কতটুকু এগিয়েছে আওয়ামী লীগ

বাংলাদেশ রাষ্ট্রের উত্থানপর্বের কান্ডারি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের উত্থানপর্বের কান্ডারি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

আজকের দিনটি আওয়ামী লীগের তো বটেই, বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি অনন্য দিন। ১৯৪৯ সালের এই দিনে ঢাকার কে এম দাস লেনের ‘রোজ গার্ডেন’-এর দোতলায় বিকেলে প্রায় ৩০০ রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে জন্ম নিয়েছিল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। মুসলিম লীগের বিক্ষুব্ধ তরুণেরাই ছিলেন দলের পথিকৃৎ। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল মুসলিম লীগের ক্ষমতালিপ্সু নেতৃত্বের কবজা থেকে রাজনীতিকে মুক্ত করে জনগণের (আওয়াম-এর) মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা করা। দলটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। ‘আওয়ামী লীগ’ নামটিও তাঁর দেওয়া। ৪০ জনের প্রথম কার্যকরী কমিটিতে আরও ছিলেন আতাউর রহমান খান, সাখাওয়াত হোসেন, আলী আহমেদ খান, আলী আমজাদ খান ও আবদুস সালাম খান (সহসভাপতি), শামসুল হক (সাধারণ সম্পাদক), শেখ মুজিবুর রহমান (যুগ্ম সম্পাদক), খন্দকার মোশতাক আহমদ ও এ কে এম রফিকুল হোসেন (সহসম্পাদক) এবং ইয়ার মোহাম্মদ খান (কোষাধ্যক্ষ)। শেখ মুজিব তখন কারাগারে। ইয়ার মোহাম্মদ খানের কারকুনবাড়ি লেনের তিনতলা বাড়ির একতলায় ছিল আওয়ামী লীগের প্রথম অফিস। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতাদের অনেকের নাম আজকের প্রজন্মের অজানা। আজ দলটি ৬৭ বছর পেরিয়ে ৬৮তে পা রেখেছে। আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
বয়সের দিক থেকে কংগ্রেস, মুসলিম লীগ, কমিউনিস্ট পার্টি এবং কৃষক প্রজা পার্টি আরও পুরোনো। বাংলাদেশ কংগ্রেসের নেতা মনোরঞ্জন ধর ১৯৭২ সালে সদলবলে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে দলের বিলুপ্তি ঘটান। মুসলিম লীগ ভাঙতে ভাঙতে শেষ। কমিউনিস্ট পার্টিও ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। অবিভক্ত বাংলায় কৃষক-প্রজা পার্টি একটা বড় দল ছিল। শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুর পর দলটি আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি। যেটুকু অবশিষ্ট ছিল, তাও ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা দেওয়ার কারণে আর টিকতে পারেনি। আওয়ামী লীগের পরে জন্ম নেওয়া বেশ কয়েকটি দলের আজ আর অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। যেমন: গণতন্ত্রী দল, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, জাতীয় লীগ ইত্যাদি। সবকিছু ছাপিয়ে আওয়ামী লীগ এখনো টিকে আছে প্রবল প্রতাপে।
আওয়ামী লীগের সাত দশকের পথচলার কয়েকটা বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয়। একাধিক কিংবদন্তিতুল্য নেতার সমাবেশ ঘটেছিল এই দলে, যেমনটি অন্য কোনো দলে দেখা যায়নি। মাওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। নেতৃত্বের এই পরম্পরা আওয়ামী লীগকে বিশিষ্টতা দিয়েছিল। এখন দলের নেতৃত্বে আছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। দেখা গেছে দল যত পরিণত হয়েছে, দলের নেতা তত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন। এমনকি দলকে ছাপিয়ে দলের নেতা নিজেই হয়ে গেছেন প্রতিষ্ঠান।
১৯৫৪ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহরাওয়ার্দী দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে মোহাম্মদ আলী বগুড়ার মন্ত্রিপরিষদে যোগ দিয়েছিলেন। মন্ত্রিত্ব নেওয়ার পর এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ আবার কী? আমিই আওয়ামী লীগ।’ সাংবাদিক আবার প্রশ্ন করলেন, ‘এটা কি আওয়ামী লীগের ম্যানিফেস্টো-বিরোধী না?’ সোহরাওয়ার্দীর জবাব ছিল, ‘আমিই আওয়ামী লীগের ম্যানিফেস্টো’। বাস্তবে তা-ই ছিল। দল যত বড় হয়েছে, দলের নেতা তত ক্ষমতাশালী হয়েছেন। দলের কথায় নেতা চলেননি। নেতার কথায় দল চলেছে।
