পুলিশ ভেরিফিকেশন

পাসপোর্ট পাওয়া নাগরিকদের অধিকার। কিন্তু পাসপোর্টের জন্য আবেদন করলে নাগরিকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়, পুলিশ ভেরিফিকেশন যার অন্যতম। পুলিশ ভেরিফিকেশনে আপত্তি থাকার কথা নয়, যদি তা সঠিকভাবে করা হতো। বস্তুত, ভেরিফিকেশনের নামে টাকা আদায় করাই মুখ্য। টাকা না দিলে পাসপোর্ট পাওয়া কঠিন। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে এই পুলিশ ভেরিফিকেশন ব্যবস্থা চালু করা হয়। কিন্তু স্বাধীন দেশে এখনো কেন এ ঔপনিবেশিক ব্যবস্থা বহাল রাখা হয়েছে, তা বোধগম্য নয়।

তা ছাড়া, এখন নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। সরেজমিনে যাচাই করেই এটা দেওয়া হয়েছে। তাহলে পরিচয়পত্র দাখিলের পর আবার ‍পুলিশ ভেরিফিকেশন কেন? অপরাধীর পলায়ন ঠেকাতে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন নেই। কেননা, পাসপোর্টধারী অপরাধীকে বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া সম্ভব। অপরাধী শনাক্ত করার জন্য মুষ্টিমেয় অপরাধীদের তালিকা পাসপোর্ট অফিসে জমা দিলেই হয়, তাহলে অন্যান্য আবেদনকারীর পুলিশি ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন নেই। সম্প্রতি র‍্যাব দেশের সকল অপরাধীর একটি তথ্যভান্ডার তৈরি করেছে। এ তথ্যভান্ডারে পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকেও প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছে। তাই পাসপোর্ট ইস্যুর সময় আবেদনকারীর নামে থানায় মামলা আছে বা সে দাগি আসামি কি না, তা পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ওই তথ্যভান্ডারে ঢুকেই জানতে পারে। তাই এখন পাসপোর্ট দেওয়ার জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন নেই।

মো. আলী হায়দার

পল্লবী, ঢাকা।