উন্নতির হাত ধরে বৈষম্য বেড়েছে

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
>

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৬ সালে, ব্রিটিশ শাসনামলে। দীর্ঘ সময় তিনি দেখেছেন বাঙালির রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ইতিহাসের অনেক ভাঙাগড়া। গতকাল মঙ্গলবার প্রখ্যাত এই লেখক, অধ্যাপক এবং মুক্তচিন্তার ধারক ৮৫ বছরে পদার্পণ করলেন। জন্মদিন উপলক্ষে তিনি কথা বলেছেন প্রথম আলোর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শরিফুজ্জামান। 

প্রথম আলো: শুভ জন্মদিন। জীবনের বড় একটা সময় আপনি পার করে এলেন। জাতি হিসেবে আমরা কী পেয়েছি আর কী পাইনি, তার হিসাবটা আপনার কাছে কী?

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: অনেক ধন্যবাদ। আমাদের জন্য জাতি সমস্যার ও শ্রেণি সমস্যার মীমাংসা ছিল একটি মস্ত বড় বিষয়। এর সমাধান ব্রিটিশ ভারতে হয়নি। সর্বভারতীয় রাজনীতিও তা কখনো মেনে নেয়নি, যে উপমহাদেশে ছিল বহু জাতির দেশ। না মানার জন্য হিন্দু ও মুসলমান—দুই সম্প্রদায়কে দুই জাতি হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেশ ভাগ হয়েছে।

পাকিস্তান জাতি বলে কিছু ছিল না। সেখানে ছিল বাঙালি, পাঞ্জাবি, সিন্ধি, পাঠান ও বেলুচ—এই পাঁচ জাতির বাস। পাকিস্তান ভেঙে বের হয়ে এসে আমরা যা পেলাম, তা হলো স্বতন্ত্র জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা। কিন্তু তাতে শ্রেণি সমস্যার মীমাংসা হলো না।

এখন শ্রেণি সমস্যাটা সামনে এসেছে। তার সমাধানের সুযোগ হয়েছে। সেটাই হচ্ছে বড় অর্জন। এর ভেতরে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি, বৈষয়িক উন্নতি—অনেক কিছু ঘটেছে। যা বাকি আছে, তা হচ্ছে শ্রেণি সমস্যার সমাধান। অর্থাৎ সামাজিক বিপ্লবের মাধ্যমে শ্রেণিবিভাজন দূর করে মানুষের অবরুদ্ধ সৃষ্টিশীলতা উন্মুক্ত করা। শোষণ-নিপীড়নের জায়গাতে মৈত্রী প্রতিষ্ঠা।

প্রথম আলো: করোনার অতিমারির কালে আর্থিক ব্যবস্থা, জীবিকা, স্বাস্থ্যসেবা মিলিয়ে মানুষের বৈষম্য তার প্রকট চেহারা তুলে ধরেছে। কল্যাণকামী রাষ্ট্রের বাসনা কি আমরা পেছনে ফেলে এলাম? মুক্তিযুদ্ধের বৈষম্যহীনতার স্বপ্ন থেকে আমাদের রাষ্ট্র এখানে চলে এল কীভাবে?

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: করোনার আক্রমণ ধরিয়ে দিল, আমাদের সব উন্নতির অন্তরালে একটা অন্ধকার আছে, শূন্যতাও বলা যায়। সেটা হলো নিরাপত্তার অভাব। বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাব্যবস্থার ক্ষেত্রে ভয়াবহ দুর্বলতা। এটা রাষ্ট্রের পুঁজিবাদী চরিত্রের জন্যই ঘটেছে। পাকিস্তানি শাসনামলে উন্নতি হচ্ছিল পুঁজিবাদী ধারায়। এখনো সেই ধারাতেই উন্নতি হচ্ছে। এর কারণ হলো, স্বাধীন বাংলাদেশে ধারাবাহিকভাবে যাঁরা রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছেন, তাঁরা সবাই ছিলেন জ্ঞাতে অথবা অজ্ঞাতে পুঁজিবাদে দীক্ষিত। ফলে পুঁজিবাদী উন্নয়নের যে নিয়ম, তার বাস্তবায়নই ঘটেছে। যত উন্নতি হয়েছে, ততই বেড়েছে বৈষম্য।

চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সেই একই ঘটনা। চিকিৎসা পণ্যে পরিণত হয়েছে। তারাই সুবিধা করতে পারছে, যাদের ক্রয়ক্ষমতা আছে। অন্যরা বঞ্চিত হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ছিল একটি সামাজিক বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজের প্রতিষ্ঠা। সেই সামাজিক বিপ্লব সম্ভব হয়নি। কারণ, সমাজবিপ্লবীরা রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে পারেননি।

প্রথম আলো: এত দিন প্রভাব বিস্তার করে রাখা উন্নয়নের রাজনীতিতত্ত্বের সমস্যা নিয়ে বিশ্বব্যাপী বিতর্ক শুরু হয়েছে। সামনের দিনের রাজনীতিতে কোন বিষয়গুলোর দিকে আমাদের বেশি দৃষ্টি দেওয়া দরকার?

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: সামনের দিনে রাজনীতির ক্ষেত্রে মূল প্রশ্নটা দাঁড়াবে শ্রেণিবৈষম্য দূর করা। করোনা সবাইকে আক্রমণ করেছে, এটা সত্য। কিন্তু এই আক্রমণে ধনী দেশগুলোর তুলনায় অনগ্রসর দেশগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ধনীরা দাঁড়িয়ে যাবে, গরিবেরা মুখ থুবড়ে পড়বে।

ঠিক একই ঘটনা ঘটবে প্রতিটি দেশের অভ্যন্তরেও। সেখানেও দেখা যাবে, গরিব আরও গরিব এবং ধনীদের একাংশ আরও ধনী হবে। যেন সেই আদিম বন্যনীতি—সে–ই টিকবে যার ক্ষমতা আছে। এই নীতির পরিবর্তনই হবে আগামী দিনের বিশ্বরাজনীতির নতুন গতিমুখ। ইতিহাসের গতিকে ব্যক্তিমালিকানার ধারা থেকে সামাজিক মালিকানার ধারায় নিয়ে যাওয়ার সংগ্রাম চলবে, প্রতিটি দেশে এবং গোটা বিশ্বে।

প্রথম আলো: নিবর্তনমূলক আইনকানুন ও ভয়ভীতির মধ্যে করোনার এই সময়েও মানুষকে খোলামেলা মত প্রকাশ করতে দ্বিধাগ্রস্ত দেখা যাচ্ছে। এই সময়ে নানা কিছুর মধ্যে দৈনিক পত্রিকাসহ তথ্যমাধ্যমগুলো তীব্র আর্থিক চাপে অস্তিত্ব রক্ষার সংকটে পড়েছে। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভের ওপর এই চাপ কি মতপ্রকাশের পরিসরকে আরও চাপের মধ্যে ফেলবে? মতপ্রকাশের পরিসর রক্ষার উপায় কী?

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা আইনকানুন জারি করা হয়েছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। সংবাদপত্রের অস্তিত্ব যদি বিপন্ন হয়, তাহলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ভীষণভাবে কমে যাবে। মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভ প্রকাশের পথ সংকীর্ণ হয়ে যাবে। এর ফলে আশঙ্কা দেখা যাবে নৈরাজ্যিক বিস্ফোরণের, যা কোনোমতেই কাম্য নয়। কাম্য হচ্ছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিয়ে সামাজিক পরিবর্তনে রাজনীতির জন্য এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করা।

প্রথম আলো: করোনা পরিস্থিতি পরিবেশ ও প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষার প্রশ্নটিকে নতুন করে সামনের দিকে নিয়ে এসেছে। আপনি নিজে পরিবেশ আন্দোলনে সম্পৃক্ত। সামনের দিনগুলোতে এ ব্যাপারে কোন বিষয়গুলোর ওপর আপনি জোর দিতে চান?