একটা কথা জন-আলোচনায় প্রায়ই উঠে আসে, যেখানে দলের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা নেই, সেখানে দেশের গণতন্ত্র আসবে কী করে? দলের মধ্যে গণতন্ত্রচর্চার সনাতন ধারণাটি হলো, কাউন্সিল সভায় সর্বস্তরের প্রতিনিধিরা ভোট দিয়ে নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচন করবেন। বাস্তবে এটা হয় না। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগের যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল, সেখানে ভোটাভুটির প্রশ্ন ওঠেনি। সবাই মিলে মাওলানা ভাসানীকে কমিটি তৈরি করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। ভাসানীর তৈরি করা কমিটি নিয়ে কোনো বিতর্ক হয়নি। কমিটি গঠনের এই পদ্ধতি এখনো অব্যাহত আছে।
তরুণ শেখ মুজিব ১৯৫২ সালে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান এবং ১৯৫৩ সালের কাউন্সিল সভায় পুরোদস্তুর সাধারণ সম্পাদক হন। তখন থেকেই তিনি সার্বক্ষণিকভাবে দলকে তৃণমূলে বিস্তৃত করার কাজে লেগে যান। আজ যে আওয়ামী লীগকে আমরা দেখি, তার ভিত তৈরি হয়েছিল ওই সময়। ইউনিয়ন পর্যায়েও আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এ রকম ব্যাপ্তি আর কোনো দলের ছিল না, এখনো নেই।
১৯৫৩ থেকে ১৯৬৬, এই ১৩ বছর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শেখ মুজিব। এত দিন ধরে একটি দলের সাধারণ সম্পাদক থাকার এই রেকর্ড এখনো অটুট। এ দেশে রাজনৈতিক দলগুলো সভাপতিকে কেন্দ্র করেই ঘুরপাক খায়। কিন্তু শেখ মুজিব যত দিন দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, দল প্রকৃতপক্ষে তিনিই চালাতেন। তিনি ছিলেন দলের প্রাণভোমরা। এখানে দুটো ব্যাপার খুবই গুরুত্বপূর্ণ—সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বশীলতা এবং তাঁর ব্যক্তিত্ব। এই দুইয়ের সমাহার পরবর্তী সময়ে আর কোনো সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দেখা যায়নি। এখন সাধারণ সম্পাদকের পদ আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
শেখ মুজিব মনে করতেন, দল যদি সরকার গঠন করে, তাহলে দলের নির্দেশেই সরকার চলবে। ১৯৫৬-৫৮ সালে কয়েক মেয়াদে এ দেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে প্রাদেশিক সরকার ছিল। তখন সরকারের ওপর দলের কর্তৃত্ব ছিল। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে একটা বিধান ছিল, সরকারের মন্ত্রী হলে তাঁকে দলীয় পদ ছেড়ে দিতে হবে। এই বিধান মেনে নিয়ে ১৯৫৭ সালে শেখ মুজিব প্রাদেশিক সরকারের মন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন।
শেখ মুজিব ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে বাহাত্তরের এপ্রিলে আবারও দলের সভাপতি করা হয়। তবে তিনি গঠনতন্ত্রে হাত দেননি। মন্ত্রিসভার কোনো সদস্যকে দলীয় পদে আর রাখা হয়নি। ১৯৭৪ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত দলের কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সভাপতির পদ ছেড়ে দেন। নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান। তবে সরকার ও দলের মধ্যে ক্ষমতার যে কেন্দ্রীভবন ঘটেছিল এবং শেখ মুজিবের যে বিশাল ব্যক্তিত্ব ছিল, তাঁকে কেন্দ্র করেই সরকার এবং দল আবর্তিত হচ্ছিল। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ যখন আবার সরকার গঠন করে, গঠনতন্ত্রের এই বিধানটি আর কার্যকর থাকেনি। দলের প্রধান এবং সরকারের প্রধান একই ব্যক্তি। যেহেতু দলের চেয়ে সরকারের ক্ষমতা বেশি, দল ক্রমে সরকারের মুখাপেক্ষী হয়েছে, দল হয়ে গেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান। দলের স্বাস্থ্যের জন্য এটা ভালো হয়নি।
মাওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন প্রথম ৭ বছর। এরপর সভাপতি হন মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ। তিনি ৯ বছর এই দায়িত্বে ছিলেন। শেখ মুজিব ১৯৬৬-৭৪ সময়কালে ৮ বছর সভাপতি ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একদলীয় ‘বাকশাল’ ব্যবস্থা কায়েম হলে তিনি ছয় মাস এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। পঁচাত্তরের আগস্টে এক সেনা-অভ্যুত্থানে তিনি নিহত হন। শেখ হাসিনা দলের সভানেত্রী নির্বাচিত হন ১৯৮১ সালে। তিনি এই দায়িত্বে আছেন একটানা ৩৬ বছর। এই অঞ্চলে এটা একটা অনতিক্রম্য রেকর্ড। নেতৃত্বের এই ধারাবাহিকতা আওয়ামী লীগকে একদিকে স্থিতিশীলতা দিয়েছে, অন্যদিকে তাকে করেছে এক ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল। তিনি হয়তো আরও অনেক বছর দলের শীর্ষ পদে থাকবেন। রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার দৃষ্টান্ত এ দেশে নেই বললেই চলে।
