জীবন ও জীবিকার কৃত্রিম দ্বন্দ্ব তৈরি হলো কেন?

সীমিত পরিসরে বলা হলেও কিছুই সীমিত থাকছে না। বগুড়া, খুলনাসহ দেশের কয়েকটি জেলা শহরের নিউমার্কেট অতিরিক্ত ভিড়ের জন্য আবার বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
সীমিত পরিসরে বলা হলেও কিছুই সীমিত থাকছে না। বগুড়া, খুলনাসহ দেশের কয়েকটি জেলা শহরের নিউমার্কেট অতিরিক্ত ভিড়ের জন্য আবার বন্ধ করে দিতে হয়েছে।

বাড়িতে বসে বেসরকারিভাবে করোনা টেস্টে খরচ হয় প্রায় ৫ হাজার টাকা। আর সরকারি অর্থসহায়তা হিসেবে এক মাসের খরচ ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫০০ টাকা। অর্থাৎ একজন সামর্থ্যবান রোগীর করোনা টেস্টের খরচ ২ পরিবারের এক মাসের খরচ ধরে নেওয়া হয়েছে। এটা দেখে মনে হচ্ছে, কিসের সঙ্গে কিসের তুলনা? এই তুলনার গ্রহণযোগ্যতায় পরে আসছি। তার আগে আসছি জীবন জীবিকার বানানো দ্বন্দ্বের রাজনীতিতে।

এই রাজনীতি আছে জেনেও অনেক অর্থনীতিবিদ একে আড়াল করে রাখেন মানুষের সামনে কৃত্রিমভাবে উভয়সংকট হাজির করতে। এক মাস ধরেই জনগণের সামনে জীবন ও জীবিকার মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। অথচ যথেষ্ট খাদ্য ও অর্থসহায়তা সময়মতো পৌঁছে দিতে পারলে এই সংকটের প্রসঙ্গই আসত না। অবশ্যই অনির্দিষ্টকালের জন্য সব বন্ধ রাখা যাবে না। কিন্তু লকডাউন শিথিলেরও কিছু শর্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিয়েছিল। এর মধ্যে ছিল করোনার প্রকোপ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এনে লকডাউন-পরবর্তী জীবনযাপনের জন্য ন্যূনতম সক্ষমতা অর্জন। কিন্তু সে পথে না গিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যু যখন প্রতিদিন বেড়েই চলেছে, তখন দেখছি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু যৌক্তিক করতে একে উভয়সংকট হিসেবে হাজির করা হচ্ছে। এই উভয়সংকট তৈরির পালে হাওয়া দিয়েছে যেই মূল্য নির্ধারণের অর্থনৈতিক যুক্তি, তার মূলে গিয়ে একটু দেখা যেতে পারে।

নিওক্ল্যাসিক্যাল অর্থনৈতিক তত্ত্বের প্রবক্তারা জীবন রক্ষার মূল্য খুঁজতে গিয়ে একেকটি দেশে একেক রকম মূল্য পেয়েছেন। এ রকম একটি অর্থনৈতিক মূল্যায়ন ব্যবহার করে লকডাউন শিথিলের যুক্তি সম্প্রতি আমাদের নজরে এসেছে। এপ্রিলে প্রচারিত মোবারক এবং বারনেট-হাওয়েল তাঁদের গবেষণাপত্রে (The Benefits and Costs of Social Distancing in Rich and Poor Countries) দেখিয়েছেন যে নিম্ন আয়ের দেশের চেয়ে উচ্চ আয়ের দেশে লকডাউন অধিক লাভজনক। উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে মোট জীবন রক্ষার মূল্য বা ভ্যালু অন্য স্ট্যাটিস্টিক্যাল লাইফ (ভিএসএল) এত বেশি যে লকডাউন করে, আর্থিক সহায়তা দিয়ে, প্রণোদনা প্যাকেজ ব্যবহার করেও ক্ষতির চেয়ে লাভ বেশি হবে। কিন্তু বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নাইজেরিয়ার মতো দেশে ভ্যালু অব স্ট্যাটিস্টিক্যাল লাইফ এত কম যে সেসব দেশে লকডাউন করলে যেই আর্থিক ক্ষতি হবে, তা সুফলের চেয়ে অনেক বেশি। তাঁরা দেখিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে লকডাউনের সুফল মোট জিডিপির ৫৮ শতাংশ কিন্তু বাংলাদেশে তা মাত্র ১৪ শতাংশ।

