সামাজিক নিরাপত্তা বিভাগ গঠন করা জরুরি

>
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর

জাতীয় সংসদের আসন্ন অধিবেশনে আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেট উপস্থাপিত হতে যাচ্ছে। বৈশ্বিক ও দেশীয় অর্থনীতিতে করোনাভাইরাস মহামারির ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে কেমন হতে চলেছে আগামী বাজেট? জাতীয় অর্থনীতির সামগ্রিক সংকট কতটা প্রকট? সংকট কাটিয়ে উঠতে নীতিগত ও প্রায়োগিক ক্ষেত্রে কী করা উচিত—এসব এবং আরও নানা বিষয় নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফখরুল ইসলাম। 

প্রথম আলো: যতই করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব থাকুক না কেন, আমরা কি আরেকটা গতানুগতিক বাজেটই পেতে যাচ্ছি?
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: বাজেট যেহেতু এখনো হয়নি, এ কথা বলা মুশকিল। তবে দুটি কারণে আগামী অর্থবছরের বাজেট পৃথক হওয়া দরকার। অর্থনীতি আগে থেকেই চ্যালেঞ্জে থাকায় পুনর্গঠনের চাহিদা ছিল। দ্বিতীয়ত, নজিরবিহীন উৎপাদন বন্ধসৃষ্ট সংকোচন থেকে পুনরুদ্ধার দরকার। এই বাস্তবতা মাথায় রেখে তিন বছর মেয়াদি একটি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা গ্রহণ করে বাজেট প্রণয়ন জরুরি।

প্রথম আলো: এর মধ্যে কী থাকবে?
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: নতুন মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক কাঠামো ও মুদ্রানীতি এবং রাজস্ব নীতির সমন্বয়। সর্বশেষ মুদ্রানীতিতে ব্যক্তি খাতে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬ শতাংশ, হয়েছে ১৩ শতাংশ। তারল্য ঠিক রাখা মুদ্রানীতির কাজ। ব্যাংকগুলোকে ক্রিয়াশীল রাখতে হয়। লক্ষ্যমাত্রা থেকে বেশি ঋণ নিয়ে ফেলছে সরকার। সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে আগে অনেক বেশি টাকা নিত সরকার, আর এখন দরকারি টাকাই নিতে পারছে না। এটা অব্যবস্থাপনা। নতুন করে যুক্ত হয়েছে করোনা সংকট। মুদ্রানীতির মূল লক্ষ্য হতে হবে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের স্থবিরতা কাটানো, কর্মসংস্থানের জায়গাটি বহাল রাখা এবং নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ তৈরি করা। আর রাজস্ব নীতির সংস্কারের কথা তো বহুদিন থেকেই বলে আসছি। কাজের কাজ হচ্ছে না।

প্রথম আলো: সরকারি পরিসংখ্যানে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার তো ভালোই হচ্ছিল। তাহলে?
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: প্রবৃদ্ধির হারে গরমিল আছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের আগেই দারিদ্র্য কমার হার কমতে ছিল। আমদানি-রপ্তানিও কমতে ছিল। প্রবাসী আয়ও (রেমিট্যান্স) এক অর্থে কমতে ছিলই বলা যায়। ২ শতাংশ নগদ সহায়তা দিয়েও খুব ভালো ফল দেখা যায়নি।

প্রথম আলো: করোনা তাহলে কোন কোন বিষয়ে আঘাত করেছে?
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: ব্যয়ের চক্রে আঘাত হেনেছে। বিনিয়োগ ব্যয় ও ভোগ ব্যয়ে বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছে। সরকারি ব্যয়ও কমেছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) কথা যদি ভাবি, রাজনৈতিক কারণ বা অদক্ষতার কারণেই হোক না কেন, তৃতীয় ও চতুর্থ প্রান্তিকেই ব্যয়টা বেশি হয়, যা মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়। প্রায় সব ধরনের উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভোগ ব্যয়ও কমেছে। আবার অর্থনীতির ভালো একটি অংশ জুড়ে রয়েছে রেমিট্যান্স। ফেব্রুয়ারি থেকে বিদেশে শ্রমিক যাওয়া বন্ধ। অনেকে ফেরত এসেছেন, সামনের দিনগুলোতে বাড়তে পারে। এখানেও একটা বিরাট ধাক্কা।