আওয়ামী লীগ যখন দেশের হাল ধরেছিল ১৯৭২ সালে, সংসদে তখন বিরোধী দল ছিল না। চার দশক পর এই অবস্থার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। সংসদে এখন কিছু ছদ্ম বিরোধী দল সরকারি দলের ডালে বসে গুন গুন করে। রাজনীতির জুয়াখেলায় হেরে বিএনপি ক্ষমতার বৃত্ত থেকে ছিটকে পড়েছে। দলটি এখন বিপর্যস্ত। আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ এখন আওয়ামী লীগ নিজেই। সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে দলের এক গ্রুপ অন্য গ্রুপের ওপর চড়াও হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে দলের সংহতিতে চিড় ধরেছে। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে প্রচণ্ড ক্ষমতাশালী নেতৃত্বের আড়ালে এই দ্বন্দ্ব চাপা পড়েছে। দলটি যদি সরকারে না থাকে, এই দ্বন্দ্বের ফল হবে মারাত্মক।
আওয়ামী লীগের মধ্যে ঝগড়া-ফ্যাসাদ নতুন কোনো ব্যাপার নয়। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের উত্থানপর্বের কান্ডারি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। তাঁর মতো বটবৃক্ষসম একজন নেতার অনুপস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকার উপদলীয় কোন্দলে বিপর্যস্ত হয়েছিল। প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের বিরুদ্ধে দলের অন্য নেতারা একাধিকবার অনাস্থা জানিয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালের পর অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে আওয়ামী লীগ বারবার সংকটে পড়েছে। দল ভেঙেছে কয়েকবার। ফলে দলের মধ্যে একজন দাপুটে ‘মেসিয়া’র আগমনের প্রেক্ষিত তৈরি হয়। এ রকম একটা পরিস্থিতিতেই শেখ হাসিনা দলের সভানেত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। দলের মধ্যে সংহতি ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার অভাবে সবাই চাতক পাখির মতো একজন ত্রাণকর্তার খোঁজ করেন। সামন্ততান্ত্রিক সংস্কৃতির এই ঘেরাটোপ থেকে আওয়ামী লীগ এখনো বেরিয়ে আসতে পারেনি।
বাহাত্তরে আমরা যে সংবিধান পেয়েছিলাম, তা ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের একটা বড় অর্জন। পরবর্তী সময়ে এই সংবিধানে কাটাছেঁড়া হয়েছে অনেক। ইতিমধ্যে দেশ ও সমাজের চালচিত্র আমূল পাল্টে গেছে। বদলে গেছে বিশ্ব পরিস্থিতিও। পরিবর্তনের এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করা কঠিন, কিন্তু জরুরি। দুঃখজনক হলেও সত্য যে আওয়ামী লীগ এখনো অতীতচারী। এখনো আওয়ামী লীগ বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়ার কথকতায় মশগুল। সঙ্গে আছে নব্য আওয়ামী লীগারদের সার্বক্ষণিক বঙ্গবন্ধু-কীর্তন।
রবীন্দ্রনাথ ‘প্রাচ্য সমাজ’ প্রবন্ধে লিখেছিলেন, ‘আমাদের পূর্বাঞ্চলে প্রবলা প্রকৃতির পদতলে অভিভূতভাবে বাস করিয়া প্রত্যেক মানুষ নিজের অসারতা ও ক্ষুদ্রতা অনুভব করে; এইজন্য কোনো মহৎ লোকের অভ্যুদয় হইলে তাঁহাকে স্বশ্রেণী হইতে সম্পূর্ণ পৃথক করিয়া দেবতা-পদে স্থাপিত করে। তাহার পর হইতে তিনি যে কয়টি কথা বলিয়া গিয়াছেন বসিয়া বসিয়া তাহার অক্ষর গণনা করিয়া জীবনযাপন করি; তিনি সাময়িক অবস্থার উপযোগী যে বিধান করিয়া গিয়াছেন তাহার রেখামাত্র লঙ্ঘন করা মহাপাতক জ্ঞান করিয়া থাকি।’ অথচ আমাদের সম্মুখপানে এগোতে হবে, পাড়ি দিতে হবে অনেকটা পথ। বঙ্গবন্ধু হবেন আমাদের প্রেরণার উৎস। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সময়টা যে আমরা অনেক আগেই পার হয়ে এসেছি, তা উপলব্ধি করা দরকার।
দেশে এখন প্রচণ্ড শক্তিশালী একটা সরকার বিরাজমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিধর নেতাদের একজন। অভ্যন্তরীণ প্রেক্ষাপটে এতটা ক্ষমতাশালী সরকার ও দলীয় প্রধান পৃথিবীতে খুব কম আছে। কিন্তু এটা কোনো চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত না। দল যখন সরকারে থাকে না, তখন দলের শক্তির পরীক্ষা হয়। বেশ কয়েক বছর হলো আওয়ামী লীগকে এই পরীক্ষা দিতে হচ্ছে না। কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবেই আওয়ামী লীগকে দল গোছাতে হবে। দলের কোমরের জোর কতটুকু, তার প্রমাণ পাওয়া যাবে যখন সরকার বদল হবে। আওয়ামী লীগ কি নিকট ভবিষ্যতে সরকার পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা দেখছে না?
মহিউদ্দিন আহমদ: লেখক ও গবেষক।
[email protected]