আমরা দেখেছি। আবার মাস্ক ব্যবহারকে অনেকে আমাদের সংস্কৃতিতে অনুপযোগী মনে করেন। গুরুজন কিংবা কাস্টমারের সঙ্গে মাস্ক পরে কথা বলাকে বেয়াদবি বলে মনে করেন অনেকে। ফলে যা ঘটে সেটি আরও হাস্যকর। যখন তিনি একা থাকছেন তখন মাস্ক পরে থাকছেন। যখনই কোনো মুরব্বি বা কাস্টমারের মুখোমুখি হচ্ছেন, তখন আদব হিসেবে মাস্ক খুলে নিচ্ছেন! ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে। মাস্কে চেহারা ঢাকার সুযোগ থাকায় নানান জায়গায় অপরাধমূলক তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে, এমন তথ্যও পেয়েছি আমরা।

করোনা হলে ঠিক কী করতে হবে, সে বিষয়ে কারও কোনো স্পষ্ট ধারণা নেই। এটি গ্রাম শহর মফস্বল বস্তিনির্বিশেষে সত্য। অনেকেই আইইডিসিআরের টেলিফোন নম্বরের কথা বলেছেন, কিন্তু তাঁরা এটাও বলেছেন, টেলিফোনে কারও সঙ্গে কথা বলার চেয়ে তাঁদের পরিচিত চেনাজানা স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা চিকিৎসার সঙ্গে সম্পর্কিত মানুষের সঙ্গে কথা বলতে তাঁরা বেশি আগ্রহী। উদ্বিগ্ন মানুষের কাছে ব্যস্ত টেলিফোন একটি আতঙ্কদায়ক মাধ্যমও বটে। গ্রাম এবং জেলা শহরের মানুষেরা বলেছেন, করোনা হলে তাঁরা তাঁদের চেনাজানা ফার্মেসি ও ডাক্তারের কাছে যাবেন। কেউ বলছেন, জেলা হাসপাতাল বা মেডিকেল কলেজে যাবেন। ঢাকার মধ্যবিত্তরা বলেছেন, তাঁরা তাঁদের পরিচিত ডাক্তারের কাছে পরামর্শ করবেন। অনেকে বলেছেন, আইইডিসিআর নম্বরে ফোন পেতে সমস্যা হয়েছে তাঁদের। সাধারণভাবে সবার ভেতরই করোনা চিকিৎসার ব্যাপারে একটা গভীর অনিশ্চয়তা লক্ষ করা গেছে।

আমরা এ-ও লক্ষ করছি, বিভিন্ন টেলিভিশনে বহুল পরিমাণে পরস্পরবিরোধী নানা তথ্য দেওয়া হচ্ছে। মহামারি বা এপিডেমিকের মতো এমন অতিরিক্ত তথ্য সরবরাহকে ‘ইনফোডেমিক’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। টিভি চ্যানেলগুলো অনেক সময় অতিরিক্ত পরিমাণ নাটকীয়তা ও সংবেদনশীলতা হাজির করছে তাদের পরিবেশনায়। পাশাপাশি বিভিন্ন অঞ্চলে করোনাকেন্দ্রিক গুজব, করোনার নিরাময় আবিষ্কারের দাবি—এসব তথ্যে সয়লাব সামাজিক মাধ্যম। কোনো এক বিজ্ঞানীর একটা হাস্যকর পরিকল্পনাকে লিড নিউজ করেছে একটি টেলিভিশন। ধর্মীয় নেতাদেরও নানান স্ববিরোধী বক্তব্য ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে সামাজিক মাধ্যমে।

সার্বিকভাবে আমরা করোনা মহামারি বিষয়ে ব্যাপক বিভ্রান্তি খেয়াল করেছি বিভিন্ন মানুষের মধ্যে। তথ্যগুলোকে ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে খাপ খাইয়ে না নেওয়ায় মহামারিবিষয়ক নির্দেশনা অনেক ক্ষেত্রেই পালিত হচ্ছে না। আমরা মনে করি, বাড়িতে থাকা, সামাজিক দূরত্ব, কোয়ারেন্টিন, লকডাউন ইত্যাদি ধারণাকে দেশীয় মানুষের জীবনযাপনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করে পরিষ্কারভাবে সংজ্ঞায়িত করা অত্যন্ত জরুরি। আমরা দেখতে পেয়েছি মানুষের তথ্য সংগ্রহের উৎস স্থানভেদে, শ্রেণিভেদে, বয়সভেদে এবং শিক্ষার প্রেক্ষাপটভেদে ভিন্ন। ফলে গ্রাম, মফস্বল, জেলা শহর, বস্তিবাসী এবং নগর মধ্যবিত্তের জন্য তথ্যের পৃথক পৃথক পরিবেশনা দরকার এবং যথাযথ যোগাযোগ মাধ্যমে সেগুলো তাদের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা দরকার।

এই দুর্যোগে টেলিভিশন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম। তাকে স্ববিরোধী তথ্য এবং অতিরিক্ত তথ্য দেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকা দরকার। দেশের ভেতর যে ইতিবাচক নানা উদ্যোগ, খবর আছে সেগুলোকে প্রচার করার মধ্যমে মানুষের ভেতর আস্থা তৈরি করা দরকার। করোনা হলে কী হবে, এ বিষয়ে প্রায় সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে আমরা ব্যাপক অনিশ্চয়তা খেয়াল করেছি। এ বিষয়ে করণীয় বিষয়গুলোকে সহজবোধ্যভাবে ফ্লো-চার্টের মাধ্যমে পরিবেশন ও প্রচার করা দরকার, সব মাধ্যমে। তা না হলে তথ্যবিভ্রান্তি মানুষকে আরও অসহায় ও আতঙ্কিত করে তুলবে। ইতিমধ্যেই তার নানা নিদর্শন আমরা দেখতে পাচ্ছি।
(কৃতজ্ঞতা: মেহনাজ রাব্বানী, ফারুক হোসাইন, তানভির শাতিল, কামরুজ্জমান, সাজিয়া শারমিন, দ্বীপান্বিতা ঘোষ, সামিয়া সাঈদসহ সব গবেষণা সহযোগী ও তথ্যদাতাদের প্রতি)

শাহাদুজ্জামান: লেখক এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ zaman 567 @yahoo.com
সুমন রহমান-লেখক এবং গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ [email protected]
ইমরান মতিন-উন্নয়ন গবেষক [email protected]