প্রথম আলো : অর্থনীতি যেভাবে বড় হচ্ছে, সে তুলনায় বিনিয়োগ বাড়ছে না কেন?
আবুল মাল আবদুল মুহিত : আমি বলেছি, এখন নজর দিতে হবে বিনিয়োগে। যেহেতু আমরা চলতি অর্থবছরের জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ ঠিক করেছি। এটি অর্জন করতে গেলে আরও বিনিয়োগ দরকার। শেষ ছয় বছর বিনিয়োগ যা বেড়েছে, বলা যায় তার বেশির ভাগই সরকারি খাতে। বেসরকারি বিনিয়োগে এখনো আমরা জিডিপির ২১-২২ শতাংশেই আটকে আছি। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত।
প্রথম আলো : তাহলে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে সরকার কী করছে?
আবুল মাল আবদুল মুহিত : বিনিয়োগ যে একেবারেই বাড়ছে না, এটাও ঠিক নয়। বিনিয়োগের নানা উদ্যোগ আছে। কিছুটা সময় লাগবে। ব্যবসায়ীদের বলেছি, এখন থেকে গ্যাস-বিদ্যুতের আর সমস্যা হবে না। তাঁরা প্রকল্প করলে দুই বছরের মধ্যে গ্যাস দেওয়া যাবে। এতে বিনিয়োগকারীরা নিশ্চয়ই উৎসাহিত হবেন। গ্যাসের নতুন পলিসির জন্য এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি করতে হবে। তৌফিক-ই–ইলাহী চৌধুরী (প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা) জানিয়েছেন, এলএনজি স্টেশন স্থাপন করতে দেড় বছর লাগবে। নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, যিনি গ্যাস চাইবেন তাঁকেই দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের নির্ভরশীলতাও কমবে। আমরা দুটি গভীর সমুদ্রবন্দর করব: একটি পায়রায়, অন্যটি মহেশখালীতে। মহেশখালীতে মূলত কয়লা আমদানি হবে, যা বিদ্যুতের উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
প্রথম আলো : সোনাদিয়ায় তো গভীর সমুদ্রবন্দর করার কথা ছিল?
আবুল মাল আবদুল মুহিত : হ্যাঁ, এত দিন এটা নিয়ে কেউ কাজ করেনি। পরিকল্পনা ছিল। এখন অন্যভাবে হচ্ছে। মহেশখালীতে যে কয়লাবন্দর হচ্ছে, তার জন্যই সোনাদিয়ার দরকার।
প্রথম আলো : সোনাদিয়াকে আমরা বড় করছি না কেন? চীন তো বিনিয়োগে রাজি ছিল।
আবুল মাল আবদুল মুহিত : পয়সার অভাবে। আর চীনের ব্যাপারটি হচ্ছে দেশটির কোম্পানিগুলো লবি করে। লবি করতে করতে একটা ভালো অবস্থায় পৌঁছে গেলে তারা প্রকল্প ঠিক করে বিনিয়োগের কথা বলে। আমাদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে চীনারা যে তালিকা তৈরি করেছেন, তার সব হয়তো আমরা নিতে পারব না। কারণ, বৈদেশিক মুদ্রা হলেই তো হবে না, দেশীয় জোগানও থাকতে হয়। এ জন্য আমাদের সাবধান হতে হয়। আমরা প্রত্যেক বছরেই চীনাদের তালিকাটা দেখে তিন, চার বা পাঁচটা বেছে নিই।
প্রথম আলো : বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক জটিলতাও তো আছে। আপনি মন্ত্রী হয়ে সেটি কতটা কমাতে পেরেছেন?
আবুল মাল আবদুল মুহিত : এর দুটি দিক আছে। একটা হচ্ছে আইনকানুনের। আরেকটা অভিজ্ঞতার ধরন। যখন বেশি অর্থের ব্যাপার থাকে, তখনই ধরন বদলাতে হয়। সেখানে আবার আইনকানুনও কিছুটা অসুবিধা করে। যেমন ৫০ কোটি টাকার বেশি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য যায় মন্ত্রিসভায়। আমি একটা প্রস্তাব দিয়েছিলাম এটা বাড়িয়ে ১০০ কোটি করার জন্য। তখন হয়নি। আমি নতুন করে প্রস্তাব দিচ্ছি। এবার হয়তো সমর্থন পাব। মন্ত্রণালয়গুলোর অর্থ অনুমোদনের ক্ষমতাও বাড়ানো দরকার। এতে কাজের গতি বাড়বে।
প্রথম আলো : গ্যাস-বিদ্যুতের বাইরে বেসরকারি বিনিয়োগে গতি আনতে আশু পদক্ষেপ কী নেওয়া হচ্ছে?