এই গবেষণায় তাঁরা ভিএসএল নামে ধারণাটি ব্যবহার করে দেখিয়েছেন, সব জীবন রক্ষার মূল্য সব সমাজে সমান না। কোনো কোনো সমাজ অর্থনৈতিক সুবিধাকে জীবন রক্ষার চেয়ে বেশি মূল্যবান মনে করে, কোনো সমাজ কম করে। একজন মানুষের জীবিত অবস্থায় উৎপাদনক্ষমতা, সম্ভাবনা ও পরিবারের কাছে তার বেঁচে থাকার সামাজিক মূল্য বিবেচনা না করে শুধু একটি অপরিচিত মানুষের মৃত্যুকে সেই সমাজ কীভাবে মূল্যায়ন করে; তা দিয়ে এই মূল্যের গ্রহণযোগ্যতা ঠিক করা হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, সেফটি স্ট্যান্ডার্ড মেনে না চলা একটি কারখানায় জীবনের ঝুঁকি বেশি জেনেও যদি একজন বাংলাদেশি শ্রমিক সেখানে কাজ করতে রাজি হন আর একজন আমেরিকান শ্রমিক রাজি না হন, তাহলে বাংলাদেশি শ্রমিকের কাছে জীবন রক্ষার মূল্য কম আর আমেরিকান শ্রমিকের কাছে বেশি। অথচ আসলে যেকোনো শ্রমিকের কাছে জীবন রক্ষা ও জীবিকা দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। সমস্যা নিরাপত্তার মান, বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরির ব্যর্থতায় ও শ্রমিককে নিরুপায় করে দেওয়ায়। আর তা ছাড়া আমেরিকায় যেই সামাজিক বেষ্টনী রয়েছে তার সুবিধা পেলে একজন শ্রমিকের তো অত ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে চাওয়ারই কথা না। তাহলে সামাজিক নিরাপত্তাসহ এবং সামাজিক নিরাপত্তা ছাড়া দুটি দেশকে কীভাবে তুলনা করা যায়?

ওপরে বলা বিষয়গুলোর দিকে নজর না দিয়ে শ্রমিক কোথায় অতিঝুঁকি নিয়ে কাজ করলেন, তা দেখিয়ে যদি বলা হয় সেই সমাজে জীবন রক্ষার মূল্য কম, তাহলে এর মধ্যে দিয়ে আসলে মানুষের জীবনের অবমূল্যায়নের যুক্তিকেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে এই সিদ্ধান্তকে ‘সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য’ খেতাব দিয়ে সেই সমাজকেও হেয় করা হয়। স্বল্পোন্নত দেশে স্ট্যাটিস্টিক্যাল লাইফের মূল্য উন্নত দেশের (যুক্তরাষ্ট্র, জাপান) চেয়ে কম হওয়ার কারণ হিসেবে গবেষকেরা দেখিয়েছেন, সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করতে গিয়ে এসব দেশে অর্থনৈতিক ক্ষতি বেশি হয়। যেহেতু ধনীদের লকডাউনের সামর্থ্য আছে কিন্তু দরিদ্রদের নেই, তাই দরিদ্রদের কাছে জীবন রক্ষার মূল্য কম ধরে নেওয়া হয়েছে।

