দুর্নীতির ধারণাসূচকে বাংলাদেশ নিম্নমুখী কেন?

অলংকরণ : তুলি
অলংকরণ : তুলি

৩ ডিসেম্বর প্রকাশিত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) দুর্নীতির ধারণাসূচক ২০১৪ অনুযায়ী স্কোর ও অবস্থান—উভয় মাপকাঠিতে বাংলাদেশের অবনতি হয়েছে। সূচকের ০-১০০-এর স্কেলে ২৫ পেয়ে বাংলাদেশ ১৭৫টি দেশের মধ্যে ১৪৫তম অবস্থান পেয়েছে। গত বছর এই সূচকে ২৭ স্কোর পেয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৩৬তম। অর্থাৎ ২০১৩ সালের তুলনায় ২ স্কোর কম পেয়ে এবার তালিকার উচ্চক্রম অনুযায়ী বাংলাদেশের নয় ধাপ অবনতি হলো। অন্যদিকে নিম্নক্রম অনুযায়ী, গত বছরের ১৬তম স্থান থেকে নেমে ১৪তম স্থানে এসেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এবারও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তানের পর দ্বিতীয় সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে। সূচকে অন্তর্ভুক্ত অন্য পাঁচটি এ অঞ্চলের দেশ ভুটান, শ্রীলঙ্কা, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তান বাংলাদেশের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। 
দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে ভুটান, ৬৫ স্কোর পেয়ে তালিকার উচ্চক্রম অনুযায়ী ৩০তম, এরপর ৩৮ স্কোর পেয়ে যৌথভাবে ভারত ও শ্রীলঙ্কা ৮৫তম, নেপাল ও পাকিস্তান ২৯ স্কোর পেয়ে ১২৬তম এবং আফগানিস্তান ১২ স্কোর পেয়ে ১৭২তম। বৈশ্বিক তালিকায় দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর পেয়েছে সুদান ১১ এবং উত্তর কোরিয়া ও সোমালিয়া ৮ স্কোর নিয়ে যৌথভাবে তালিকায় সর্বনিম্ন স্থান পেয়েছে। ভুটান ছাড়া দক্ষিণ এশীয় সব দেশেরই স্কোর সূচকের গড় ৪৩-এর নিচে, অর্থাৎ এ অঞ্চলে দুর্নীতির ব্যাপকতা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক।
১৯৯৫ সাল থেকে প্রণীত দুর্নীতির ধারণাসূচক বা সিপিআই সরকারি খাতে, বিশেষ করে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দুর্নীতির ব্যাপকতা সম্পর্কে ধারণার বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দেশের তুলনামূলক চিত্র প্রদান করে থাকে। এটিকে যৌগিক সূচক বা জরিপের ওপর জরিপ বলা হয়। এ বছর ১২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত জরিপের তথ্যের বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সিপিআই নিরূপণে এমন জরিপের তথ্যই ব্যবহৃত হয়, যার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা সম্ভব। টিআইবি বা অন্য কোনো দেশের টিআই চ্যাপ্টারের গবেষণা বা জরিপলব্ধ কোনো তথ্য এ সূচকে বিবেচিত হয় না। অন্যদিকে সূচকে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য কোনো দেশ সম্পর্কে কমপক্ষে ÿতিনটি আন্তর্জাতিক জরিপ থাকতে হয়। যে কারণে প্রায় প্রতিবছরই জরিপে অন্তর্ভুক্ত দেশের সংখ্যার হেরফের হয়। যেমন দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে মালদ্বীপ গত কয়েক বছরের মতো এবারও সূচকে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। কারণ, সে দেশের ওপর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পর্যাপ্তসংখ্যক আন্তর্জাতিক জরিপ হয়নি।
সূচকটি টিআইয়ের বার্লিনভিত্তিক সচিবালয়ের গবেষণা বিভাগ কর্তৃক প্রণীত হয়। জার্মান ইনস্টিটিউট অব ইকোনমিক রিসার্চ সূচকের স্কোর পর্যালোচনা ও তথ্যের যথার্থতা যাচাই করে থাকে। পদ্ধতি ও বিশ্লেষণে উৎকর্ষ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিবছর আন্তর্জাতিকভাবে সুখ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ প্রদান করেন। এ বছর এ রকম পরামর্শ দিয়েছেন কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের সরকার বিভাগ ও গবেষণাপদ্ধতি ইনস্টিটিউট, হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল, ডাও জোন্স এবং স্ট্যান্ডার্ড ও পুওরের বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশের বেলায় যে সাতটি সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে তারা হলো বার্টলসম্যান ফাউন্ডেশন ট্রান্সফরমেশন ইনডেক্স, ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কান্ট্রি রিস্ক এসেসমেন্ট, গ্লোবাল ইনসাইট কান্ট্রি রিস্ক রেটিংস, পলিটিক্যাল রিস্ক সার্ভিসেস ইন্টারন্যাশনাল কান্ট্রির রিস্ক গাইড, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি পলিসি অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল এসেসমেন্ট, ওর্য়াল্ড ইকোনমিক ফোরাম এক্সিকিউটিভ ওপিনিয়ন সার্ভে এবং ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্টের রুল অব ল ইনডেক্স। সংগৃহীত তথ্যের সময়ের ব্যাপ্তি ছিল ফেব্রুয়ারি ২০১১ থেকে আগস্ট ২০১৪ পর্যন্ত।