আবুল মাল আবদুল মুহিত : আমি বিনিয়োগ বোর্ড (বিওআই) প্রসঙ্গে বলতে চাই। সুন্দর পদ্ধতি তৈরি আছে। নিবন্ধন হচ্ছে। কিন্তু বিওআই কার্যকর নয়। যেমন-জমির জন্য এক মন্ত্রণালয়, অন্য কিছুর জন্য অন্য মন্ত্রণালয়ে যেতে হয়। আমরা জমি আর অধিগ্রহণ করব না। চিহ্নিত করব যে এটা হলো অর্থনৈতিক অঞ্চল। এ জন্য নতুন আইন করতে যাচ্ছি, মন্ত্রিসভায় আলোচনা হবে। জমির বাজারদর যা থাকবে, তা হঠাৎ করে বাড়ানো যাবে না। এটা বাড়বে শুধু মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় রেখে। বিশ্বে এই পদ্ধতি নতুন নয়। ফ্রান্সে এটি চালু আছে। নতুন যে আইন করছি, তাতে বলে দেব, এই এলাকার জমির মূল্য এত। মূল্যস্ফীতির বাইরে গিয়ে বেশি দামে জমি বিক্রি করা যাবে না। আমার পরবর্তী অগ্রাধিকার খাত বিদ্যুৎ। প্রবাসী বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা বিদ্যুৎ খাতে আসছেন। সিলেটে প্রকল্প হচ্ছে। তঁাদের সবকিছু সহজ করে দেওয়া হবে।
প্রথম আলো : চা-বাগানের জমি নিয়ে যে গন্ডগোল হচ্ছে!
আবুল মাল আবদুল মুহিত : না। ঠিক গন্ডগোল হচ্ছে না। আপত্তি উঠেছে। চা-বাগানের লোকেরা বলছেন, এটা তো খালি জয়গা নয়। কর্মচারীরা চাষ করেন। আসলে চা-বাগানের জমি তো প্রচুর। তাঁদের দাবিটা অযৌক্তিক। তাঁরা বলছেন, বাগান বাড়াব। বাগান কিন্তু খুব একটা বাড়েনি।
প্রথম আলো : আপনি বলছেন, কোরিয়ার বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ দেখাচ্ছে পিপিপিতে (সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি)। দৃশ্যমান কিছু আছে কি?
আবুল মাল আবদুল মুহিত : কোরিয়া, জাপান, চীন বড় বিনিয়োগকারী। চীনকে তো একটা অঞ্চল দিয়ে দিয়েছি। তারা কাজও শুরু করে দিয়েছে।
প্রথম আলো : চট্টগ্রাম ইপিজেডে (রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল) কোরিয়ার বড় বিনিয়োগ তো আছে।
আবুল মাল আবদুল মুহিত : সেখানে জুতার বড় কারখানা ছাড়া কিছু নেই। কিন্তু জমির পরিমাণ তিন হাজার একরের মতো। ৫০০ একর হলেই তাদের যথেষ্ট। কিন্তু বিভিন্ন মামলা করে এটা আটকে রাখা হয়েছে। আমি বলব তিনি মন্দ বিনিয়োগকারী। অন্য দেশেও তাঁর বদনাম আছে। কিন্তু উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কোরিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। একজনের জন্য সেটি নষ্ট হতে পারে না।
প্রথম আলো : পিপিপির মাধ্যমে বিনিয়োগ আকর্ষণের কথা অনেক দিন ধরেই বলে আসছেন। বাস্তবে কী ঘটছে?
