ভর্তি লটারি

ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গত বছর থেকে লটারির মাধ্যমে শূন্য আসনে ভর্তি প্রথা চালু করা হয়। কিন্তু এতে করে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের দুর্নীতি ও কারচুপির পথ সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কায় তারা শুরু থেকেই লটারি প্রথার বিরোধিতায় নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
২০১৪ সালের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শ্রেণীতে ভর্তি ফরম বিতরণ অচিরেই শুরু হবে এবং কোনো কোনো স্কুলে তা ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। ভর্তি লটারি প্রথা বানচাল ও বিতর্কিত করতে স্বার্থান্বেষী মহলটি এখনই তৎপর। এদের কেউ কেউ ভর্তি লটারির আগেই সংক্ষিপ্ত ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ, খালি আসনসংখ্যা কম ঘোষণা করে পরবর্তী সময়ে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ভর্তি করা, নির্ধারিত আসনসংখ্যার চেয়ে বেশিসংখ্যক ভর্তি, বিভিন্ন কৌশলে অতিরিক্ত ভর্তি ফি গ্রহণের উদ্যোগ ইত্যাদি নানা ধরনের পাঁয়তারা শুরু করেছে মর্মে অভিযোগে প্রকাশ।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্কুল পর্যায়ের ভর্তি লটারি যেন সত্যিকার অর্থে সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিমুক্তভাবে অনুষ্ঠিত হয় এবং কোনো মহলের চাপে বা ষড়যন্ত্রে ভর্তি লটারি যেন প্রহসনে রূপান্তরিত না হতে পারে, সে বিষয়ে আগেভাগেই পূর্ণ সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
শাহীদুল আযম
উত্তর টোলারবাগ, মিরপুর, ঢাকা।