চাকরির বয়স

গত ২ মার্চ প্রথম আলোর প্রকাশিত ‘উচ্চশিক্ষিতদের প্রায় অর্ধেকই বেকার’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রসঙ্গে কিছু প্রশ্ন তুলতে চাই। উচ্চশিক্ষিতদের অর্ধেকই বেকার কেন? বা স্নাতকধারীরাই কর্মহীন কেন? তিন-চার বছর ধরে বাংলাদেশের অসংখ্য বেকার যুবক রাজপথে সরকারের কাছে কেবল একটি দাবিই জানিয়ে আসছে, সেটা হচ্ছে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করা হোক।
সংসদে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার পক্ষে সুপারিশ করা হয়। কিন্তু তৎকালীন নীতিনির্ধারকেরা বিষয়টিকে উপেক্ষা করেন এবং বেকার শিক্ষিত যুব সমাজের রাজপথের এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যায়িত করেন। শিক্ষিত যুবকদের সঙ্গে কেন এত বৈষম্য? একটি শিক্ষিত তরুণের মেধাশক্তি কি ৩০ বছর পর্যন্ত সীমাবদ্ধ? ৩০-এর পরে কি একজন মানুষের মেধাশক্তি লোপ পায়?
যাঁরা নিরলস পরিশ্রম করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন আর রাজনৈতিক অচলাবস্থার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যবান সময়গুলো নষ্ট হয়, সেই দায়ভার কি তাঁর, না এই রাষ্ট্রের? বর্তমান সরকারের নীতিনির্ধারকেরা একটু ভেবে দেখলেই তো বিষয়টি স্পষ্ট হবে। আমি রাষ্ট্রপতির কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি,
যেন অচিরেই তিনি বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করেন।
চমক চন্দ, সিলেট।