শিশুরা কী শিখছে?

বিদ্যালয়ই শিশুদের শিক্ষার প্রধান মাধ্যম। স্কুলের পাঠ্যবইয়ে শেখানো হয়, ময়লা-আবর্জনা যেখানে সেখানে না ফেলে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
অথচ ময়মনসিংহ শহরের প্রাণকেন্দ্রে ময়মনসিংহ সরকারি জেলা স্কুলের প্রবেশপথের দুই পাশে প্রতিদিন স্তূপ হয়ে থাকে ড্রেনের দুর্গন্ধযুক্ত কাদা আর গৃহস্থালি আবর্জনা। ময়মনসিংহেরই আরেকটি স্বনামধন্য ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ে লেখা আছে, জাঙ্ক ফুড বা বার্গার, পেটিস, শিঙাড়াজাতীয় খাবার শিশুদের খাওয়া ঠিক নয়। অথচ এই স্কুলেরই ক্যানটিনে বাচ্চাদের টিফিনের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে সাদা হার্ডবোর্ডে ঝুলতে থাকে বার্গার, চপ, রোলজাতীয় খাবারের লম্বা তালিকা।
ময়মনসিংহের এই দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো আমাদের দেশের প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চারপাশের পরিবেশ ও ক্যানটিনের খাবারের মেনু একই রকম। ফলে আমাদের স্কুল পড়ুয়া কোমলমতি শিশুরা তার ক্লাসরুমের শিক্ষার সঙ্গে বাস্তবের মিল খুঁজে পায় না।
ফলে শিশুর শিক্ষা সীমাবদ্ধ থাকে পরীক্ষার খাতার মধ্যে। তাই ‘বড়দের’ মতোই আমাদের দেশের বেশির ভাগ শিশুই যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলতে একটুও দ্বিধাবোধ করে না। এর পাশাপাশি তারা নিয়মিতই ক্ষতিকর বার্গারজাতীয় খাবার খাচ্ছে।
এসব কি স্রেফ স্কুলের পাঠ্যপুস্তকের পাতায়ই থাকবে, নাকি বাস্তব জীবনে তার প্রয়োগ হবে?
কোহিনূর বেগম, ময়মনসিংহ।