শিক্ষামন্ত্রী, মন্দকে মন্দ বলুন

কার্টুন: তুলি
কার্টুন: তুলি

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছে আমরা ব্যতিক্রমী প্রতিক্রিয়াই আশা করেছিলাম। কিন্তু তিনিও ‘সহকর্মীদের’ মতো ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবিকে একহাত নিলেন। বললেন, ‘টিআইবিকে প্রমাণ দিতে হবে, অন্যথায় বক্তব্য প্রত্যাহার করে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’
যে রিপোর্টের সঙ্গে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর জীবন জড়িত, সে রিপোর্টটি ভুল প্রমাণিত হলে সরকারের কর্তব্য হবে, কেবল ক্ষমা নয়, টিআইবির বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া। আর যদি রিপোর্টটি সঠিক হয় অর্থাৎ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির যেসব কর্মকর্তা এসব দুষ্কর্ম করেছেন, শিক্ষামন্ত্রী কি তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন?
এর আগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায়ও তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে বলেছিলেন, গত পাঁচ বছর (২০০৯ থেকে ২০১৩) কোনো প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। তাহলে এবার হলো কেন? সেই মন্ত্রণালয়, সেই শিক্ষা বোর্ড, সেই বিজি প্রেস, সেই কর্মকর্তারাই তো আছেন। বলার অপেক্ষা রাখে না যে এঁদেরই কেউ বিভীষণের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে কোচিং সেন্টারগুলো জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকার কি তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পেরেছে? পারেনি। অনেকে বলেন, এরা শিক্ষামন্ত্রীর চেয়েও শক্তিশালী।
এ কারণেই তিনি বারবার কোচিং-বাণিজ্য বন্ধ করার হুকুম দিলেও তা প্রতিপালিত হয় না। শোনা যায়, দেশের কোচিং সেন্টারগুলো ১২ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করছে।শিক্ষামন্ত্রী একটু কষ্ট করলেই কোচিং সেন্টারের মালিকদের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের এক শ্রেণির কর্মকর্তা এবং পাঠ্যবই লিখিয়েদের অশুভ আঁতাতের বিষয়টি ধরতে পারতেন।
শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় বলেছেন, টিআইবির রিপোর্ট অসত্য। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ও বিব্রত করতেই সংস্থাটি এই রিপোর্ট দিয়েছে। তাঁর এই বক্তব্য তাঁদেরই উৎসাহিত করতে পারে, যাঁরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে সনদ ব্যবসা করছেন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যেসব কর্মকর্তা সেটি চোখ কান বন্ধ রেখে অনুমোদন করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি আরেক ধাপ এগিয়ে গিয়ে বলেছে, টিআইবির রিপোর্টটি হাস্যকর। টিআইবির রিপোর্ট নয়, বরং সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তদারকির নামে ইউজিসি যা করেছে, তা–ই হাস্যকর। ইউজিসি এ পর্যন্ত যেসব বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তদন্ত করে বিপোর্ট দিয়েছে, সুপারিশ করেছে, তার একটিও বাস্তবায়িত হয়নি। কারও বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, তাঁরা যে রিপোর্ট করেছেন, তা সত্য। রিপোর্টটি ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। যে কেউ দেখতে পারেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে তার ব্যাখ্যা দিতেও তাঁরা প্রস্তুত আছেন।
গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে নুরুল ইসলাম নাহিদ বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘আমরা যখন সরকারের দায়িত্ব নিই, তখন দেশে ৫৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। এগুলোর অনেকের কাজ ছিল শুধু মুনাফা করা আর সার্টিফিকেট বিক্রি করা।’ এর মাধ্যমে কিন্তু তিনি নিজেও স্বীকার করলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ব্যবসা ও সার্টিফিকেট বিক্রি করা হয়েছে। তাঁর দাবি, এসব অন্যায় আগে হয়েছে। টিআইাবি বলেছে, আগেও যেমন হতো, এখনো তেমন হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী এও বলেছেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম সরকার বন্ধ করে দিয়েছে, সেসব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আদালতের সুরক্ষা নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাহলে অনিয়ম–দুর্নীতিটা বন্ধ হলো কী করে?
