ডাকঘরের উন্নয়ন

কিছুদিন আগে বাড়িতে চিঠি পাঠালাম। সেটা পৌঁছাতে মাস খানেক সময় লেগে গেছে। একসময়ের জনপ্রিয় যোগাযোগব্যবস্থার এই করুণ অবস্থা! স্বীকার করছি, বর্তমান এই ই-মেইল, মোবাইলের যুগে চিঠিই বা কয়জন পাঠায়। কিন্তু আধুনিক এ যুগে ডাকব্যবস্থার প্রয়োজন শেষ হয়ে যায়নি। উন্নয়নের মাধ্যমে এর গতি বাড়ানো প্রয়োজন।
স্বল্প খরচ ও নিরাপদ পন্থা হিসেবে এর প্রয়োজন অনস্বীকার্য। প্রতিনিয়ত ডকুমেন্টস, পার্সেল, বইপত্র, নমুনাপণ্য ও উপহারসামগ্রী পাঠাতে বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহৃত হচ্ছে। অথচ ডাকের মাধ্যমে এটা করলে খরচ কম হতো, নিরাপত্তাও থাকত। বেসরকারি কুরিয়ারে সাধারণ চিঠি পাঠাতে ২০ থেকে ২৫ টাকা লেগে যায়, অথচ ডাকে তা মাত্র মাত্র তিন টাকায় পাঠানো সম্ভব।
কুরিয়ার সার্ভিস দেশের থানা ও জেলা শহরগুলোতেই সীমাবদ্ধ, কিন্তু দেশের সব প্রত্যন্ত অঞ্চলেই ডাকঘর আছে। এগুলো সংস্কার করে, লোকবল বাড়িয়ে ও ডাকের বহুমুখী ব্যবহার করে উন্নত গ্রাহকসেবা প্রদান করা যেতে পারে। ইতিমধ্যে তেমন কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সত্য, আরও ব্যবস্থা নেওয়ার সঙ্গে সেগুলো পরিচিতি করারও ব্যবস্থা নিতে হবে।
মো. নূরনবী মিঞা
শিক্ষার্থী, শাবিপ্রবি, সিলেট।