প্রথম আলো: সরকার তো প্রায় লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এর কোনো প্রভাব?
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: হ্যাঁ, ঋণভিত্তিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এমএসএমই) শিল্প খাতকেও ঋণ দেওয়া হবে। কিন্তু তারা কি ঋণ পাবে? তারা তো বেশির ভাগ ঋণই নেয় অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে। অনেকে ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা থেকে নেয়। তাদের জন্য বাস্তবে সমান সুযোগ রাখা হয়নি। একটা আদর্শ ঋণব্যবস্থা তৈরি হলে ভালো হতো। কিন্তু ঋণ তো দেওয়া হবে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে। ফলে একটা গোষ্ঠীতান্ত্রিক ব্যবস্থা তৈরি হতে পারে এবং ব্যাংকের পরিচালক যাঁরা আবার ব্যবসায়ীও, তাঁদের মধ্যে একটা সমঝোতার সম্পর্ক তৈরি হবে।

প্রথম আলো: ঋণের টাকা ফেরত পাওয়ার বিবেচনায় ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিই কি যৌক্তিক নয়?
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: ঝুঁকি কমানোই তো ব্যাপার। তাহলে ব্যাসল-৩ অনুসরণ করুক। এমএসএমইদের ঋণ পাওয়ার যথাযথ নীতিমালা করুক। তা কিন্তু হয়নি। আরেকটি গুরুতর বিষয় আছে। কর মওকুফে রাজনৈতিক পক্ষপাত বলবৎ আছে। এগুলোও বাদ দিতে হবে।

প্রথম আলো: করোনার আক্রমণে খেটে খাওয়া মানুষ বড় বিপদে। সামাজিক নিরাপত্তা খাত নিয়ে কী বলবেন? আগামী বাজেটে এ খাতের মৌলিক কোনো পরিবর্তন দরকার?
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: এমনিতেই সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সরকারের বরাদ্দ অপর্যাপ্ত। যা বরাদ্দ থাকে, তা আবার দুর্নীতিগ্রস্ত। কর্মসূচিগুলো সর্বজনীন নয়, নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে নেওয়া এবং ত্রাণ বা খয়রাতভিত্তিকও। অর্থাৎ নাগরিক অধিকারভিত্তিক নয়। আবার উপকারভোগী নির্বাচন করা হয় রাজনৈতিক বিবেচনায়। এখন কী দেখছি? দুটি পয়সার আশায়, চারটি ভাতের আশায় মানুষ মরণকামড় দিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছে। শতাধিক সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি আছে। কিন্তু এগুলো কোনো একক ও সমন্বিত প্রশাসনিক ছাতার আওতায় নেই। গোটা সামাজিক নিরাপত্তা খাত ভেঙে পড়েছে। দেশে একটি সামাজিক নিরাপত্তা বিভাগ গঠন এখন জরুরি।