সহযোগী একটি পত্রিকা বৃহস্পতিবার শিরোনাম করেছে, ‘তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয়জন ভিসি’। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে, ইবাইস, প্রাইম ও দারুল ইহসান। এ নিয়ে আদালতে মামলাও রয়েছে। যত দিন মামলার নিষ্পত্তি না হচ্ছে, তত দিন সনদ ব্যবসা চলবে। এক বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক ট্রাস্টি বোর্ড, একাধিক ভিসি, একাধিক রেজিস্ট্রার থাকবেন। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি মুখস্থ বলে যাবে, ‘আমাদের আমলে কোথাও কোনো অনিয়ম হচ্ছে না!’
এবার দেখা যাক টিআইবির রিপোর্ট কী বলছে। রিপোর্ট বলছে, ‘টাকা দিলে মেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা পাসের সনদ। শুধু তা-ই নয়, এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন থেকে শুরু করে প্রায় সব কাজেই পদে পদে অর্থের অবৈধ লেনদেন হয়। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন অনুমোদনের জন্যই এক থেকে তিন কোটি টাকা লেনদেন হয়। সংস্থার নির্বাহী পরিচালকের দাবি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তদের একাংশ এই লেনদেনে জড়িত।’
টিআইবির গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিক হাসান ও উপকর্মসূচি ব্যবস্থাপক নীনা শামসুন নাহার প্রণীত এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ অনুমোদনের জন্য লেনদেন হয় ৫০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিদর্শন বাবদ ৫০ হাজার থেকে এক লাখ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য ১০ থেকে ৫০ হাজার, অনুষদ অনুমোদনের জন্য ১০ থেকে ৩০ হাজার, বিভাগ অনুমোদনের জন্য ১০ থেকে ২০ হাজার, পাঠ্যক্রম অনুমোদন ও দ্রুত অনুমোদনের জন্য ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা লেনদেন হয়। ভুয়া সনদের জন্য ৫০ হাজার থেকে তিন লাখ, নিরীক্ষা করানোর জন্য ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা লেনদেন করতে হয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের পাস করিয়ে দেওয়া এবং নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য উপহার ছাড়াও নগদ অর্থের লেনদেন হয়’ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
টিআইবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১২ সালের জুন থেকে ২০১৪ সালের মে পর্যন্ত সময়ে এ গবেষণাটি

পরিচালিত হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে দৈবচয়ন ভিত্তিতে ২২ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে ৭৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে।তবে টিআইবির নীতি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাম বলা হয়নি।
প্রতিবেদনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, ‘কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস ও পরীক্ষা না নিয়ে টাকার বিনিময়ে সনদ দিচ্ছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি তিন লাখ করে টাকার বিনিময়ে সনদ দিয়েছে। আইনে শাখা ক্যাম্পাস নিষিদ্ধ থাকলেও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪০টি পর্যন্ত শাখা ক্যাম্পাস আছে। ২৭ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই: প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে ৭৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৫২টি উপাচার্য আছে। সহ-উপাচার্য আছে ১৮টিতে ও ৩০টি কোষাধ্যক্ষ আছে। বাকিগুলোতে নেই।’
এসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তারা কারা? ২৯ দশমিক ৬ শতাংশই ব্যবসায়ী। শিক্ষাবিদ আছেন ২২ দশমিক ৫ শতাংশ ও রাজনীতিবিদ ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। ব্যবসায়ীরা যখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, তখন মুনাফাই মুখ্য হয়ে ওঠে। প্রথম দিকের উদ্যোক্তা ও শেষের দিকের উদ্যোক্তাদের নাম ও পরিচয় দেখলেই অনুমান করা কঠিন হয় না যে কারা কী উদ্দেশ্যে এসব প্রতিষ্ঠান চালু করেছেন? আইন অনুযায়ী কয়টি বিশ্ববিদ্যালয় চলছে? কয়টির নিজস্ব ক্যাম্পাস আছে?
