প্রকৌশলীদের কাছে প্রত্যাশা

অলংকরণ: তুলি
অলংকরণ: তুলি

ড. রশীদ স্মারক বক্তৃতা প্রদানের আহ্বান জানিয়ে আমাকে যে-সম্মান দেওয়া হয়েছে, তার জন্য ড. রশীদ ফাউন্ডেশনকে, বিশেষ করে এর চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশ প্রকৌশল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক খালেদা একরাম এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. রশীদ চেয়ার অধ্যাপক আবদুল মতিনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমাদের ছাত্রজীবন থেকে আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী বন্ধুদের কাছে ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদের সুনাম শুনে এসেছি। বুয়েট-প্রতিষ্ঠার পর এর উপাচার্যরূপে তাঁর কাজকর্ম তাঁর সে-সুনামকে বোধ হয় কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। তাঁর কঠোর শৃঙ্খলাবোধ, সব ধরনের নিয়মানুবর্তিতা, সহকর্মীদের প্রতি সৌজন্যবোধ, ছাত্রদের প্রতি ভালোবাসা, তাঁর বিদ্যানুরাগ, পূর্ব বাংলায় প্রকৌশল ও কারিগরি শিক্ষার প্রসারে তাঁর ভূমিকা—এসবই প্রবাদপ্রতিম হয়ে ওঠে। ব্যক্তির সীমা ছাড়িয়ে তিনি হয়ে ওঠেন একটি প্রতিষ্ঠান। আমি তাঁকে দূর থেকে দেখেছি এবং মনে মনে শ্রদ্ধা জানিয়েছি।
অবশ্য একবার তাঁকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়। বোধ হয় ১৯৭৮ সালে, ভূমিধসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির একজন কর্মচারী নিহত হন এবং সম্পদেরও বেশ হানি ঘটে। পূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টারূপে ড. রশীদ সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখতে আসেন। তিনি এসেছিলেন হেলিকপ্টারে করে, তবে তাঁর পায়ে ছিল এক জোড়া কেডস। বোঝাই যাচ্ছিল যে, অমসৃণ জায়গায় নেমে পড়ার জন্য তিনি তৈরি হয়ে এসেছিলেন। হলোও তাই। চলতে চলতে হঠাৎ তিনি এক লাফে সমতল থেকে অনেকটা নেমে গিয়ে কিছু একটা পর্যবেক্ষণ করলেন। ক্যাম্পাসে একটি পাহাড়ি ঝরনার ধারাকে কৃত্রিম খালের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল, দুর্ঘটনার দিনে ঝরনাটি সেই খালের শাসন অমান্য করে বেরিয়ে এসেছিল। খালের নকশা যিনি করেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন বুয়েটেরই ছাত্র। সে কথা জেনে ড. রশীদ তাঁকে বললেন, ‘আপনার ডিগ্রি কেড়ে নেওয়া উচিত।’ চট্টগ্রামের ভৌগোলিক অবস্থান এবং ঝরনার বেগ ও খালটির এলাকার মাটির প্রকৃতি সম্পর্কে বিশদ ব্যাখ্যা দিয়ে ড. রশীদ তাঁকে বুঝিয়ে দেন, কেন ওই নকশা সেখানে অচল। তাঁর সেই ভৎ৴সনা ক্ষমতাসীনের হুংকার ছিল না, ছিল শিক্ষকের হতাশাজনিত তিরস্কার ও যথার্থ জ্ঞানদান-প্রবৃত্তির মিশ্র অভিব্যক্তি। তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধাবোধ সেদিন প্রবল হয়েছিল।
সেই অনুভূতি থেকেই আমি সাগ্রহে ড. রশীদের নামাঙ্কিত স্মারক বক্তৃতা প্রদান করতে সম্মত হই। যে-বিষয়ে আমাকে বলতে বলা হয়েছে, সে-সম্পর্কে আমার ধারণার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতনতাও আমাকে এ-কাজ থেকে নিবৃত্ত করতে পারেনি।

দুই
সভ্যতার উষালগ্ন থেকেই, মনে হয়, কোনো না কোনো রূপে প্রকৌশলবিদ্যার চর্চা শুরু হয়েছে। মানুষের প্রয়োজনবোধ ও স্বভাবজাত উদ্ভাবন নৈপুণ্য থেকে ব্যক্তি বা সমষ্টির উদ্যোগে তা সম্পন্ন হয়েছিল। যাঁরা চাকা আবিষ্কার করেছিলেন, তাঁদের নিশ্চয় অধীত বিদ্যা বা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। কিন্তু এক চাকাই সভ্যতাকে কী অপরিসীম অগ্রগতি দান করেছিল!
