ইভ টিজারদের রুখে দাঁড়ান

বর্তমানে মেয়েদের অন্যতম প্রধান সমস্যা ইভ টিজিং। রাস্তায় মেয়েদের নিরাপত্তা দিতে হলে ইভ টিজিং বন্ধ করতে হবে। যেকোনো অন্যায় বন্ধ করতে হলে আমাদের সত্যের সঙ্গে থাকতে হবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমাদের সমাজ একটু অন্য রকম ভূমিকা পালন করে। সমাজ মিথ্যার সঙ্গে থাকে এবং মেয়েদের নানাভাবে দোষারোপ করতে চেষ্টা করে। সমাজ মেয়েদের বিচার করে তাদের পোশাক দিয়ে।
এর মানে কী? যে মেয়েটি রাস্তায় নিজের ইচ্ছেমতো পোশাক পরবে, যা সমাজের ভালো নাও লাগতে পারে, ছেলেরা সেই মেয়েকে টিজ করার অধিকার পায়? মেয়েরা যে ধরনের পোশাকই পরুক, ছেলেরা কোন অধিকারে মেয়েদের টিজ করে? আমি বলছি না যে, মেয়েরা শালীনতা বজায় রাখবে না। অবশ্যই রাখবে। কিন্তু সেটা করবে মেয়েরা তার নিজের ইচ্ছায়, কখনোই ইভ টিজারদের ভয়ে না।
আমাদের সবার ধর্মেই শালীনতা, শৃঙ্খলা শেখায়। কিন্তু সমস্যা এখানেই যে আমরা শুধু মেয়েদের শালীনতা শেখাতে চাই।
আমাদের সমাজ ছেলেদের শেখায় না কীভাবে মেয়েদের সম্মান করতে হবে। মূলত আমাদের সমাজের এসব প্রতিক্রিয়ার জন্যই ইভ টিজাররা সাহস পায়। যখন কোনো মেয়ে তার সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ করে না, তখনই ইভ টিজাররা মেয়েদের দুর্বল মনে করে।
আর প্রতিবাদটি কেবল আক্রান্ত মেয়েটিকেই বা কেন করতে হবে? যারা প্রত্যক্ষদর্শী, তারাই বা কেন অন্যায়ের প্রতিবাদ
করবে না?
তত দিনে সমাজে পরিবর্তন আসবে না, যত দিন সবাই অন্যায়কে মুখ বুজে মেনে নেবে। তাই আসুন, ইভ টিজারদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই। কেবল নারীর নিরাপত্তা নয়, সমাজের সুস্থতার জন্যই ইভ টিজারদের রুখে দাঁড়াই।
সামি আক্তার
বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী।