মিয়ানমারে নির্বাচন: জটিল সমীকরণে সু চি

অং সান সু চির বেসামরিক শাসনের ভবিষ্যতের জন্য মিয়ানমারের নির্বাচনেও নজর রাখবে দক্ষিণ এশিয়ার সবাই। ছবি: রয়টার্স
অং সান সু চির বেসামরিক শাসনের ভবিষ্যতের জন্য মিয়ানমারের নির্বাচনেও নজর রাখবে দক্ষিণ এশিয়ার সবাই। ছবি: রয়টার্স

করোনার মধ্যেই মিয়ানমারে জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হয়ে গেল। ১ জুলাই দেশটির নির্বাচন কমিশন জানাল, আগামী ৮ নভেম্বর নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাঁচ দিন পর মিয়ানমার নির্বাচনী গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষায় নামছে। গোলার্ধের দুই প্রান্তের দুই অঞ্চল হলেও উভয় নির্বাচনই এশিয়ায় মনোযোগের বিষয় এখন। বেইজিংয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটনের তিক্ততায় আসিয়ান অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন গুরুত্ব পাচ্ছে। আর অং সান সু চির বেসামরিক শাসনের ভবিষ্যতের জন্য মিয়ানমারের নির্বাচনেও নজর রাখবে দক্ষিণ এশিয়ার সবাই।

নির্বাচন না করেও সেনাবাহিনীর হাতে ২৫ ভাগ আসন
৮ নভেম্বর একই সঙ্গে ১ হাজার ১৭১টি আসনে নির্বাচন হবে। এই আসনগুলো তিন স্তরের। কেন্দ্রীয় পার্লামেন্ট, আঞ্চলিক ও প্রদেশের প্রতিনিধিসভা মিলে ওই আসনসংখ্যা। কেন্দ্রীয় ‘ইউনিয়ন পার্লামেন্ট’–এর আবার দুটি কক্ষ। স্থানীয়ভাবে বলা হয়, ‘আমোথা হুলুথ’ (উচ্চকক্ষ) এবং ‘প্লিথু হুলুথ’ (নিম্নকক্ষ)।

নির্বাচনের মূল আকর্ষণ প্লিথু হুলুথকে ঘিরে। এখানে আসন ৪৪০। নির্বাচন হবে ৭৫ ভাগ আসনে। বাকি আসন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত। নির্বাচন না করেই সেনাবাহিনী জনপ্রতিনিধিত্বের ২৫ ভাগ আসন নিজেদের হাতে রাখে। দেশটির সাংবিধানিক রীতি এটা। প্লিথু হুলুথের ৩৩০টি আসনের মতোই আমোথা হুলুথের ১৬৮ আসনে নির্বাচন হবে। এ ছাড়া ভোট হবে সাতটি ‘স্টেট’ ও সাতটি ‘রিজিয়ন’-এর প্রতিনিধি সভার। এভাবে সব মিলে নির্বাচনযোগ্য আসনসংখ্যা দাঁড়ায় ১ হাজার ১৭১। ৩ কোটি ৭০ লাখ ভোটার এই প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করবে। প্রত্যেক ভোটার একই সঙ্গে তাঁর স্টেট বা রিজিয়ন এবং কেন্দ্রীয় উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের জন্য ভোট দেন। তিন স্তরের জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচিত করেন তাঁরা।

সু চির জন্য পরিস্থিতি আগের মতো নেই
দীর্ঘ সেনাশাসনের পর বহুদলীয় নির্বাচনী গণতন্ত্রের সূচনা মিয়ানমারে বেশি দিনের নয়। এক দশক হয়নি সেই রাজনৈতিক সংস্কৃতির। তারপরও দেশটিতে রাজনৈতিক দলের সংখ্যা প্রায় ১০০। নির্বাচন কমিশনে নথিভুক্ত দলের সংখ্যা প্রায় ৯৫। গত নির্বাচনেও ৯১টি দল অংশ নেয়। অধিকাংশই আঞ্চলিক দল। জাতীয় পর্যায়ে প্রধান দল দুটি। এনএলডি বা ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি এবং তার প্রতিপক্ষ ইউএসডিপি (ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি)। ইউএসডিপিকে সেনাবাহিনী প্রভাবিত দল মনে করা হয়। দুটো দলেই মূল জাতিসত্তা ‘বামার’দের আধিপত্য। যে দলই জিতবে, তাতে জাতীয় রাজনীতিতে বামারদের আধিপত্যই বহাল থাকছে। লোকসংখ্যার ৭০ ভাগই বামার। যদিও খনিজসমৃদ্ধ প্রান্তিক অঞ্চলে অন্যান্য নৃগোষ্ঠী বেশি।

