বার্ধক্যের যন্ত্রণা

সম্প্রতি সঞ্চয়পত্রের সুদের হার প্রায় ২ শতাংশ কমানো হয়েছে। চাকরি থেকে অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণেরা মূলত সঞ্চয়পত্রের ক্রেতা। তাঁরা এককালীন প্রাপ্ত অর্থ একটু বাড়তি মুনাফার আশায় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করে থাকেন।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সঞ্চয়পত্রের সুদের হার না কমিয়ে ঋণখেলাপিদের বিষয়ে সরকারের তৎপরতা বাড়ানো ভালো বলে ২০ জুন সংসদে মন্তব্য করেছেন। অর্থমন্ত্রীকে এ বিষয়টিকে নিয়ে আরও গভীরভাবে ভাবারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ঋণখেলাপি আর করখেলাপিদের ছাড় দিয়ে অসহায় প্রবীণদের ওপর কর বসালে সরকারের কতটা আর্থিক সাশ্রয় বা লাভ হবে? প্রবীণেরা আন্দোলন করবেন না, সরকারকে বিব্রত করবেন না, কিন্তু মনের যন্ত্রণাটা তাঁরা ঠিকই লালন করবেন।
সরকারি কর্মচারীদের বেতন প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। কিন্তু প্রবীণদের সুবিধা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রবীণেরা এমনিতেই পরিবারের বোঝা, এখন বোঝাটা আরও ভারী হবে। মাননীয় অর্থমন্ত্রী কী করবেন? তিনিও তো ৮০ ঊর্ধ্ব এক প্রবীণ। তিনি যদি আমাদের জায়গায় থাকতেন, তাহলে কী বলতেন? রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে দুর্বৃত্তরা টাকা লুট করে নিয়ে যাবে, আর তার দায় বহন করতে আমাদের, কেন?
দেশের কর আদায়ের অবস্থাও কম শোচনীয় নয়। জনসংখ্যার শতকরা ১ ভাগ মানুষও করের আওতায় নেই।
যে রাষ্ট্র তার সবচেয়ে প্রবীণ মানুষদের কথা ভাবে না, সে রাষ্ট্র কি গণতান্ত্রিক?
চৌধুরী আ. হান্নান, ঢাকা।