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: বলা হচ্ছে, করোনা মানুষের সৃষ্টি নয়। প্রকৃতি থেকে এসেছে। কথাটা নিতান্ত মিথ্যা নয়। কিন্তু প্রকৃতি থেকে কেন এল এই রোগ? প্রকৃতির ওপর মুনাফালোভী মানুষের নিষ্ঠুর নিষ্পেষণ চলছে। প্রকৃতি পুঁজিবাদী মুনাফালিপ্সার শিকার হয়েছে। সে জন্য জলবায়ু পরিবর্তন ঘটেছে। ধরিত্রী তপ্ত হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, খরা, প্লাবন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমুদ্রের পানির স্তর উঁচু হয়ে উঠছে। প্রকৃতির সঙ্গে মৈত্রী স্থাপন করা এখন তাই অত্যাবশ্যক। সে জন্য প্রথমে যা করতে হবে তা হলো বিষাক্ত গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর জন্য বিশ্বব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলা। কিন্তু সেই আন্দোলন রাজনীতিনিরপেক্ষ হবে না। সেটা হবে পুঁজিবাদকে হটিয়ে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনেরই অংশ। এখানে চাই নতুন আন্তর্জাতিকতার প্রতিষ্ঠা, যা বাণিজ্যিক হবে না, হবে মানবিক। যার মূল কথা হবে মানুষের সঙ্গে মানুষের এবং মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির মৈত্রী স্থাপন করা।

প্রথম আলো: মানুষ অবসাদগ্রস্ত, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অস্থির, অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে উৎকণ্ঠিত। এই সময়ে সবার উদ্দেশে আপনি কী বলবেন?

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: এখন দরকার, আসল রোগটা কোথায় তা চিহ্নিত করা। করোনা ভয়ংকর রোগ। এই রোগ মারাত্মক ব্যাধির লক্ষণও বটে। সেই ব্যাধির নাম পুঁজিবাদ। সামন্তবাদের নিগড় ভেঙে পুঁজিবাদ এসেছিল মুক্তির প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রগতিশীল শক্তি হিসেবে; কিন্তু তার ভেতরে ছিল সম্পদের ব্যক্তিমালিকানাকে বিকশিত করার এক অঙ্গীকার। সেই ব্যবস্থার বদল কীভাবে করা যায়, কীভাবে ব্যক্তিমালিকানার পৃথিবীকে বদলে দিয়ে সামাজিক মালিকানার নতুন জগৎ প্রতিষ্ঠা করা যায়, সে জন্য চিন্তা ও কাজ করতে হবে; গড়ে তুলতে হবে সামাজিক ঐক্য।

করোনাভাইরাস যেটা করল, সেটা একেবারে পুঁজিবাদী তৎপরতা। মানুষকে সামাজিকতা ভুলে সম্পূর্ণভাবে আত্মকেন্দ্রিক হওয়া এবং আত্মরক্ষার গুহার মধ্যে প্রবেশ করা। এ ব্যবস্থা কিন্তু আদিমকালেও ছিল না। আদিমকালেও মানুষের সঙ্গে মানুষের এবং প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সহমর্মিতা ছিল। আজও সেই সহমর্মিতা আরও বিকশিত করা দরকার। এই উপলব্ধিটা অবশ্যই আসবে। আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য হবে, এই উপলব্ধিকে আরও তীব্র ও গভীর করে তোলা।

প্রথম আলো: স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে সমাজের কোন অগ্রগতি আপনার নজর কেড়েছে, কোন অবনতিতে ব্যথিত হয়েছেন?

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: গত ৫০ বছরে দৃশ্যমান অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এর মধ্যে মেয়েদের শিক্ষায় অগ্রগতিটা অভূতপূর্ব। মেয়েরা পড়াশোনা করছে, ভালো ফল করছে, ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা ইতিহাসে ছিল না। কিন্তু এর পাশাপাশি মেয়েদের নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে, তারা ধর্ষিত হচ্ছে, গণধর্ষণের শিকার হচ্ছে। এটা ব্যথিত হওয়ার মতো ঘটনা।

এসবের কারণ হচ্ছে, মানুষের স্বাভাবিক বিনোদনের সুযোগ সংকুচিত হচ্ছে। স্থূল ভোগবাদিতা অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের গণমাধ্যমে সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা নেই। সামাজিকভাবে মানুষ যে সংস্কৃতির চর্চা করবে, আলোচনা করবে, পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হবে, একে অপরকে উজ্জীবিত করবে—এসবের সুযোগ ক্রমাগত কমে যাচ্ছে।

প্রথম আলো: চীন-ভারত যুদ্ধাবস্থা ও উত্তেজনা চলছে। দুটি দেশই বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। কিন্তু এখনকার পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জন্য সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখা কতটা সম্ভব?

