মো. সাহেদ ক্ষুদ্র একজন খেলোয়াড় মাত্র

মো. সাহেদ বা সাহেদ করিম। ছবি: ফেসবুক
মো. সাহেদ বা সাহেদ করিম। ছবি: ফেসবুক

এ সময়ের সবচেয়ে আলোচিত চরিত্র রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক, ‘টক শো নায়ক’ মো. সাহেদ বা সাহেদ করিম। রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকদের সঙ্গে নানা উপায়ে সুসম্পর্ক তৈরি করে ক্ষমতার বলয়ে ঢুকে অর্থবিত্তের মালিক হওয়ার ছোট্ট একটা উদাহরণ তিনি। তাঁর ঠিক আগের আলোচিত চরিত্র ছিলেন সাংসদ মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম ওরফে পাপুল ও তাঁর সাংসদ স্ত্রী সেলিনা ইসলাম। অবৈধ পথে অর্থ উপার্জন করে রাজনীতি ও ক্ষমতার বলয়ে ঢুকেছেন, দুই হাতে অর্থ বিলিয়ে সাংসদ হয়েছেন। পাপুলের আগে ঋণের জমানত নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় এক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন সিকদার গ্রুপের মালিকের দুই পুত্র রণ ও দিপু সিকদার। গ্রুপটির সবাই ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ঘনিষ্ঠ এবং রাজনীতি না করেও তাঁদের পরিবারেরও একজন সদস্য সাংসদ হয়েছেন।

এর আগে হঠাৎ আলোচনায় এসেছিলেন পাপিয়া নামের আরেক রাজনৈতিক নেতা। মূলত, রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালীদের সঙ্গে সম্পর্ক করে তদবির–বাণিজ্যই ছিল পাপিয়ার পেশা। পাপিয়ার আগে আলোচিত ছিলেন ক্যাসিনোর নায়কেরা। তাঁদের বাড়িভর্তি নগদ অর্থ আর শত শত বাড়ি-ফ্ল্যাটের মালিকানার খবর এখনো পাওয়া যাচ্ছে। তার আগে ছিল স্বাস্থ্য খাতের ঠিকাদার মিঠু–কাহিনি, তারও আগে...। তালিকা অনেক লম্বা, শেষ হবে না।

জনপ্রিয় ম্যাগাজিন দ্য ইকোনমিস্ট ২০১৪ সালে নতুন এক সূচক প্রকাশ করে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সূচকটি ছিল ‘ক্রনি ক্যাপিটালিজম ইনডেক্স’। দুই বছর পরে, ২০১৬ সালে সূচকটি আবার হালনাগাদ করা হয়। তারপর আর সূচকটি প্রকাশ করেনি ম্যাগাজিনটি। ক্রনি ক্যাপিটালিজমকে বাংলায় বলা যায় ‘স্বজনতোষী পুঁজিবাদ’। দ্য ইকোনমিস্ট যেভাবে এর সংজ্ঞা দিয়েছিল, সেটা আগে বলি। তারা বলেছে, বিশ্বের অনেক শীর্ষ ধনী প্রচুর অর্থের মালিক হয়েছেন স্রেফ ‘রেন্ট সিকিং’ করে। এর বাংলা হচ্ছে অনুপার্জিত আয়। অর্থনীতির ভাষায় যাকে বলা যায় সাধারণ মানুষ কোনো পণ্য কিনতে বা সেবা পেতে যা পরিশোধ করে, আর যা করা উচিত ছিল—এই দুইয়ের পার্থক্যই হলো ‘ইকোনমিক রেন্ট’। ব্যাখ্যাটা এ রকম—প্রতিটি দেশে এমন অনেক খাত আছে, যেখানে ব্যবসা করতে হলে সরকারের অনুমোদন লাগে অথবা ব্যবসাটি একচেটিয়া ধরনের, যেখানে অন্য কেউ ঢুকতে পারে না বা ঢুকতে দেওয়া হয় না। এসব ব্যবসা পেতে হলে সরকারের সরাসরি লাইসেন্স বা পৃষ্ঠপোষকতা লাগে, ঘুষ দিতে হয়, ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়তে হয়, আইনের ফাঁকফোকর ব্যবহার করতে হয় বা জমি দখল করতে হয়। এসব ব্যবসায়ী তাদের উৎপাদিত পণ্য বা সেবার দাম বাড়িয়ে বিক্রি করে, আর সাধারণ মানুষকে বেশি দামে তা কিনতে হয়। দ্য ইকোনমিস্ট যেমনটা বলেছে, এরা কেকটা বড় করতে পারে না, কিন্তু কেকের সবচেয়ে বড় টুকরোটা দখল করে ফেলে। ফলে অন্যরা কম পায়।