বইপত্রে দেখি, ইঞ্জিনিয়ার শব্দের মূল অর্থ ছিল ইঞ্জিনচালক এবং এখানে ইঞ্জিন বলতে বোঝানো হয়েছিল সামরিক কোনো যন্ত্র। ইঞ্জিন শব্দের সেই অর্থ এখন আর প্রচলিত নেই, কিন্তু সেই সূত্রে ইঞ্জিনিয়ার মানে ছিল সামরিক যন্ত্রবিদ্। অর্থাৎ সামরিক যন্ত্রকৌশল হিসেবেই ইঞ্জিনিয়ারিং শব্দের আদি ব্যবহার, পরে, এর প্রতিতুলনায়, ভবন ও সেতুর মতো বেসামরিক নির্মাণের ধারাটি পরিচিতি পায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বলে।
তবে এটা খুব ন্যায়সংগত মনে হয় না। মিসর ও মেক্সিকোর পিরামিড, ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান কিংবা চীনের প্রাচীরের মতো কাজ মানব মনীষার সেরা নিদর্শন বলে গণ্য। এসব অসাধারণ উদ্ভাবন কেন সামরিক প্রকৌশলের অনুবর্তী বলে বিবেচিত হবে? এসবের সঙ্গে সামরিক প্রকৌশলের কোনো সম্পর্ক ছিল না। এর ধারাবাহিকতায় আজও মানুষের উদ্ভাবনী প্রতিভা নতুন নতুন সৃষ্টিসম্ভার আমাদের উপহার দিচ্ছে। অবশ্য সামরিক প্রকৌশলেরও চোখ-ধাঁধানো বিকাশ আমরা লক্ষ করেছি—বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পারস্পরিক সহযোগে মারণাস্ত্র-নির্মাণে মানুষের অগ্রগতির পরিণাম সভ্যতা বিধ্বংসী পারমাণবিক অস্ত্রের আবিষ্কার। জাপানে আণবিক বোমার ভয়াবহ ধ্বংসলীলা তার উদ্ভাবকদের অনুশোচনার কারণ হয়েছিল। তার ফলে পুরো পঞ্চাশ দশক ধরে অ্যাটম ফর পিস বা শান্তির জন্য পরমাণুর কথা আমরা শুনেছি। পরমাণুর শান্তিপূর্ণ ব্যবহার যে সম্ভব হয়নি, তা নয়। তবে মারণাস্ত্রের যে-মজুত মানুষের আছে—তার কিছু কিছু ধ্বংস করার পরও—তা মানবসভ্যতাকে কয়েকবার ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট।
পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের কারণে বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদের অপরাধবোধ তাঁদের সামাজিক দায়বদ্ধতার পরিচয় বহন করে। এই দায়বদ্ধতা উদ্ভাবন ও নির্মাণের সকল স্তরেই বিদ্যমান। প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাবিজ্ঞান-বিষয়ের এক স্প্যানিশ শিক্ষিকা কথায় কথায় আমাকে একবার বলেছিলেন, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে কয়েকটি ধনী দেশের যৌথ অর্থসাহায্যে আফ্রিকার একটি দরিদ্র দেশে নদীর ওপরে একটি সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা হয় এবং তার নকশা প্রণয়ন করতে ওই শিক্ষিকার পিতাকে আহ্বান জানানো হয়। ভদ্রলোক সে দেশে গিয়ে সরেজমিনে সবকিছু দেখে এসে এই কাজের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেন। কেননা, তাঁর মতে, সেখানে যে-ধরনের সেতু নির্মাণ করতে হবে, তার রক্ষণাবেক্ষণের সামর্থ্য ওই দেশের নেই। দাতারা সেতু তৈরি করে দেবেন বটে, কিন্তু তারপর তো ওই সেতুর বিষয়ে তাঁদের কোনো দায়িত্ব থাকবে না। তখন সেতুটি সে-দেশের সম্পদ না হয়ে বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। আমার কাছে ওই ঘটনাটি সামাজিক দায়িত্ববোধের প্রকৃষ্ট উদাহরণ বলে মনে হয়। তিনি এত কিছু না ভেবে কাজটি করে দিতে পারতেন, ফল যাদের ভোগ করার কথা, তারা তা করত।
বস্তুত, প্রত্যেক উদ্ভাবন ও নির্মাণের সামাজিক প্রতিক্রিয়া আছে। আমাদের দেশেই দেখা যায়, একটি রাস্তা বা সেতু তৈরি হলে তার চারপাশের জনজীবনে পরিবর্তনের একটা হাওয়া বয়ে যায়। প্রতিক্রিয়া যে সব সময়ে ইতিবাচক হয়, তা তো নয়। কোনো কাজের ফলে পরিবেশ দূষিত হয়। কোথাও বা প্রকৃতিকে বেশি শাসন করতে গিয়ে তার প্রতিশোধ ডেকে আনা হয়। ভালো মনে করে যে-প্রকল্প হাতে নেওয়া
যায়, তার ফল অনেক সময়ে ভালো হয় না। ভালোর সঙ্গে মন্দের এই যোগের কথা মনে রেখেই এর মূল্য নিরূপণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রকৌশলীদের দায়িত্ব খুব বড়। তাঁরা সে-দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না। তাঁদেরই মুখ ফুটে এই ভালোমন্দ প্রতিক্রিয়ার কথা প্রকল্পের প্রস্তাবকদের বুঝিয়ে দিতে হবে। এই সামাজিক দায়িত্ববোধ তাঁদের পেশায় অঙ্গীভূত করে দেখা দরকার।
এসব কথা মাথায় রেখে অনেক দেশের প্রকৌশলী সমিতি সদস্যদের জন্য পেশাগত ও নৈতিক মূল্যবোধগত নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন এবং দেশের জনসাধারণকেও তা জানিয়ে দিয়েছেন। আমাদের দেশের প্রকৌশলীরাও হয়তো এ-ধরনের নীতিমালা তৈরি করেছেন, তবে জনসাধারণ সে-সম্পর্কে অবহিত বলে মনে হয় না। জনসাধারণকে এসব নীতিমালা জানিয়ে দেওয়াও প্রকৌশলীদের সামাজিক দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত। অবশ্য এ কথাও মানতে হবে যে, জনসাধারণের শিক্ষার স্তর ও মান উন্নত না হলে এসব অবহিতকরণ ফলপ্রসূ হয় না। তবু জনসাধারণকে তা জানানো দরকার। আজ যদি দশজন তা হৃদয়ঙ্গম করে, কাল এক শ জন তা বুঝতে পারবে এবং সেই অনুযায়ী তাদের প্রত্যাশা বাড়বে।
নীতির সঙ্গে দুর্নীতির কথাও এসে পড়ে। বাংলাদেশে দুর্নীতি এত ব্যাপক যে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কয়েকবার আমরা প্রথম স্থান অধিকার করেছি। এই হিসাব যদি গ্রাহ্য নাও করি, তাহলেও নিজেদের অভিজ্ঞতায় দেখতে পাই, দুর্নীতি সকল ক্ষেত্র গ্রাস করেছে। কেউ দুর্নীতি করে অভাবে পড়ে, কেউ লোভে পড়ে। অভাবগ্রস্তদের দুর্নীতির চেয়ে লোভীর দুর্নীতি নানা দিক দিয়ে অনেক বেশি ভয়াবহ হয়। এ ক্ষেত্রে প্রকৌশলীদের যে কিছু দুর্নাম রয়েছে, তা বোধ হয় অস্বীকার করার উপায় নেই। সব পেশার মতো, এখানেও সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত নন এবং চারপাশের দুর্নীতির মধ্যে অনেকেই সততাকে আঁকড়ে থাকেন শেষ পর্যন্ত। প্রকৌশলীদের দুর্নামের জন্য আমরা অধিক বিচলিত হই এ-কারণে যে, দেশের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্ররাই প্রকৌশলী হয়। বুয়েটে আশির দশকে ছাত্র ছিলেন, এমন একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক ও সাহিত্যিক একবার আমাকে বলেছিলেন যে, তাঁর ছাত্রাবস্থায় এখানকার ছাত্রদের মধ্যে দুবার জরিপ চালানো হয়েছিল। দুবারই দেখা গিয়েছিল, আশি শতাংশ ছাত্র বলেছেন, ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে সুযোগ পেলে তাঁরা উৎকোচ গ্রহণ করবেন। আমার তথ্যদাতা আমার সঙ্গে রহস্য করছিলেন না, এ-বিষয়ে আমি নিশ্চিত; আমাকে ভুল তথ্য দেওয়ারও কোনো কারণ তাঁর ছিল না। বলা বাহুল্য, এ-কথা শুনে আমার খুব খারাপ লেগেছিল। আশা করি, অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে এবং সততার পক্ষে থাকার লোক বেড়েছে। অবশ্য কেউ যদি বলেন, আমার উদ্ধৃত তথ্য ভুল, তাহলে আমি সবচেয়ে খুশি হব।
তবে দেশের উন্নয়ন-প্রক্রিয়ায় আমাদের প্রকৌশলী ও স্থপতিদের সফল ভূমিকার কথা আনন্দের সঙ্গে উল্লেখ করতে হবে। আজ দেশের সর্বত্র উন্নয়নের যে-পালা চলছে, তার প্রতিফলন দেখতে পাই পথ-ঘাট, কালভার্ট-সেতু, ভবন-স্থাপনা নির্মাণে। এসবের মধ্যে প্রকৌশলী ও স্থপতিদের হাতের স্পষ্ট ছাপ রয়েছে। প্রকৌশলবিদ্যার নানা শাখা-প্রশাখার পঠন-পাঠন যেমন বিকশিত হচ্ছে, আমাদের প্রকৌশলীরা তেমনি সেসব বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হচ্ছেন। এসব ক্ষেত্রে বিশ্বের অধুনাতম অগ্রগতির সঙ্গে তাঁরা পরিচিত এবং তার একটা সুবিধা আমরা সবাই মিলে ভোগ করছি।