টিআইবির রিপোর্ট সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী ও ইউজিসি তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু তাঁরা এত দিন কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি। আদালতের দোহাই দিয়ে যদি কেউ অন্যায়ভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান চালু রাখেন, সে বিষয়টি কেন তাঁরা সংবাদ সম্মেলন করে দেশবাসীকে জানাননি? টিআইবির রিপোর্ট দেখে ইউজিসি তদন্ত কমিটি করেছে।শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্ন পাঠিয়ে জানতে চেয়েছে, তারা সত্যি সত্যি ঘুষ দিয়েছে কি না।
শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় কি বলতে পারবেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সবকিছু তাঁর ইচ্ছে ও সম্মতিতে হয়ে থাকে? তা কিন্তু হয় না। তাঁর আগে যিনি শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন, তাঁর আগে যিনি ছিলেন, তাঁদের সময়ও সেটি হয়নি। বেসরকারি ব্যাংক ও বিমা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন কাকে দেওয়া হবে, না হবে, সেটি যেমন অর্থমন্ত্রী জানেন না, তেমনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন কাকে দেওয়া হবে, না হবে, সেই বিষয়টিও শিক্ষামন্ত্রীর ওপর নির্ভর করে না। ইউজিসির ওপরও নির্ভর করে না।
বাংলাদেশে সবকিছুই এক কেন্দ্র থেকে পরিচালিত হয়। আবার সেই কেন্দ্রের লিখিত-অলিখিত নানা শাখা-উপশাখা আছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদন পেতেই যদি মোটা অঙ্কের অর্থ (সেটি উৎকোচ, চাঁদা বা দলীয় তহবিল যে নামেই ডাকা হোক না কেন) দিতে হয়, তাহলে উদ্যোক্তারা তো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তা তুলে নিতে চাইবেনই।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন–প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিএনপির আমলের একটি ঘটনার কথা জানি। শেখ হাসিনার প্রথম সরকারের আমলের শেষ দিকে ঢাকার একজন প্রভাবশালী সাংসদ ঐতিহ্যবাহী ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাস অবৈধভাবে ব্যবহার করে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন। ছাত্রীও ভর্তি করা হয়েছিল। ক্ষমতার পালাবদলের পর বিএনপি ক্ষমতায় এসে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন বাতিল করে দেয়। কিন্তু বছর খানেকের ব্যবধানে দেখা যায়, সেই সাংসদের স্ত্রীকে প্রধান করে আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। সেটি এখনো চালু আছে। ভিকারুননিসা নূন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ওই সাংসদ স্কুলের তহবিল থেকে যে ছয় কোটি টাকা তুলে নিয়েছিলেন তা আজও পরিশোধ করেননি। এই টাকা ব্যাংকে থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি সুদে–আসলে প্রায় ২৫ কোটি টাকা পেত।
দেশে এ রকম অনেক উদাহরণ রয়েছে, পরিবারের কয়েকজন মিলে ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকদের বেশির ভাগই ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী–সাংসদ। উদ্যোক্তাদের অনেকেই আছেন, যাঁরা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ফলে একদিকে আছে দলীয়করণ ও অপরদিকে আছে দুর্নীতি।
শিক্ষামন্ত্রী এসব বিষয় অস্বীকার করেন না, করবেনও না। যতটুকু জানা যায়, নিজের ক্ষমতা ও সামর্থ্য অনুযায়ী তিনি এসব অসংগতি ও দুর্নীতি দূর করার চেষ্টা করছেন। টিআইবির এই রিেপার্ট তাঁর দুর্নীতিবিরোধী উদ্যোগকে সফল করতে সহায়তা করতে পারে।
দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যেমন সন্ত্রাসকবলিত নয়, তেমনি সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও সনদ ব্যবসা করছে না। বেশ কটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঠিকমতো ক্লাস–পরীক্ষা হয়। পড়াশোনার মানের দিক থেকে নামকরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কেও টেক্কা দিতে পারে। অনেকগুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ছাত্রবিনিময় কর্মসূচি’ আছে। সেগুলো তারা তদবির করে নয়, অ্যাকাডেমিক দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়েই করেছে।
অতএব, ভালোকে ভালো বলুন, আর মন্দকে মন্দ।
সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
[email protected]