রোহিঙ্গাদের দুরবস্থার কারণে এনএলডি ও তার নেত্রী অং সান সু চি বিদেশে নিন্দার শিকার হলেও দেশে এখনো জনপ্রিয়। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে। ফলে, নির্বাচনে তাঁর দল যে তুলনামূলকভাবে ভালো করবে, তা সন্দেহাতীত। কিন্তু কতটা ভালো করবে, তা নিয়ে সন্দেহ-অবিশ্বাস আছে। আঞ্চলিক দলগুলো এবং ইউএসডিপির আসন বাড়লে সু চিকে বর্তমান অবস্থার চেয়েও বেশি আপস করতে হবে। তবে দুই শক্তির সঙ্গে আপসের ধরন হবে ভিন্ন।

গত নির্বাচনে ইউনিয়ন পার্লামেন্টের নির্বাচনযোগ্য আসনগুলোর ৪৯১টিতে নির্বাচন হয়। সাতটি আসনে নির্বাচন স্থগিত ছিল। এনএলডি পায় ৩৯০টি (২৫৫ + ১৩৫)। প্রায় ৮০ ভাগ আসন তাদের দখলে যায়। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসনের চেয়ে এটা বেশি ছিল। নির্বাচিত ও অনির্বাচিত সব আসন মিলে সর্বশেষ ইউনিয়ন পার্লামেন্টে তাদের ৫৮ ভাগ গরিষ্ঠতা আছে। আরাকান ও শান ব্যতীত অন্য ‘স্টেট’ ও ‘রিজিয়ন’–এও ২০১৫ সালে এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। এবার পরিস্থিতি একদম আগের মতো নয়।

নির্বাচনের আগে সেনাবাহিনীতে রদবদল
পাঁচ বছর পুরোদমে বেসামরিক শাসন চললেও মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর প্রভাব এখনো বিপুল। নির্বাচনের পরও মন্ত্রিসভার তিনজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য থাকবেন সশস্ত্র বাহিনী থেকে। এর বাইরেও সেনাবাহিনীর প্রভাবের জায়গা আছে। দুই প্রধান দলের একটি—ইউএসডিপি—সেনা পরিকল্পনামতো কাজ করে। গত নির্বাচনে ইউএসডিপি এনএলডির কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছে। ইউনিয়ন পার্লামেন্টে তাদের প্রাপ্ত আসন ছিল ৫ ভাগের মতো। স্টেট ও রিজিয়নে ছিল ৮ ভাগের মতো। দলটির নির্বাচনী এই করুণ ফল সশস্ত্র বাহিনীর জন্য খারাপ বার্তা ছিল। যদিও দেশটিতে সেনাবাহিনী বেশ জনপ্রিয়, যা এক স্ববিরোধী অবস্থা।

বামার জাতীয়তাবাদের প্রধান দুই গর্বের জায়গা সেনাবাহিনী ও ভিক্ষুসংঘ। জনগণ এই দুটোর প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা লালন করে। কিন্তু ভোটের সময় কেন সু চির দলকে সমর্থন জানায়, তা দেশটির রাজনৈতিক সংস্কৃতির এক গভীর রহস্য। তবে সেনাবাহিনী ও ভিক্ষুসংঘের মতো এনএলডিতেও বামাররাই একচেটিয়া। এটাই হয়তো ‘সমাজ’-এর ‘স্বস্তি’র জায়গা। তবে সেনাবাহিনী এই অবস্থায় সন্তুষ্ট নয়। সু চির প্রতি তাদের অসন্তোষ আছে। আসন্ন নির্বাচনে তারা আরও প্রভাব বাড়াতে চাইবে। গত মাসেই ‘সিনিয়র জেনারেল’ মিন অং হ্লাই সেনাবাহিনীতে ব্যাপক রদবদল এনেছেন। দেশটিতে সশস্ত্র বাহিনীর হাতে প্রচুর প্রতিষ্ঠান আছে। নির্বাচনের আগে সেগুলোকে নতুন করে সক্রিয় করে তোলা হচ্ছে রদবদলের মাধ্যমে।