গবেষকেরা এই সীমাবদ্ধতাকে সততার সঙ্গে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নিজেরাই বলেছেন যে এই জীবন রক্ষার মূল্য কম হওয়ার কারণ তাদের প্রয়োজনীয়তা—এটা স্বেচ্ছায় বেছে নেওয়া কিছু নয়। আমি বলতে চাই, এটিকে শুধু প্রয়োজনীয়তা বললে ভুল হবে। দরিদ্রদের কাছে বেছে নেওয়ার মতো কোনো বিকল্প রাখা হয়নি। সঠিক সময়ে মজুরি, খাদ্য ও অর্থসহায়তা দেওয়া হলে তাদের এই কৃত্রিম উভয়সংকটে পড়তে হতো না। এই মুহূর্তে তাঁরা করোনার ঝুঁকি উপেক্ষা করে জীবিকাকে বেছে নিতে চেয়েছেন বাধ্য হয়েই। কষ্ট আর অভিমানও প্রকাশ পেয়েছে তাতে। খাবার পৌঁছাতে সরকারের ব্যর্থতাই যে মূলত তাঁদের এই দিকে ঠেলে দিয়েছে, তা আড়াল হয়ে যায় যদি এটাকে শুধু প্রয়োজন বলা হয়। কাজেই গবেষণার এই সীমাবদ্ধতা এতটাই গভীর উদ্বেগের যে, এ ধরনের চিন্তার ওপর ভিত্তি করে নেওয়া সিদ্ধান্তের প্রয়োগ নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন হওয়ার আছে।

আজকে করোনার মুখোমুখি হয়ে নিম্নবিত্তের জীবনঝুঁকিকে ক্ষুদ্র করে দেখা হচ্ছে তাদেরই মুখের কথাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে। ভুক্তভোগী ব্যক্তি বলে যাচ্ছেন, করোনার আগে ক্ষুধা মারবে, না খেয়ে লকডাউন বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব না। নিজেদের সুবিধার্থেই ঠিক এই ভাষ্যটিই অর্থনীতিবিদদের কাছে ‘বাস্তবিক’ মনে হলো। অন্য সময় একই মানুষেরাই যা বলেন, তা তাঁদের অবাস্তব মনে হয়। দিনের পর দিন এই দরিদ্ররা যখন বলছেন, জীবনযাপনের খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মজুরি বাড়াও, ঘরে ঘরে কলের পানি পানযোগ্য করো, বায়ুদূষণ রোধ করো, শিক্ষা বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধ করো, গণপরিবহন জনবান্ধব করো, সবার জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করো, তখন এই দাবি পূরণ কিন্তু ‘বাস্তবিক’ মনে হয়নি। কারণ এতে তাঁদের কাজ বেড়ে যায়। নিজেদের কাজ কমাতে এবার তাঁরা শুনে ফেললেন, ‘করোনার চেয়ে ক্ষুধা বড়, জীবনের চেয়ে জীবিকা বড়’। কাজেই সব খুলে দেওয়াই সমীচীন? তাও এমন একটি সময়ে যখন বাংলাদেশে মাত্র ০.১৩ শতাংশ মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে হয়েছে ৪ শতাংশ, পর্তুগালে ৬.৫ শতাংশ, রাশিয়ায় ৫.৫ শতাংশ আর ইতালিতে হয়েছে প্রায় ৫.৩ শতাংশ মানুষের। বিশ্বে যারা লকডাউন উঠিয়ে দিচ্ছে বা শিথিল করছে, তারা ন্যূনতম টেস্ট করে, অবস্থা বুঝে, লকডাউন-পরবর্তী জীবনব্যবস্থার সক্ষমতা তৈরি করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আর বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে টেস্টের ফলাফলের ভিত্তিতে না, বরং জীবন-জীবিকার দ্বন্দ্ব হাজির করে—তুলনার অযোগ্য দেশের পন্থা অযৌক্তিকভাবে অনুসরণ করে।