যেসব দেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা ও গভীরতা সবচেয়ে কম বলে নিরূপিত হয়েছে, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ৯২ স্কোর পেয়ে ডেনমার্ক ও ৯১ পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে নিউজিল্যান্ড। এরপর ফিনল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, নেদারল্যান্ডস, লুক্সেমবার্গ ও কানাডা। এশীয় অঞ্চলে সিঙ্গাপুর ছাড়া তুলনামূলকভাবে উচ্চতর অবস্থানে রয়েছে জাপান, হংকং, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার।
কোনো দেশই শতভাগ স্কোর পায়নি। আরও লক্ষণীয়, বিশ্বের সর্বোচ্চ উন্নত দেশগুলোর অনেকেই, যেমন জার্মানি, বেলজিয়াম, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি ইত্যাদি দেশ ৮০ শতাংশের কম স্কোর পেয়েছে। ১৭৫টি দেশের মধ্যে ১২১টি, অর্থাৎ শতকরা ৬৯ ভাগ দেশ ৫০-এর কম স্কোর পেয়েছে। এমনকি জি-২০ দেশগুলোর ৫৮ শতাংশ ৫০-এর কম স্কোর পেয়েছে। বাংলাদেশসহ ১০৬টি দেশ সূচকের গড় স্কোর ৪৩ বা তার চেয়ে কম পেয়েছে। ২০১৩ সালের তুলনায় ৯২টি দেশের স্কোর বৃদ্ধি পেয়েছে। ৪৭টি দেশের ক্ষেত্রে স্কোর অপরিবর্তিত রয়েছে। বাংলাদেশসহ ৩৬টি দেশের স্কোরে অবনতি হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় নেপালের স্কোরও ২ পয়েন্ট কমেছে, তবে বাকি সব কটি দক্ষিণ এশীয় দেশে স্কোর বৃদ্ধি পেয়েছে।
সার্বিক বিবেচনায় এটি পরিষ্কার যে দুর্নীতি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। যদিও আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে দুর্নীতির চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি উদ্বেগের কারণ। স্মরণ করা যেতে পারে যে ২০০১ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত পরপর পাঁচবার বাংলাদেশ নিম্নক্রম অনুযায়ী শীর্ষে অবস্থান করেছিল। সোমালিয়া এ বছরসহ পরপর আটবার শীর্ষে অবস্থান পাওয়ার ফলে আমাদের সেই গ্লানির কিছুটা লাঘব হতে পারে। তা ছাড়া পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ২০০৬-এ তৃতীয়, ২০০৭-এ সপ্তম, ২০০৮-এ দশম, ২০০৯-এ ত্রয়োদশ, ২০১০-এ দ্বাদশ, ২০১১ ও ২০১২-তে ত্রয়োদশ এবং ২০১৩-তে ১৬তম স্থান পাওয়ায় আন্তর্জাতিক তুলনামূলক অবস্থানের মাপকাঠিতে কিছুটা অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়। এবার ২ পয়েন্ট কমে উচ্চক্রমে নয় ধাপ ও নিম্নক্রমে দুই ধাপ অবনতি হওয়ায় ঊর্ধ্বগতির ধারাটি বজায় রাখা সম্ভব হলো না।
যেসব কারণে এ অবনতি, তার মধ্যে রয়েছে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দমনের দায়িত্ব অর্পণ করে প্রতিষ্ঠিত দুদকের কার্যকািরতা ও স্বাধীনতা খর্ব করার অপপ্রয়াস যেমন অব্যাহত রয়েছে, তেমনি দুদকের নিজস্ব সক্রিয়তা, দৃঢ়তা ও নিরপেক্ষতার মাপকাঠিতে আস্থার সংকট রয়েছে চলমান। সরকার ও সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কিছু কিছু দুর্নীতিবিরোধী উদ্যোগ সত্ত্বেও প্রয়োগ ও চর্চার ঘাটতির ফলে প্রকটতর হয়েছে কার্যকরভাবে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের দৃষ্টান্তের ঘাটতি। পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, রেলওয়ে নিয়োগ-বাণিজ্য, শেয়ারবাজার, হল-মার্ক ও ডেসটিনির মতো ‘রুই-কাতলা’ শ্রেণির দুর্নীতির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ও সরকারি প্রভাবমুক্ত হয়ে দুদক দায়িত্ব পালন করতে পেরেছে, এমন ধারণা সৃষ্টি হয়নি।
ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি ও জালিয়াতির মহোৎসবের শীর্ষে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বেসিক ব্যাংকসহ আরও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকে দুর্নীতির একধরনের মিছিল। দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার পরিবর্তে অস্বীকৃতির মানসিকতার আরও প্রসার ঘটেছে।ÿ ক্ষমতাবানদের একাংশের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অংশগ্রহণ বা যোগসাজশে ভূমি, বনাঞ্চল, নদী, জলাশয় দখল থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে টেন্ডারবাজিসহ আইনের শাসন-পরিপন্থী কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের ঊর্ধ্বেই রয়ে গেছে। জনপ্রতিনিধিসহ উচ্চপর্যায়ে অধিষ্ঠিতজনদের একাংশের বৈধ আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন সম্পদের পাহাড় গড়ার বিস্ময়কর পরিসংখ্যান প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পেরেছে এমনটি দুদক ছাড়া আর কেউ বিশ্বাস করবে বলে মনে হয় না। শুধু তা-ই নয়, সরকারের দায়িত্বশীল অবস্থানে অধিষ্ঠিত মহল থেকে প্রকাশ্যেই বলা হয়েছে, ক্ষমতায় থাকলে সম্পদ বাড়বেই, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। যেমন প্রকাশ্য জনসভায় বলা হয়েছে, জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘নির্বাচিত’ হওয়ায় অভিনন্দন জানাতে ‘ক্রেস্ট নয়, ক্যাশ চাই’।
সরকারের জন্য বিব্রতকর ও দেশবাসীর জন্য অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে ঘটেছে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য বিদেশি সহযোদ্ধাদের সম্মান প্রদর্শনে উপহার হিসেবে প্রদত্ত স্বর্ণের ক্রেস্ট নিয়ে জালিয়াতির ঘটনা। দুর্নীতির মাধ্যমে ও অবৈধ পথে অর্থ পাচারকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম আন্তর্জাতিক পরিচিতি পেয়েছে। মালয়েশিয়ার তথাকথিত সেকেন্ড হোম প্রকল্পের সুবিধাভোগী ক্রেতাদের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম স্থান দখল করেছে। একইভাবে সুইস ব্যাংকে পাচারকৃত অর্থের সরবরাহকারীর তালিকায় বাংলাদেশিরা প্রাধান্য পেয়েছে।
গণতান্ত্রিক জবাবদিহি, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি প্রতিরোধে অন্যতম প্রতিষ্ঠান জাতীয় সংসদ। এ সূচকের তথ্য সংগ্রহের ব্যাপ্তিকালের একাংশে তৎকালীন বিরোধী দলের অব্যাহত বর্জন ও অপর অংশে বিরোধী দল হিসেবে উপস্থাপিত দলের আত্মপরিচয়ের সংকটে জাতীয় সংসদ রূপান্তরিত হয়েছে সরকারি দল ও জোটের একচ্ছত্র ভুবনে। অন্যদিকে সংসদীয় কমিটিতে অনেক ক্ষেত্রেই স্বার্থের দ্বন্দ্বের কারণে সংসদ ব্যর্থ হয়েছে তার প্রত্যাশিত ভূমিকা পালনে, বিশেষ করে সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে। কালোটাকা অর্জনকে পুরস্কৃত করা অব্যাহত রয়েছে। সরকারের নীতিকাঠামো দুর্নীতি-সহায়ক, দুর্নীতিতে লাভবান ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয়দানকারী মহলের করাভূত হওয়ার ঝুঁকির সম্মুখীন। সব নিয়মনীতি ও নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি দায়িত্বপূর্ণ অবস্থানে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের একাংশ সরকারের সঙ্গে ব্যবসার সম্পর্ক সুদৃঢ় করে চলেছে।
তবু আমরা আশাবাদী হতে চাই। দুর্নীতিবিরোধী আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো সৃষ্টিতে যতটুকুই অগ্রগতি ইতিমধ্যে হয়েছে, তার চর্চা ও প্রয়োগের ঘাটতি পূরণে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। দুর্নীতি যে বাস্তবেই শাস্তিযোগ্য অপরাধ, সকল প্রকার ভয় বা করুণার ঊর্ধ্বে গিয়ে তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। এ জন্য চাই কার্যকর দুদকের পাশাপাশি অন্যান্য জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, প্রশাসন ও বিচারব্যবস্থায় পেশাদারি ও দলীয় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পরিবেশ। একই সঙ্গে প্রয়োজন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক, মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয় ও অডিটর জেনারেলের কার্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত প্রয়াস। সর্বোপরি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণ, গণমাধ্যম ও বেসরকারি সংগঠনসহ সব অংশীজনের সোচ্চার ভূমিকা অপরিহার্য, যার পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। মনে রাখতে হবে, জনগণ যত বেশি সোচ্চার ও ক্ষমতায়িত হবে, তত বেশি জবাবদিহিমূলক সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ সম্ভব হবে; দুর্নীতির সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি হবে তত বেশি ত্বরান্বিত; সরকারের প্রতি জনগণের আস্থাও ততই বাড়বে।
ইফতেখারুজ্জামান: নির্বাহী পরিচালক, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।