এ বৈষম্য কেন?

প্রযুক্তির জন্য আসুন—এই স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল কারিগরি শিক্ষার। কারিগরি শিক্ষা শুধু মুখস্থ বিদ্যা নয়, এটি হাতে-কলমে শিক্ষা। কিন্তু এই কারিগরি শিক্ষা আজ অবহেলার পাত্রে পরিণত হয়েছে। সরকার আসে, সরকার যায়, কিন্তু কারিগরি শিক্ষার মান উন্নয়নে কোনো সরকারই এগিয়ে আসে না। আসবে কি না তা নিয়েও সন্দেহ।
হরতাল-অবরোধে পরীক্ষা পেছালে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী চোখের পানি ফেলেন, অনুরোধ করেন। অপরদিকে বিএনপি হরতাল ডেকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ‘এ’ এবং ‘ও’ লেভেলের পরীক্ষা হরতালের আওতামুক্ত ঘোষণা করে। আসলে এই ইংরেজি লেভেলে পড়াশোনা করে অবস্থাপন্ন ঘরের ছেলেমেয়েরা। আর পলিটেকনিকে যে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী আছে, তা হয়তো শিক্ষামন্ত্রী নিজেই জানেন না। জানলে ঠিকই তিনি কারিগরি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা পেছানো নিয়ে কথা বলতেন। চোখের পানি ফেলতেন, অনুরোধ করতেন।
কারিগরি শিক্ষার্থীদের দাবি আজও পূরণ হয়নি। এসএসসি পাসের পর চার বছরে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাঙ্ক্ষিত মান আজও দেওয়া হয়নি। তাদের মান কি এইচএসসি সমমূল্যের? না, স্বতন্ত্র। বর্তমান সরকারের কাছে আকুল আবেদন, চার বছরে আটটি সেমিস্টার আর ব্যবহারিক শেষ করতে যে কত কষ্ট হয়, তা অনুধাবনপূর্বক ডিগ্রির সমমান প্রদান করে বৈষম্য দূর করুন।
এ কে এম কায়সারুল আলম, রংপুর।