প্রথম আলো: দেশের স্বাস্থ্য খাতকে আপনিও বেহাল বলবেন? এ খাতের জন্য বাজেটে কি যথেষ্ট বরাদ্দ থাকে? আগামী সময়ে করণীয় কী?
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: স্বাস্থ্য খাতের অবস্থা জবুথবু। বরাদ্দ জিডিপির ১ শতাংশের কম। যা বরাদ্দ হয়, তা আবার ঠিকমতো খরচ হয় না। যা খরচ হয়, তার মান নিয়ে প্রশ্ন থাকে। এমন একটা স্বাস্থ্য খাত নিয়ে আমাদের মধ্যম আয়ের দেশের দিকে যাত্রা কি আদৌ সম্ভব? ব্যক্তি খাতে চিকিৎসাব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। প্রত্যেক নাগরিকের নির্দিষ্ট চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কার্ড থাকা চাই, সর্বজনীন চিকিৎসা ব্যবস্থা চাই। স্বাস্থ্য প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আলাদা ভাগ করে পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজাতে হবে। স্বাস্থ্যব্যবস্থা পরিচালনার জন্য স্বাধীন স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করা যেতে পারে। জাতীয় জনসংখ্যা তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা দরকার। জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করেই অনেক কাজ করা যায়। কয়েকটা কলাম বাড়িয়ে ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস যোগ করতে হবে। আগামী বছরই আদমশুমারি হবে। আদমশুমারি না করে পূর্ণাঙ্গ জাতীয় জনসংখ্যা তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা যায়। ওই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সামর্থ্যের ভিত্তিতে কাউকে বিনা খরচে, কাউকে স্বল্প খরচে এবং কাউকে বেশি খরচে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ তৈরি করতে হবে। এই তথ্যগুলোর ভিত্তিতে সর্বজনীন সামাজিক নিরাপত্তা সহায়তাও দেওয়া যাবে। খাদ্য রেশনও দেওয়া যেতে পারে। সার্থকতার সঙ্গে এনআইডি যাঁরা করেছেন, তাঁদেরকেই জাতীয় জনসংখ্যা তথ্যভান্ডার গড়ে তোলার কাজে নিয়োজিত করা যায়। এর সঙ্গে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন একীভূত করলে আদমশুমারি করতে হবে না। আদমশুমারির টাকা এ কাজে ব্যয় করা যেতে পারে।

প্রথম আলো: বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের টাকার সংস্থান নিয়ে আপনার পরামর্শ কী?
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: টাকার সংস্থান হবে। নিজস্ব, দ্বিপক্ষীয় এবং বহুপক্ষীয় উৎস থেকে তা সংস্থান করতে হবে। প্রথমেই অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে ফেলতে হবে। বিদ্যুৎ খাতে অহেতুক ভর্তুকি অনেক। প্রশাসনে আছেন অনেক অপ্রয়োজনীয় লোক। বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা ওএসডি হয়ে আছেন। তাঁরা কোনো সেবা দিচ্ছেন না, কিন্তু বেতন পাচ্ছেন। অন্যদিকে অতিরিক্ত সচিবের ছড়াছড়ি। কৃচ্ছ্রসাধনের দরকার নেই, তবে ব্যয় কমানো দরকার। বেশ কিছু বহুজাতিক কোম্পানি (এমএনসি) রয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে ফাঁকির অভিযোগ আছে। একটা ট্রান্সফার প্রাইসিং সেল গঠন করা হলেও তাদের কাজ চোখে পড়ছে না। এমএনসিগুলোর ব্যালান্স শিট পরীক্ষা করা দরকার। আবার কর মামলায় আটকে আছে বিপুল পরিমাণ টাকা। সালিসির মাধ্যমে এগুলো নিষ্পত্তি করা যায়।

প্রথম আলো: নিজস্ব না হয় বোঝা গেল, দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয়টা অর্থের সংস্থান নিয়ে আরেকটু বলবেন?
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: কোভিড-১৯ মোকাবিলার কথা জোর দিয়ে বলে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগীদের পাইপলাইনে থাকা অর্থ ছাড়ের কথা বলতে হবে।

