সড়কের ব্যবহার

রামপুরা ব্রিজ থেকে কুড়িল বিশ্বরোডের উড়ালসড়কের দূরত্ব হবে সাড়ে তিন থেকে চার কিলোমিটার। ছুটির দিনে এই দূরত্ব বাসে পার হতে সময় লাগে বড়জোর ১৫ মিনিট। সে হিসাবমতে কাজের দিনে এই রাস্তা পার হতে যদি ৩০ মিনিট সময়ও খরচ হয়, সেটাও স্বাভাবিক। কিন্তু ছুটির দিনের সকাল ছাড়া এই সড়ক পার হতে এখন সময় লাগে কমপক্ষে দেড় ঘণ্টা, এমনকি আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা লাগাও বিচিত্র নয়।
রামপুরা ব্রিজ থেকে বিশ্বরোডের দিকে যাওয়া শুরু করলেই হাতের ডানে পড়বে মাছের ও বাঁশের আড়ত। এই দুই বাজারের সামনে রাস্তার অন্তত ১০ ফুট দখল হয়ে আছে নানাভাবে। যদিও গোটা রাস্তার দুই পাশে পাঁচ ফুট পাঁচ ফুট করে অব্যবহৃত হয়ে থাকে সব সময়ই। পরিবহনগুলোও ওই পাঁচ ফুট ব্যবহারের চেষ্টা করে না কখনো।
সেখান থেকে সামনে গেলে ওই রাস্তায় হাতের বঁায়ে দেখা যাবে মোটামুটি বড়সড় ময়লার স্তূপ। পুরো সড়কে এ রকম অন্তত চার জায়গায় ময়লা ব্যবস্থাপনার কাজ চলে দিনভর। ফলে যানজট লেগেই থাকে।
এ ছাড়া সড়কের দুই পাশ দখল হয়ে আছে নানাভাবে। কেউ বালি বা ইট স্তূপ করে রেখেছে। কেউ বসিয়েছে দোকান। সব মিলিয়ে খুব সহজেই বলা যায় এই সড়কের তিন ভাগের এক ভাগ স্থায়ীভাবে অব্যবহৃতই থাকছে। চালক, যাত্রী সবাই যানজটে বসে কষ্ট করছে, কিন্তু কেউ কিছু বলছে না। অথচ সবাই জানে পুরো সড়ক ব্যবহার করা গেলে যানজট কমত অন্তত অর্ধেক। এর প্রতিকার আছে কি?
পলাশ আহসান, ঢাকা।