ভূমিদস্যুদের চালাকি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নিরীহ জনগণ ভূমিদস্যুদের কারণে জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এই ভূমিদস্যুরা এখন একটি নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। তারা আদালতে বাঁটোয়ারা মামলা দায়ের করে ওই মামলায় তাদের কিছু নিজস্ব লোকের নাম ও জমির দাগ উল্লেখ করার পাশাপাশি যারা এলাকার নিরীহ লোক, তাদের জমির দাগও উল্লেখ করে।
ওই বাঁটোয়ারা মামলা দায়ের করে ওই নিরীহ লোকের জমিটি দখল করে নেয়। বাঁটোয়ারা মামলা চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হতে আদালতে পাঁচ-সাত বছর সময় লাগে। এই সুযোগে সে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে সে জমির দখল ছাড়বে না। থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ করলে তারা বলে, আদালতে মামলা চলছে, আমাদের কিছু করার নেই।
এভাবে মামলা চালাতে গিয়ে আমাদের অহেতুক অর্থ ও সময়ের অপচয় হচ্ছে। যদি কেউ ভুয়া বাঁটোয়ারা মামলা দায়ের করে ও আদালত কর্তৃক ভুয়া প্রমাণিত হয়, তবে জরিমানা ও সাজার বিধান রেখে আইনটি সংশোধন করা আবশ্যক। এ ছাড়া আরেকটি বিষয়: জমির কাগজপত্র ঠিক থাকা সত্ত্বেও বল প্রয়োগ করে জমি দখল করা হচ্ছে। এই জমি দখলে আনতে দখল উচ্ছেদের মামলা করতে হয়।
এ ক্ষেত্রেও সাজা ও জরিমানার কোনো বিধান নেই। ফলে দিন দিন ভূমিদস্যুদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনমন্ত্রীর প্রতি সবিনয় নিবেদন, আইন দুটি সংশোধন করে সাজা ও জরিমানার বিধান রেখে আগামী সংসদ অধিবেশনে আইনটি পাস করে এ দেশের নিরীহ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
হাসান মাহমুদ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া।