প্রথম আলো: পুরো বিশ্বই তো আক্রান্ত। তারাও আক্রান্ত। কত জনকে কত অর্থ ছাড় করবে তারা?
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) আগে পাবে। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আছে। ঋণ মওকুফও চাইতে হবে এখন। বিদ্যমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে বলতে হবে, আমরা এখন ঋণ শোধ করতে পারব না। এটিরও নজির রয়েছে। আরও বেশি অনুদান চাইতে হবে। কম সুদের দীর্ঘমেয়াদি ঋণও চাইতে হবে। চীন তো আমাদের ভালো বন্ধু। তাদের কাছে তো জোর দিয়ে বলতেই পারি। এ জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রয়োজনে টাকা ছাপাতেও হবে। আমরা ভাসমান জাহাজ কিনতে পারলে এখন জ্বালানি তেল কিনে রেখে দিতে পারতাম। এতে তেলের ভর্তুকি কমে যেত। সৌদি আরব বা অন্য দেশগুলোকে বলতে পারি যে তোমরা এখন তেল দাও, পরে টাকা দেওয়া হবে। মোট কথা, ফাংশনাল অর্থায়নের দিকে যেতে হবে।

প্রথম আলো: এত ঋণ নিলে বাজেট ঘাটতি অনেক বেড়ে যাবে না?
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: এখন বাজেট ঘাটতির দিকে তাকানোর সময় নয়। বরাবরের ৪ থেকে ৫ শতাংশের তুলনায় বাজেট ঘাটতি দ্বিগুণ হলেও সমস্যা নেই। এটা জিডিপির ৯ শতাংশ হলেও কোনো সমস্যা নেই। ঘাটতি বড় বিষয় নয়, অর্থনীতিতে কী প্রভাবই রাখছে, তা-ই মূল।

প্রথম আলো: কম হারে দারিদ্র্য হার কমছিল, বলছিলেন।
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: আসলে প্রতিষ্ঠানগুলো যার যার দায়িত্ব পালন করছে না। করোনাকালে দারিদ্র্যের কী অবস্থা, নতুন দারিদ্র্যের কী অবস্থা, বিবিএস কোনো তথ্য হাজির করেনি। তথ্য থাকলে সমস্যা চিহ্নিত করা যায়, সমাধানের উদ্যোগও নেওয়া যায়।

প্রথম আলো: কৃষি ও শিল্প খাতের বিষয়ে কী বলবেন?
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: কৃষির ফলন আমাদের বাঁচিয়ে দিয়েছে। কৃষকের ন্যায্যমূল্যের ব্যবস্থা আমরা এখনো করতে পারিনি। আর রপ্তানিমুখী শিল্প খাতের কথা যদি বলি, বহুমুখিনতা এবং দেশীয় উৎপাদন সক্ষমতার কথা আমরা বলে আসছি। সময় এসেছে রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ তহবিল গঠনের। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দরকার সবুজ শিল্পায়ন এবং আঞ্চলিক বৈষম্য দূরীকরণে দেশব্যাপী গ্রামীণ উজ্জীবনী তহবিল। বিশ্বে অনেক উদাহরণ আছে।

প্রথম আলো: ‘এক জেলা, এক পণ্য’ কিন্তু চালু হয়েছিল। সমমূলধন তহবিলও (ইইএফ) চালু হয়েছিল। একটাও সফল হয়নি ভালোভাবে।
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: রাজনৈতিক কারণে, বলা যায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে তা সফল হয়নি।

প্রথম আলো: আমরা যে মধ্যম আয়ের দেশের দিকে যাচ্ছি, করোনার কারণে এখন কি তা পিছিয়ে যাবে?
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: করোনা যতটা আঘাত করেছে, এই ক্ষত শুকাতে ঋণনির্ভর পদক্ষেপ দিয়েই হবে না। ভালো একটা রাজস্ব নীতি প্রণয়ন করতে হবে। আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের অধিবেশন রয়েছে। তিন বছর মেয়াদি একটি পরিকল্পনা দাঁড় করিয়ে আমাদের বলার সুযোগ রয়েছে যে পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে আমরা কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। তখন সবার নজরও কাড়া যাবে। বাস্তবতা এড়িয়ে সবকিছুকে অস্বীকার করার এবং জবাবদিহিহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে কল্যাণকামী রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে যাওয়া খুব কঠিন হবে।
প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।

রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: আপনাকেও ধন্যবাদ।