ঈদে বাড়ি যাওয়া

স্বাভাবিক সময়ে দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনায় মানুষের হতাহত হওয়ার খবর আসে। ঈদের উৎসব কাটাতে লোকজন বাড়ি যাওয়া শুরু করলে পরিস্থিতির যাতে অবনতি না ঘটে, সে ব্যাপারে কিছু আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
প্রথমত নিশ্চিত করতে হবে, যাত্রীদের ভিড় বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যান্ত্রিক ত্রুটিপূর্ণ ও চলাচলের অনুপযোগী যানবাহন যেন বেশি সংখ্যায় নামানো না হয়। এ ধরনের যেসব যানবাহন এখন চলাচল করছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করা উচিত। যানবাহনের মালিকদেরও বুঝতে হবে, ত্রুটিপূর্ণ ও চলাচলের অনুপযোগী যানবাহন রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া উচিত; প্রয়োজনীয় মেরামতির পরেই কেবল সেগুলো রাস্তায় নামানো যেতে পারে। যেসব যানবাহন পুরোপুরি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, সেগুলো জোড়াতালি দিয়ে চালানো হলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
দ্বিতীয়ত, বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। তাই এই ব্যস্ত সময়ে চালকদের বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। চালকদের প্রতি যানবাহনের মালিকদের তরফ থেকে বিশেষ নির্দেশনা থাকা উচিত। সরকারকেও এ বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। ট্রাফিক ব্যবস্থায় নজরদারি বাড়ানো সম্ভব হলে এই ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই কিছু অগ্রগতি ঘটবে। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের কারণেও অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এটা বন্ধ করার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
তৃতীয়ত, যাত্রীর চাপ শুধু সড়কপথে নয়, নৌপথেও অনেক বেড়ে যাবে। ফলে নদীপথগুলোতে বাড়তি লঞ্চ নামানো হবে। এর মধ্যে খবর বেরিয়েছে, অনেক পুরোনো, ভাঙাচোরা, এমনকি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়া লঞ্চ রং করা ও জোড়াতালি দিয়ে মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। এসব এখনই বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া উচিত। কারণ পুরোনো ও ভাঙাচোরা লঞ্চ রং করে ও দায়সারাভাবে মেরামত করে নদীপথে চালানো হলে দুর্ঘটনায় বিরাট বিয়োগান্ত ঘটনা ঘটে যেতে পারে। একটি লঞ্চ দুর্ঘটনাতেই শত শত লোকের মৃত্যু ঘটে।