আবুল মাল আবদুল মুহিত : হ্যাঁ। সবাই সমালোচনা করেন, পিপিপি তো কিছু হয় না। আমি অনবরত চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিছু কিছু কাজ হচ্ছে।
প্রথম আলো : প্রতিবছর বাজেটে অর্থ সংগ্রহের যে লক্ষ্যমাত্রা থাকে, তা অর্জিত হয় না।
আবুল মাল আবদুল মুহিত : না, না। ৯৩ শতাংশ অর্জিত হয়। লক্ষ্যমাত্রা ও বাস্তবায়ন কখনোই এক হবে না। শতভাগ বাজেট লক্ষ্যমাত্রা কেউ পূরণ করতে পারে না। অবশ্য বাংলাদেশে এক বছর হয়েছে। ১৯৮৩ সালে (তখনো তিনি অর্থমন্ত্রী ছিলেন)।
প্রথম আলো : ক্ষমতার বাইরে থাকতে আপনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জোরালো বক্তব্য দিতেন। কিন্তু গত সাত বছরে আপনারা এমন কোনো পদক্ষেপ কি নিয়েছেন, যাতে দুর্নীতি কমতে পারে?
আবুল মাল আবদুল মুহিত : সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। আমি তালিকা দিতে পারি।
প্রথম আলো : সরকারি চাকরিতে যাঁরা যোগ দেন, ওই সময়ই যদি এমন কোনো ফরম পূরণের ব্যবস্থা রাখা যায়, তাঁর সম্পদ কত? আর অবসরে যাওয়ার সময় যদি পুরো সম্পদের হিসাব আবার নেওয়া হয়, সেটি দুর্নীতি কমাতে ভূমিকা রাখতে পারত।
আবুল মাল আবদুল মুহিত : পদ্ধতি আছে তো। সরকারের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, চাকরিজীবীদের সম্পদের বিবরণী দিতে হবে। তবে সবাই এটা মানেন না। ব্যবস্থাপনা দুর্বল। এটি মানার জন্য আমরা কিছু করার চেষ্টা করছি। দরকার হচ্ছে, একটা দপ্তর করে হিসাব রাখা। আমাদের কাছে সরকারি চাকরিজীবীর পরিসংখ্যানই নেই। অনলাইনে বেতন নির্ধারণীর পদ্ধতি চালু হওয়ায় এখন হবে। ২০০৮-এর নির্বাচনের আগে যে ছবিওয়ালা জাতীয় পরিচয়পত্র হলো, এটা বড় কাজ। আমরা এখন শিশুদের জন্যও জাতীয় পরিচয়পত্র করব। তবে ইসি (নির্বাচন কমিশন) থেকে দায়িত্বটি সরিয়ে আনতে হবে। ইসিতে বিষয়টি দেওয়া হয়েছিল তখন তাদের অভিজ্ঞ জনবল থাকার কারণে। হালনাগাদ করাসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করতে নতুন একটা কার্যালয় করতে হবে।
প্রথম আলো : সেটা না হয় অবৈধ উপায়ে কেউ সম্পদ করলে ধরা সহজ হবে। কিন্তু সরকারি বিনিয়োগে দুর্নীতি ও সিস্টেম লস কীভাবে কমিয়ে আনবেন?
আবুল মাল আবদুল মুহিত : আমি একটা উদাহরণ দিই সব সময়। সিলেটে মদন মোহন কলেজের বার্ষিক আয় ছিল ১৩-১৪ লাখ টাকা। এখন এটা ৮২ লাখ টাকা। ভর্তি অনলাইনে হতে হবে—শুধু এই সিদ্ধান্তের কারণে তা সম্ভব হয়েছে। কেরানিকে ধমক দেবে, মাস্টার সাহেবকে এসে বলবে, স্যার আমার ফি-টা মাফ করে দেন, এটা হবে না। দুর্নীতি কমাতে ডিজিটালাইজেশন হচ্ছে সবচেয়ে কার্যকর উপায়। তা ছাড়া সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এবার যে নতুন বেতনকাঠামো করলাম, অন্তত অভাবের কারণে কাউকে আর দুর্নীতি করতে হবে না।
প্রথম আলো : সেটা না হয় ১২ লাখের জন্য করলেন, গোটা জাতির কী হবে?
আবুল মাল আবদুল মুহিত : ১২ লাখ না, এটা প্রায় ২০ লাখ (বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীসহ)। আর ডিজিটালাইজেশনের ইতিবাচক প্রভাব বেসরকারি খাতের দুর্নীতি কমাতেও সহায়ক হবে।
প্রথম আলো : প্রতিবছর আপনি সম্পদের বিবরণী দিচ্ছেন। অন্য মন্ত্রীরা দিলেন না কেন?