প্রাদেশিক দলগুলো সু চির আসন কমাতে পারে
মহামারির মধ্যেও নির্বাচনের পথে এগোনো বেসামরিক শাসনের দিকে মিয়ানমারের অঙ্গীকারই প্রকাশ করছে। তবে মারি রুখতে নির্বাচনকালে বিধিনিষেধ থাকছে অনেক। এই বিধিনিষেধ আঞ্চলিক দলগুলোকে কিছুটা কোণঠাসা করেছে। নতুন কয়েকটি দল অনেক বছর ধরে এনএলডি ও ইউএসডিপির বিকল্প হতে চাইছে। তারা নিজেদের পরিচিতি বাড়ানোর সুযোগ পাবে না করোনার বিধিনিষেধে। এতে পরোক্ষে এনএলডি ও ইউএসডিপির লাভ।

মিয়ানমারের সমাজজীবনের মূল সংকট ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর বিপরীতে বামারদের ঐতিহাসিক একচেটিয়া আধিপত্য ও সামরিকায়ন। আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলো এ অবস্থার অবসানে লড়ছে। কিন্তু মহামারির মধ্যে নির্বাচন তাদের জন্য অসুবিধাজনক হয়েছে।

এনএলডি অ-বামার জাতিসত্তাগুলোর স্বার্থে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ২০১৫ সালের নির্বাচনে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল সংবিধান সংস্কার এবং দেশটিকে সত্যিকারের ‘ফেডারেশন’ হিসেবে গড়ে তোলা—যেখানে স্থানীয় সম্পদে স্থানীয় জাতিসত্তার সুনির্দিষ্ট হিস্যা থাকবে।

এসবের কিছুই হয়নি পাঁচ বছরে। এই না হওয়ার কথা সামান্যই বলা যাবে আসন্ন নির্বাচনে। সাতটি প্রদেশেই এনএলডি করোনার বিধিনিষেধের সুবিধা পাবে। তারা কোনো আঞ্চলিক দলের সঙ্গে জোটও করতে চাইছে না এখন।

প্রাদেশিক স্থানীয় দলগুলো নিজ নিজ এলাকায় জনপ্রিয় হলেও জাতীয় পরিসরে কোনো জোট নেই তাদের। তারা যাতে কোনোভাবে ইউনিয়ন পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, তার জন্য বামারদের প্রাধান্যপূর্ণ সাতটি ‘রিজিয়ন’-এর প্রতিনিধি দিয়ে সাতটি ‘স্টেটে’র প্রতিনিধিসংখ্যাকে কমিয়ে রাখা হয়েছে। রিজিয়নগুলোয় ক্ষুদ্র জাতিসত্তার অনেক মানুষ আছে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে বামাররাই সেখানে কোনো না কোনো দল থেকে নির্বাচিত হবে। নির্বাচনী আইনের সাম্প্রতিক এক সংশোধনী এমনভাবে করা হয়েছে, যাতে প্রদেশগুলোতেও বামার ভোটারসংখ্যা কিছুটা বাড়ে। এতে প্রাদেশিক দলগুলো এনএলডির ওপর বাড়তি ক্ষিপ্ত।

নির্বাচনের তোড়জোড়ের মধ্যে অনেক অঞ্চলে ছোট ছোট দলের মধ্যে জোট গড়ার তাগিদ আছে। এতে কিছু স্টেটে এনএলডি তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়তে পারে। আঞ্চলিক জাতিসত্তার মানুষ চাইছে তাদের এলাকার জনপ্রতিনিধি হোক স্থানীয় কোনো দল থেকে; এনএলডি বা ইউএসডিপি থেকে নয়। প্রাদেশিক দলগুলোর এই কৌশল সফল হলে নির্বাচনের পর এনএলডিকে সরকার গঠন করতে তাদের সঙ্গে জোট করতে হতে পারে। অনেক রাজনৈতিক ভাষ্যকার মনে করছেন, কেন্দ্রীয়ভাবে এনএলডির ২০ ভাগ আসন কমতে পারে স্টেটগুলোয় স্থানীয় দলগুলোর জোটবদ্ধতার কারণে। প্রদেশের প্রতিনিধিসভায়ও আগের মতো তারা একচেটিয়া বিজয়ী হবে না।