শামীমা নূর পাপিয়া।
শামীমা নূর পাপিয়া।

ক্রনি ক্যাপিটালিজম সৃষ্টি করে এ রকম ১০ ধরনের ব্যবসার একটি তালিকা দিয়েছিল দ্য ইকোনমিস্ট। যেমন: ক্যাসিনো; কয়লা, পামতেল ও কাঠের ব্যবসা; প্রতিরক্ষার কেনাকাটা; ব্যাংকিং; অবকাঠামো ও পাইপলাইন তৈরি; সমুদ্র ও বিমানবন্দর, রিয়েল এস্টেট ও নির্মাণ, ইস্পাত, অন্যান্য ধাতব, খনন ও পণ্য এবং সেবা ও টেলিফোন খাত। ম্যাগাজিনটি বলেছে, রাশিয়া ও ব্রাজিলে ক্রনি ক্যাপিটালিজম তৈরি হয়েছে মূলত সরকারের মালিকানা থাকা প্রাকৃতিক সম্পদ ঘিরে, সরকার ও ব্যবসায়ীদের নেক্সাস থেকে। মেক্সিকোর শীর্ষ ধনী টেলিফোন সেবার একচেটিয়া ব্যবসা করেন। দ্য ইকোনমিস্টের মতে, সময়টা ক্রনি ক্যাপিটালিজমের স্বর্ণযুগ, আর আগের ২০ বছরে বিশ্বব্যাপী ক্রনি ক্যাপিটালের পরিমাণ ৩৮৫ গুণ বেড়ে হয়েছে দুই ট্রিলিয়ন (এক হাজার বিলিয়নে এক ট্রিলিয়ন) ডলার।

দ্য ইকোনমিস্ট ২৩ দেশকে নিয়ে সূচকটি তৈরি করেছিল। সেই তালিকায় বাংলাদেশ ছিল না। তবে বাংলাদেশের তথ্য প্রথম পাওয়া যায় ২০১৮ সালে, ওয়েলথ এক্স নামের একটি মার্কিন প্রতিষ্ঠানের রিপোর্টে। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, অতি ধনীর সংখ্যা বৃদ্ধির হারের দিক দিয়ে ৭৫টি দেশের মধ্যে পয়লা নম্বরেই বাংলাদেশ। ২০১২ সাল থেকে পরের পাঁচ বছরে বাংলাদেশে ধনকুবেরের সংখ্যা বেড়েছে গড়ে ১৭ শতাংশ হারে। ওয়েলথ এক্স মন্তব্য করেছিল, ‘এটা আশ্চর্যজনক যে ধনকুবেরের সংখ্যা বৃদ্ধির হারের দিক দিয়ে চীন বিশ্বের এক নম্বর দেশ নয়। এ মর্যাদা বাংলাদেশের।’

দেশের পরিসংখ্যানও বলেছে, বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে একটা শ্রেণির হাতে সম্পদ কেন্দ্রীভূত হচ্ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খানা আয়-ব্যয় জরিপ-২০১৬ অনুযায়ী, ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে দেশে সবচেয়ে ধনী ৫ শতাংশ পরিবারের আয় প্রায় ৫৭ শতাংশ বেড়েছে। বিপরীতে একই সময় সবচেয়ে দরিদ্র ৫ শতাংশ পরিবারের আয় কমেছে ৫৯ শতাংশ।

২০২০ সালের মার্চে ওয়েলথ এক্স আবার একই বিষয়ে নিয়ে আরেকটি প্রকাশ করেছে। এবারের তালিকাতেও বাংলাদেশ সবার ওপরে। সেখানে বলা আছে, ২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত গত ১০ বছরে দেশে ধনকুবেরের (৫০ লাখ ডলারের বেশি সম্পদের অধিকারী) সংখ্যা বেড়েছে গড়ে ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ হারে। বাংলাদেশের পরেই ভিয়েতনামের অবস্থান, সেখানে বেড়েছে ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ হারে।