আবুল মাল আবদুল মুহিত : এটা তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।
প্রথম আলো : আপনি যে দিলেন, এটা মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়েছে?
আবুল মাল আবদুল মুহিত : প্রথমবার আলোচনা হয়েছিল। কেউ কেউ অভিযোগের সুরেও বলেছিলেন, আপনি দিয়ে দিলেন, আমাদের বললেন না, ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রধানমন্ত্রীর আয়কর রিটার্ন অবশ্য কমবেশি সবাই জেনে যান। আয়করের তথ্য বাদ দিয়ে সম্পদ বিবরণীর তথ্য যে কেউ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সংগ্রহ করতে পারেন তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী।
প্রথম আলো : অর্থনীতির সঙ্গে রাজনীতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। গত বছরের প্রথম তিন মাস যেমন জ্বালাও-পোড়াও হলো, জানুয়ারি এলেই তো একধরনের অস্থিরতা দেখা দেয়।
আবুল মাল আবদুল মুহিত : না, এটা শেষ হয়ে গেছে। এ ধরনের পরিস্থিতি আর হবে না।
প্রথম আলো : ধরে নিলাম, হবে না। কিন্তু সমঝোতার পথ কী? গণতান্ত্রিক কাঠামোয় তো সবাইকে নিয়ে চলতে হয়।
আবুল মাল আবদুল মুহিত : আমার মনে হয় এ দেশের রাজনীতিতে খালেদা জিয়া অপ্রাসঙ্গিক (ইরেলিভেন্ট) হয়ে গেছেন।
প্রথম আলো : তাঁদের তো জনসমর্থন আছে। বিএনপি ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি নিলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আবুল মাল আবদুল মুহিত : দেশ ধ্বংস করার ÿক্ষমতা তাদের শেষ হয়ে গেছে। আমি মনে করি না যে খালেদা জিয়া বোকার মতো আবার হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিতে যাবেন।
প্রথম আলো : আগামী জাতীয় নির্বাচন কীভাবে হবে?
আবুল মাল আবদুল মুহিত : গত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী তো একটি কাঠামো তৈরি করেছিলেন। আগামী নির্বাচনে এটাই হবে বড় প্রশ্ন, খালেদা কীভাবে আসবেন? এটা ঠিক, সংসদে না থাকলেও বিএনপি গুরুত্বপূর্ণ দল। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়ার প্রতি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান ছিল। তিনি সুযোগ নেননি। ভবিষ্যতে কী করবেন জানি না। তাঁকে মনে রাখতে হবে হরতাল-জ্বালাও-পোড়াও চলবে না। তাঁর লক্ষ্য হওয়া উচিত আগামী নির্বাচনে তিনি কীভাবে অংশ নিতে পারেন, সেই চেষ্টা করা। সেটার জন্য তিনি প্রস্তাব রাখতে পারেন।
প্রথম আলো : খালেদা জিয়া যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকতেন, আর যদি ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন হতো, আপনারা কি যেতেন?
আবুল মাল আবদুল মুহিত : আমি যাওয়ার পরামর্শই দিতাম।
প্রথম আলো : নতুন বছরের চ্যালেঞ্জটা কী?
আবুল মাল আবদুল মুহিত : শুভবুদ্ধি জাগ্রত হোক।
প্রথম আলো : উভয়ের?
আবুল মাল আবদুল মুহিত : না। খালেদা জিয়ার।
প্রথম আলো : সামনে কোন বাংলাদেশ দেখতে পান?
আবুল মাল আবদুল মুহিত : একটা উজ্জ্বল বাংলাদেশ। ভাবিনি আমার সময়কালেই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে যেতে পারব। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ২০২১ সাল। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি। দারিদ্র্যের হার কমছে, অতিদারিদ্র্য কমছে। গায়ে কাপড় ও পায়ে জুতা ছাড়া লোক এখন কোথাও দেখা যায় না। আমি দেখতে পাচ্ছি ২০৩০ সালের মধ্যেই আমরা উন্নত দেশে পরিণত হচ্ছি।
প্রথম আলো : আপনাকে ধন্যবাদ
আবুল মাল আবদুল মুহিত : ধন্যবাদ।