পদচারী-সেতুর ব্যবহার

সিলেট নগরে পদচারী-সেতুর নির্মাণকাজ চলছে, যা বর্তমানে প্রায় শেষের পথে। এটি নগরের কোর্ট পয়েন্ট-সংলগ্ন কালেক্টরেট মসজিদ মার্কেট ও মধুবন মার্কেটের সামনের সড়কে নির্মাণ করা হচ্ছে। নগরের প্রথম পদচারী-সেতু হওয়ায় তা নগরের শোভাবর্ধনে বিরাট ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু এটি যে লক্ষ্যে নির্মাণ করা হচ্ছে, তা পূরণ হবে কি না, সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
এ আশঙ্কার কারণ হচ্ছে, ঢাকার পদচারী-সেতুর বর্তমান অবস্থা। প্রথম অবস্থায় হয়তো এটি মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠবে। কিন্তু ধীরে ধীরে এর ব্যবহার কমে গেলে তা হকারদের দখলে চলে যাবে। যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থা না নিলে এই পদচারী-সেতু হেরোইন, গাঁজাসেবী ও কালোবাজারিদের আস্তানা ও উত্ত্যক্তকারীদের বিচরণক্ষেত্রে পরিণত হবে।
এ ছাড়া তা ছিন্নমূল মানুষের ঘুমানোর স্থানে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব কারণে তা আরও ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে পড়বে।
এ ছাড়া সেতুটির ছয়টি সিঁড়ির মধ্যে দুটি সিঁড়ি ফুটপাতের ওপরে হওয়ায় সাধারণ মানুষদের নিচ দিয়ে চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। তাদের রাস্তার ওপর দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে, ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে। পদচারী-সেতু নির্মাণ প্রকল্প অবশ্যই একটি ভালো উদ্যোগ।
কিন্তু এর সার্থকতা নিহিত রয়েছে তার সুষ্ঠু ব্যবহারের ওপর।
তাই কর্তৃপক্ষ যেন নির্মাণাধীন এই পদচারী-সেতুটির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে সচেষ্ট হয়, সে কামনা করছি।
নীলাঞ্জনা পুরকায়স্থ, শিক্ষার্থী, সিলেট।