এবার ফিরে আসি সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা প্রসঙ্গে। কোন মূল্যকে আমরা সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য বলবো? প্রতিটি ৫-সদস্যের পরিবারে যদি ২.৫ কেজি চালে ১০০ টাকা, ১০০ গ্রাম ডালে ১০ টাকা, ৫০০ গ্রাম আলু ১০ টাকা, ডিম/সব্জিতে ৫০ টাকা, তেল, লবন, পিয়াজ, মসলায় ১০ টাকা, এবং অন্যান্যতে ২০ টাকা খরচ হয়, তাহলে একদিনে একটি পরিবারের নূন্যতম খাবার খরচ ২০০ টাকা হয়। অর্থাৎ এক মাসে একটি পরিবারের ক্যালরি ও পুষ্টিমান বাদ দিয়েও নুন্যতম খাবারের খরচ ৬০০০ টাকা। সরকার যখন অর্থ সহায়তা দেয় তখন অবলীলায় দ্রব্যমূল্য ধরে নেয় বিদ্যমান বাজার মূল্যেরও কম, আর বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র কিছু বিক্রি করার সময় দ্রব্যমূল্য ধরে “কথিত’” বাজার মূল্য অনুযায়ী।
ন্যূনতম মাসিক খাবার খরচ ৬ হাজার টাকা হওয়া সত্ত্বেও সরকার যখন ২ হাজার ৫০০ টাকা অর্থসহায়তা দিয়েছে, সেটা কি সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য? বা করোনা পরীক্ষার জন্য রাতভর লাইন দিয়ে শুয়ে থাকা, বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে শ্রমিকদের বিক্ষোভে বাধ্য করা, অথবা শহরের আনাচকানাচে ত্রাণের অপেক্ষায় কর্মহীন শ্রমিকদের ঘরে বেড়ানো-এগুলো কি সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য? মোটেই না। দরিদ্র মানুষের সে রকম সঞ্চয় থাকে না। ন্যূনতম উদারতা নিয়ে হিসাব করলেও বাড়িভাড়া, শিশুখাদ্য, ওষুধ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপকরণ যোগ করলে একটি পরিবারের মাসিক খরচ ১৫ হাজার টাকার নিচে হবে না। তাহলে এই বাকি টাকা কোথা থেকে আসে? এই টাকা কোথাও থেকে আসে না। এক বেলা খেয়ে, দুই বেলা না খেয়ে যেই কষ্ট উৎপাদন হয়, সেটুকু এই না দেওয়া টাকার চেয়েও বেশি।

কষ্টকে অর্থনৈতিক মূল্য দিয়ে মাপা হয়নি বা এই কষ্টকে কেউ গ্রহণযোগ্যতাও দেয়নি। তাই এই ২ হাজার ৫০০ টাকার অর্থসহায়তাকে বলতেই হয় সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য ও প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য সাহায্য। মানুষের জীবনের মূল্য কম না বেশি, তা কখনোই কৃত্রিমভাবে ম্যানুফ্যাকচার করা ‘সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা’ দিয়ে নির্ধারিত হতে পারে না। এটা একটি আরোপিত মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়া। অকার্যকর, অসম বণ্টনের ও বৈষম্য লালনের অর্থনীতিকে যেকোনো মূল্যে কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় জিইয়ে রাখার একটি কার্যক্রম।

সবকিছু শিথিলের সিদ্ধান্ত অনৈতিকভাবে মানুষকে অবমূল্যায়ন করে নির্মিত কোনো মডেলের ওপর ভিত্তি করে হতে পারে না। এই সিদ্ধান্ত হতে হবে বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে, বাস্তবায়নে সফল হয়েছে এমন এক্সিট মডেল অনুসরণ করে। কেরালা, ভিয়েতনাম, ইতালির ভোইউগানেও শহরের মতো প্রতিটি এলাকায় ব্যাপক আকারে টেস্ট, ট্রেসিং, আইসোলেশন, চিকিৎসার মাধ্যমে ধীরে ধীরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমিয়ে আনতে হবে। যেহেতু ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও ব্যবহারের আগে আপাতমুক্তি অনিশ্চিত, কাজেই সংক্রমণ কমিয়ে এনে ব্যাপক আকারে প্রস্তুতি নিতে হবে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ও কর্মক্ষেত্রে। তথ্য সরবরাহ এমনভাবে নিশ্চিত করতে হবে যেন পুনরায় সংক্রমণের সম্ভাবনা দেখা দিলেই তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্ত ছাড়া কোনো রাজনৈতিক সদিচ্ছা বা অর্থনৈতিক মডেলের অজুহাত দেখিয়ে অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলাফল হবে চরম আত্মঘাতী। এর দায় নিতে হবে নীতিনির্ধারকদের আর তাঁদের পেছনে অনৈতিক জ্ঞান সরবরাহকারী অর্থনীতিবিদদের। সমাজ এর দায় গ্রহণ করবে না।

মোশাহিদা সুলতানা: সহযোগী অধ্যাপক, ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।