দেশীয় গাছ রোপণ

ছেলেবেলায় ছয় ঋতুর বর্ণনা পড়েছি, উপভোগও করেছি। এখন সেই ছয় ঋতু আর নেই। ছেলেবেলায় বহু প্রজাতির পাখির গান শুনেছি, মাছ খেয়েছি। সেই দিন আর নেই! অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে ঘরবাড়ি কলকারখানা নির্মাণে বহু প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস করা হয়েছে।
দেশে সুশাসন নেই। অদক্ষ আমলা-কর্মচারী দিয়ে অফিস-আদালত চলছে। এমনকি পরিবেশের চিন্তা না করেই সুন্দরবনের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আবার রাস্তার পাশে সরকার নানা বিদেশি জাতের গাছ লাগাচ্ছে। এসব বিদেশি গাছের সঙ্গে আমাদের মাটির সম্পর্ক নেই। আমাদের পাখিরা ওই গাছে খাদ্য পাচ্ছে না। তাতে বাসা তৈরি করে থাকতে পারছে না। তাই তো বহু প্রজাতির পাখির বিলুপ্তি ঘটেছে। পাখিদের গানও হারিয়ে গেছে। বহু প্রাণীও বিলুপ্তির পথে।
মেহগনি, কড়ই, রেইনট্রি, চম্বল, শিশু, ইউক্যালিপটাস ইত্যাদি গাছ বিদেশি। এসব গাছ আমাদের পরিবেশের ক্ষতি করছে। এখন বর্ষা মৌসুম। আমাদের উচিত দেশীয় প্রজাতির গাছ রোপণ করা। এসব গাছের নার্সারি গড়ে তোলা দরকার।
এ ব্যাপারে দরকার সচেতনতা। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, খেজুর, আমলকী, জামরুল, জলপাই, আমড়া, কদম, লেবু, পেয়ারা, নারকেল, তাল, কলা ইত্যাদি দেশীয় গাছ রোপণ করা আমাদের জন্য খুবই জরুরি। এ ব্যাপারে গণমাধ্যমেরও সক্রিয় ভূমিকা রাখা উচিত।
সাইফুল ইসলাম তানভীর
ঢাকা।