রন হক সিকদার ও দিপু হক সিকদার।
রন হক সিকদার ও দিপু হক সিকদার।

প্রশ্ন হচ্ছে, দেশে অতি ধনীদের সংখ্যা দ্রুততার সঙ্গে কীভাবে বাড়ছে এবং দ্য ইকোনমিস্টের ক্রনি ক্যাপিটালিজমের সংজ্ঞায় তা কতটা পড়ছে। বাংলাদেশে ধনী হওয়ার উপায়টা কী আসলে? অর্থনীতিবিদেরা যেমনটা বলেন, সরকারের কাছের ব্যবসায়ীরা লাভজনক ব্যবসার সুযোগ পান, ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করেন এবং কর ফাঁকি দেন। আর এসব পদ্ধতিতে ধনী হতে হলে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা লাগে, থাকতে হয় সরকারের ছত্রচ্ছায়ায়। আর এ পথেই ছোট ছোট সাহেদের জন্ম হয়, ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে ঢুকে পড়ে তারা, তাদের একটা বড় অংশ ফুলেফেঁপে অনেক বড় হয়, কিছু ঝরে পড়ে, কারও মাথার ওপর থেকে সরকারের ছায়া সরে যায়। সুতরাং স্বজনতোষী অর্থনীতি বা ক্রনি ইকোনমি যে বাংলাদেশে প্রবল মাত্রায় বিদ্যমান, তা নিয়ে কোনো সন্দেহে নেই।

দ্য ইকোনমিস্টের পদ্ধতি অনুসরণ করে বাংলাদেশের জন্যও ক্রনি ক্যাপিটাল বা স্বজনতোষী পুঁজি অর্জনের একটি তালিকা করা যেতে পারে। যেমন, ব্যাংক-বিমার লাইসেন্স; বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন; সরকারি কেনাকাটার চুক্তি; অবকাঠামো নির্মাণের কাজ পাওয়া; তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রায় একচেটিয়া ব্যবসা ইত্যাদি। এসব ব্যবসা করতে সরকারের অনুমোদন লাগে, ক্ষেত্রবিশেষে লাইসেন্স নিতে হয়। সুতরাং লাইসেন্স ও অনুমোদন কারা পাবেন, কারা পাবেন না, এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এ জন্য ক্ষমতার বলয়ে ঢুকতে হয়, ‘নিজেদের লোক’ বলে পরিচয় লাগে, ঘুষ বা কমিশন তো দিতে হয়ই। সুতরাং প্রথম কাজটি হচ্ছে দলের বা নিজের লোক হতে পারা। আর বাংলাদেশে যেহেতু ‘উইনার্স টেক অল’ বা বিজয়ীরাই সবকিছু নিয়ে নেয়, সেহেতু সবার লক্ষ্য থাকে বিজয়ী দলে ঢুকতে পারা। মো. সাহেদ সে রকমই একজন। তবে বিশেষ সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে দলে ঢুকিয়ে দেওয়ার কাজটি যাঁরা করেন, তাঁরা কিছুটা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকেন।

বাংলাদেশের স্বজনতোষী পুঁজি তৈরি নিয়ে খানিকটা আলোচনা করা যেতে পারে। বাংলাদেশে বেসরকারি ব্যাংকের সূচনা সেই ১৯৮৩ সালে, এরশাদ আমলে। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত ৪৪টি ব্যাংক পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, আর সবই রাজনৈতিক বিবেচনায়। দেওয়া হয়েছে নিজেদের লোকদের। ব্যাংক পরিচালনার যোগ্যতা-অযোগ্যতার কোনো বিষয়েই এখানে ছিল না। অর্থনীতির আকার বিবেচনায় দেশে কতটি ব্যাংক দরকার, তারও কোনো মূল্যায়ন করা হয়নি। আর ব্যাংক দেওয়ার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকারের ধারেকাছেই কেউ নেই। গত ১০ বছরেই দেওয়া হয় ১৪টি ব্যাংক ও ১৬টি বিমা।