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: চীন-ভারত কোনো বলয়ে জড়িয়ে পড়া আমাদের ঠিক হবে না। চীন তার নিজস্ব বলয় তৈরি করছে, ভারতের সঙ্গে যুক্ত হবে আমেরিকা।

আমাদের চেষ্টা থাকা উচিত এই দুই বলয়ের বাইরে থাকা। ভারত-চীনের এই উত্তেজনা ও সংঘর্ষ কিন্তু ঘটতেই থাকবে। এর মধ্যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চেষ্টা থাকা উচিত কারও মুখোমুখি না হওয়া, নিরপেক্ষতা বজায় রাখা। আর আমাদের মনে রাখা উচিত, মিয়ানমার ইস্যুতে চীন-ভারতের কেউই কিন্তু বাংলাদেশের পাশে থাকেনি।

প্রথম আলো: করোনার এই সময়ে আনিসুজ্জামান, জামিলুর রেজা চৌধুরী ও কামাল লোহানীর মতো অভিভাবকসম অনেক মানুষ চলে গেলেন। পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে তাঁদের মতো মানুষ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমাদের ব্যর্থতা কোথায়? এ শূন্যতা আমরা পূরণ করব কী করে?

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: তাঁরা সবাই বেরিয়ে এসেছেন সামাজিক, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ভেতর দিয়ে। সেই আন্দোলন রাজনীতিনিরপেক্ষ ছিল না। ওই আন্দোলন এখন পুঁজিবাদের সর্বগ্রাসী তাণ্ডবের কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে। ব্যক্তিমানুষ এখন শুধু নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে। সমষ্টির কথা ভাবার সময় ও সুযোগ পায় না। এখন তাই প্রয়োজন সমষ্টিগত অগ্রগতির চেতনাকে ফিরিয়ে আনার জন্য রাজনৈতিক আন্দোলনের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলা। বিশেষভাবে নজর দিতে হবে কিশোর-কিশোরীদের ওপর। তা ছাড়া সর্বক্ষেত্রে জ্ঞানের চর্চাকে উৎসাহিত করা দরকার। এ জ্ঞান হবে তেমন জ্ঞান, যা মানুষের উপকারে আসে এবং বিদ্যমান অন্যায় ব্যবস্থাকে পরিবর্তনের জন্য সহায়ক হয়। যাঁরা প্রকৃত উন্নতি চান, অন্যায় ব্যবস্থাকে মানতে চান না, তাঁদের এগিয়ে আসা চাই এই জ্ঞানের চর্চায়। সেটা কেউ একা করতে পারবেন না। সে জন্য সংস্কৃতি ও রাজনীতি—উভয় ক্ষেত্রেই সংগঠিত আন্দোলন গড়ে তোলা অত্যাবশ্যকীয়।

মেধার সর্বজনীন মান পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু লোক মেধাবী, বাকিরা মেধা বিকশিত করার সুযোগ পাচ্ছে না। আবার মেধাবীদের অনেকেই চেষ্টা করছে দেশত্যাগের। এ সবকিছু মিলিয়ে লক্ষণটা ভালো বলা যায় না।

আরেকটি বিষয় হচ্ছে, শিক্ষাটা চলে গেছে বাজারে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা শ্রেণিকক্ষের বাইরে। কোচিং সেন্টার ও নোট-গাইডের ওপর নির্ভরশীলতা মেধার বিকাশে বড় অন্তরায়। এসবের কারণে ভালো ফল হয়, কিন্তু প্রকৃত জ্ঞানের বিকাশ ঘটে না। জ্ঞানই শক্তি—এই পুরোনো সত্যের কাছে আমাদের ফিরে যেতেই হবে।