হরতাল স্থগিত করা যেত

জনসাধারণ এখন সব জানে, সবকিছু বোঝে। একটি ফোনালাপ হলো। অনেক বছর পর। কিন্তু কী হলো? আমরা এক পক্ষের কথাই শুনলাম। কিছু অভিযোগও বোধ করি সেই আলাপচারিতায় ছিল। কেন পুরো ৩৭ মিনিটের (মতান্তরে ৪০ মিনিট) আলাপচারিতা জনগণকে শুনতে দেওয়া হলো না। যেহেতু সময়মতোই এক পক্ষ থেকে ফোনটি করা হয়েছে, জনগণের কথা চিন্তা করে, জনগণের একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে অন্য পক্ষ নির্দ্বিধায় ঘোষিত হরতাল স্থগিত করতে পারত। নিদেনপক্ষে, হরতালের সময়সীমা কমাতেও পারত।
জনগণের দাবির কথা বিবেচনা করে নয়, শুধু নৈরাজ্যের জন্য, কোনো এক পক্ষকে খুশি করার জন্য, নিজ স্বার্থ উদ্ধারের উদ্দেশ্যেই শুধু এই হরতাল আহ্বান। কারণ, অতীতে যেকোনো তুলনামূলক সাধারণ বিষয়েও হরতাল প্রত্যাহার করার দৃষ্টান্ত রয়েছে। আর যেখানে রাষ্ট্র ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থ সম্পৃক্ত—সেখানে আলোচনা বিলম্বিত করে সহিংসতাকেই প্রাধান্য দেওয়া হলো। সত্যি সেলুকাস, কী বিচিত্র এই দেশ!
সুব্রত ব্যানার্জি, মিরপুর, ঢাকা।