কেবল অনুমোদন পাওয়ার মধ্যেই সরকারের ঘনিষ্ঠরা বসে নেই। বিভিন্ন সময়ে বিশেষ বিশেষ সুবিধা নেওয়ার ক্ষেত্রেও এসব ব্যাংকের মালিকেরা যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়ে আসছেন। ব্যাংকের পরিচালক থাকার আইন বদলে নিজেদের স্বার্থে আনা বা খেলাপি ঋণের সংজ্ঞা পরিবর্তন করা—এসবই এই ক্রনি ক্যাপিটালের অংশ। এর জন্য সরকার এখনো পৃষ্ঠপোষকরে ভূমিকায়। যেমন, সরকারের সক্রিয় সহায়তা পেয়ে একজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রণেই আছে ৭টি ব্যাংক ও ৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। আবার এই ব্যবসায়ীর ছত্রচ্ছায়ায় থেকেই প্রশান্ত কুমার হালদারের মতো একজন ব্যাংক কর্মকর্তা সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে গেছেন। অর্থাৎ ওপর থেকে নিচে চুঁইয়ে পড়ার নীতি এখানেও আছে।

বিগত বিএনপির নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় বিদ্যুৎসংকট চরম আকারে ধারণ করেছিল। বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন কাকে দেওয়া হবে, কিসের বিনিময়ে দেওয়া হবে, তা ঠিক করতে করতেই মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। গত ১০ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে, সংকট অনেকটাই কম এখন। এ সময়ে বেসরকারি খাতে মোট ৬৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে গেছে। এর বেশির ভাগ পেয়েছে সরকার-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী গোষ্ঠী। এ থেকেও বিপুল বিত্ত গড়েছেন তাঁরা।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্লোগান দিয়ে সরকার ২০০৮ সালে তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করেছিল। ২০১২ সালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) তথ্যপ্রযুক্তি খাতের লাভজনক ব্যবসা ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ের (আইজিডব্লিউ) যে লাইসেন্স দেয়, তার বেশির ভাগই পেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা, তাঁদের পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা। আবার ২০১৫ সালে প্রভাবশালীরা জোট করে আন্তর্জাতিক কল পরিচালনার নিয়ন্ত্রণ ৭টি প্রতিষ্ঠানের হাতে নিয়ে নেয়। এর পেছনেও ছিল রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা।

এর বাইরে ২০১১ সালে সরকার সমুদ্রে মাছ ধরার ৩৪টি বাণিজ্যিক ট্রলারের লাইসেন্স দিয়েছিল, যার বেশির ভাগই পান আওয়ামী লীগের নেতা ও ঘনিষ্ঠজনেরা। সরকারের লাইসেন্স লাগে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল স্থাপনেও। পাওয়ার যোগ্যতা মূলত একটাই, সরকারের নিজের লোক হতে হবে। একইভাবে সরকারের পছন্দের তালিকায় ঢুকতে না পারলে সরকারি কেনাকাটার টেন্ডারও পাওয়া যায় না, পাওয়া যাবে না বড় বড় নির্মাণকাজের চুক্তি। সরকার এখন বড় বিনিয়োগকারী। উন্নয়ন প্রকল্পের ৮০ শতাংশই কেনাকাটা। প্রথমত, প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে দেখানো হয়, আর থাকে কেনাকাটায় দুর্নীতি। এ পথেও বিপুল বিত্তের মালিক হওয়ার উদাহরণ সবার আশপাশেই আছে। স্বাস্থ্য খাতের মিঠু বা নির্মাণ খাতের ঠিকাদার জি কে শামীম দুই উদাহরণ মাত্র। ক্যাসিনো সারা বিশ্বেই অবৈধ পথে অর্থ উপার্জনের একটি জায়গা। বাংলাদেশ এ থেকেও যে দূরে ছিল না, সে প্রমাণ তো আছেই।

সব মিলিয়ে বলা যায়, পরিবেশটাই এমন, যেখানে অনেক মো. সাহেদের জন্ম হয়। দু-একজন ধরা পড়েন, বাকিরা বহাল তবিয়তে থাকেন। মো. সাহেদের বিরুদ্ধে এখন অভিযান চলছে। হয়তো ধরাও পড়বেন। আইনের শাসন নিয়ে ভালো ভালো কথাবার্তাও হবে। কিন্তু আসল যারা, ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাবে। কদিন পরে আমরা নতুন একজন মো. সাহেদের আবির্ভাব দেখব।