আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণে বৃত্তি

মাত্রাতিরিক্ত ও অপরিকল্পিত জনসংখ্যার কারণে আমাদের দেশের বেকার সমস্যা দিন দিন প্রকট হচ্ছে। কর্মসংস্থানের অভাবে এ দেশের অসংখ্য মানুষ আজ দিশেহারা।
জনসংখ্যা এমন মারাত্মক বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমির জন্য। এই জনসংখ্যাকে সম্পদে পরিণত করতে হলে অবশ্যই সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং একযোগে কাজ করতে হবে। বর্তমান সময়ে কর্মসংস্থানের অন্যতম মাধ্যম হতে পারে আউটসোর্সিং পেশা। কারণ, প্রতিনিয়ত এর ক্ষেত্র বাড়ছে এবং এটার মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে একদিকে যেমন আমাদের বেকার সমস্যার লাঘব হবে, অন্যদিকে এ দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আসবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তি যারা চলাচলে অক্ষম, তাদের জন্য আউটসোর্সিং হতে পারে স্বনির্ভর হওয়ার অন্যতম মাধ্যম। তাদের জাতীয় অর্থনীতির অগ্রগতিতে সম্পৃক্ত করা যাবে আউটসোর্সিংয়ের বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে। এর ফলে তাদের অসহায়ত্ব ও হতাশা দূর হবে। আউটসোর্সিং কোনো নির্দিষ্ট জায়গায় বা সময়ে করতে হয় না বলে নারীদের জন্য এটা আরও বেশি উপযোগী। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও তথ্য পেলে তাঁরাও আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে পরিবার ও রাষ্ট্রের উন্নতিতে অবদান রাখতে পারবেন।
সম্প্রতি ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটি আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণে বৃত্তি ঘোষণা করেছে। তারা এক হাজার জনকে এই বৃত্তির আওতায় প্রশিক্ষণ দেবে। এটা অবশ্যই সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য এবং আমরা চাই, নিয়মিত এ ধরনের বৃত্তির ব্যবস্থা করা হোক। এই প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে এবং বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উন্নত ও আলোকিত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
মো. আরিফুর রহমান, ঢাকা।