প্রকৌশলীদের কাছে আমার আরেকটি প্রত্যাশা আছে, তবে তা পূরণ করা তাঁদের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভর করে না। তা হলো, দেশের পরিকল্পনা-প্রণয়নে অংশগ্রহণ। বেসরকারি খাতের অধিকতর সমাদর সত্ত্বেও বাংলাদেশে কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা কমিশন এখনো গুরুত্বহীন হয়ে পড়েনি। বাংলাদেশের পরিকল্পনা কমিশনে যত সদস্য এ-পর্যন্ত নিয়োগ পেয়েছেন, মোট সদস্যের তুলনায় প্রকৌশলীর সংখ্যা তাতে খুব কম। অথচ দেশের সার্বিক পরিকল্পনা-প্রণয়নে প্রকৌশলীদের ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ হওয়া প্রয়োজন। অবকাঠামো-নির্মাণ, উৎপাদন-প্রক্রিয়া-নির্ণয়, বৈজ্ঞানিক নীতির প্রয়োগ, পরিবেশ-পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে উৎপাদন-ব্যবস্থার সাড়া সম্পর্কিত ভবিষ্যদ্বাণীর ক্ষেত্রে প্রকৌশলীদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিশেষ মূল্যবান। তা থেকে দেশবাসীকে বঞ্চিত করা সংগত নয়। নীতিনির্ধারকদের কাছে এই আমার নিবেদন।

তিন
বুয়েটের বা তার পূর্বসূরি আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রদের মধ্যে উত্তর জীবনে যাঁরা আন্তর্জাতিক খ্যাতির অধিকারী হয়েছেন, তাঁদের একটি তালিকা আমার হাতে এসেছে। এতে যেসব নাম আছে, এখন আমি তা পড়ে শোনাচ্ছি: মরহুম ফজলুর রহমান খান, পুরকৌশলী ও স্থপতি; নাসিরউদ্দীন আহমদ, প্রফেসর, ইউনিভার্সিটি অব অটোয়া; আজিজুর রহমান, ফেলো, রয়াল সোসাইটি অব কানাডা; ফজলে হোসেন, প্রেসিডেন্ট’স ডিস্টিংগুইশ্ড চেয়ার, টেক্সাস টেক এবং ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব ইঞ্জিনিয়ারিং, ইউএস; তারিক দুররানী, প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর, স্ট্রাথক্লাইড ইউনিভার্সিটি এবং ফেলো, রয়াল অ্যাকাডেমি অব ইঞ্জিনিয়ারিং, ইউকে; রফিকুল গনি, প্রফেসর, ডেনমার্ক টেক, এবং প্রেসিডেন্ট, ইউরোপিয়ান ফেডারেশন অব কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং; সাইফুর রহমান, জোসেফ আর লোরিং প্রফেসর, ভার্জিনিয়া টেক, এবং আইইইই পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি সোসাইটির প্রেসিডেন্ট-ইলেকট; তাহের শরীফ, গাটসগেল প্রফেসর, ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়; কাশেফ চৌধুরী, স্থপতি, আর্কিটেকচারাল রিভিউর এআর+ডি ইমার্জিং আর্কিটেকচার অ্যাওয়ার্ড ২০১২তে ভূষিত; রফিক আজম, স্থপতি।
এ-তালিকা হয়তো অসম্পূর্ণ। স্বদেশে খ্যাতিমান এমন অনেক কৃতী প্রকৌশলী ও স্থপতির নাম এ-সঙ্গে আসতে পারে। কিন্তু যে-কথা আমি বলতে চাই, তার জন্য এই দশটি নাম যথেষ্ট। বুয়েট শুধু বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যায়তন নয়, বুয়েট সারা পৃথিবীতে নিজের জায়গা করে নিয়েছে তার কৃতী ছাত্রদের বদৌলতে। এখানকার ছাত্র হওয়া এবং শিক্ষক হতে পারা তাই বিশেষ গৌরবের বিষয়। আর খ্যাতির এই পথনির্মাণে ড. রশীদের ভূমিকা অবিস্মরণীয়।
গত ১৫ জানুয়ারি (২০১৬) বুয়েট মিলনায়তনে দেওয়া ড. রশীদ মেমোরিয়াল লেকচার
আনিসুজ্জামান: লেখক ও শিক্ষাবিদ। ইমেরিটাস অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।