গত নির্বাচনে শান ও আরাকানে এনএলডি খারাপ করেছিল। এবারও এই দুই প্রদেশে সু চির দলের অবস্থা ভালো নয়। এর বাইরে কাচিন ও কারেনদের মধ্যে জোটবদ্ধতার প্রবণতা প্রবল। কিছুদিন আগে কাচিন স্টেট পিপলস পার্টি (কেএসপিপি) গঠিত হলো স্থানীয় ছয়টি দল মিলে। মন ইউনিটি পার্টিও তাদের এলাকায় এনএলডির ভোট কমাতে একই কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে। চিন ও শান প্রদেশেও একই আলামত আছে। প্রাদেশিক দলগুলো যেকোনোভাবে এবার কেন্দ্রের সরকারে থাকতে চাইছে। এরা এনএলডির ঐতিহাসিক মিত্র। এদের সঙ্গে এনএলডির চলতি দূরত্ব সেনাবাহিনীর ছদ্মদল ইউএসডিপির জন্য খুশির খবর। তারাও চাইছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দ্বিমুখী না হয়ে ত্রিমুখী হোক। তাতে ইউএসডিপি নির্বাচনের আগে-পরে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকতে পারে। যেহেতু পার্লামেন্টে সেনাবাহিনীর ২৫ ভাগ ‘এমপি’ থাকছেই, সুতরাং ইউএসডিপি মূল নির্বাচনে ১৫ থেকে ২০ ভাগ আসন পেলে এবং আঞ্চলিক দলগুলো ১০ থেকে ১৫ ভাগ আসন পেলে এনএলডির জন্য গুরুতর সংকট তৈরি হতে পারে। এ রকম সংকটের প্রধান ফল হবে এনএলডির পক্ষে পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাউকে নির্বাচিত করতে না পারা। মিয়ানমারে কাগজপত্রে প্রেসিডেন্টই সর্বসময় ক্ষমতার অধিকারী। সশস্ত্র বাহিনী ও ইউএসডিপি যদি কোনোভাবে প্রেসিডেন্ট পদ অধিকার করে নিতে পারে, তাহলে এনএলডি সরকার গড়ে প্রতিদিনই ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়বে। যদিও এই সম্ভাবনা এখনো ক্ষীণ; তবে বর্তমান কমান্ডার ইন চিফের ২০২১-এ মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট হওয়া-না হওয়া নিয়ে মিয়ানমারে অনেক গুঞ্জন আছে। সবকিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলের ওপর।

রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে বেসামরিক শাসনের বিকাশ জরুরি
২০১৫ সালে সেনাশাসন–পরবর্তী মিয়ানমারের প্রথম নির্বাচন দক্ষিণ এশিয়ায় গণতন্ত্রপ্রেমীদের উজ্জীবিত করেছিল। কিন্তু দুই বছরের মাথায় আরাকানে রোহিঙ্গা গণহত্যার ঘটনা ঘটে। লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালাতে বাধ্য হয়। গত পাঁচ বছরের বেসামরিক শাসনের শেষ লগ্নেও দেশটির আর্থসামাজিক পরিসরে রোহিঙ্গা ও মুসলমানঘৃণার বাড়বাড়ন্তই দেখা যাচ্ছে। ফলে, সু চি ও দেশটির গণতন্ত্র নিয়ে আশাবাদী হওয়া দুরূহ। তারপরও আগামী নভেম্বরের আসন্ন নির্বাচন প্রতিবেশী বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যবহ। এনএলডি জিতে পুনরায় সরকার গঠন করলে দেশটিতে রাজনীতিবিদদের প্রভাব কিছুটা বাড়তে পারে। বেসামরিক শাসন-সংস্কৃতির এই বিকাশ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের আলোচনায় ঢাকার জন্য বিশেষ দরকার।

গত নির্বাচনে কোনো রোহিঙ্গা বা মুসলমানকে কোনো দল থেকে প্রার্থী হতে দেওয়া হয়নি। এবারও তেমন ঘটার শঙ্কা আছে, যা বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের পক্ষে মোটেই ইতিবাচক পরিবেশের ইঙ্গিত দেয় না। এমনও খবর মিলছে, আরাকানে রাখাইন গেরিলাদের রুখতে সশস্ত্র বাহিনী চাইছে সেখানে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা হোক। সে রকম হলে সাংবিধানিকভাবে এলাকার নির্বাহী ও বিচারিক ক্ষমতাও চলে যাবে সশস্ত্র বাহিনীর হাতে, যা হবে আরাকানের জনজীবনের কফিনে শেষ পেরেকের শব্দের মতো।

আলতাফ পারভেজ: দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাস বিষয়ে গবেষক