শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক মাঝেমধ্যে ঢাকায় আসেন। তবে আশি ছুঁই ছুঁই জীবনে গতকাল রাজধানীতে আরও ২৯ জন সহকর্মীর সঙ্গে বিমানে চেপে তাঁর পদার্পণ ছিল ব্যতিক্রম। যে উদ্দেশ্যে তাঁর আসা, তাকে তিনি বলেছেন ‘অভূতপূর্ব’। ৬৪ বছর বয়সী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ১ হাজার ৭০০-র বেশি প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী এবং সাবেক ১০০ শিক্ষকের এ এক অসাধারণ পুনর্মিলনী। এটা চলবে আজ শনিবার, বসুন্ধরা অডিটোরিয়ামে সকাল থেকে সাঁঝবেলা। কে খুঁজে বের করেছেন। টেলিফোনে হাসান আজিজুল হক জানালেন অকপট প্রতিক্রিয়া: ‘খুবই অন্য রকমের এক উৎসবে’ যোগ দিতে আসা। আর হ্যাঁ, এখানে ‘অমুক দল, তমুক দলের’ কোনো ব্যাপার নেই; ‘পলিটিকসের’ কোনো ব্যাপার নেই।
এই পুনর্মিলনী নতুন প্রজন্মকে পথ দেখাবে। গতকাল শুক্রবারের নৈশভোজে অন্যদের মধ্যে রাবির প্রথিতযশা অধ্যাপকদের মধ্যে বদরুদ্দীন উমর, এ বি এম হোসেন ও রফিকুল ইসলাম ছিলেন। আবার আওয়ামী লীগের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু কিংবা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গ্রামবিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শিশিরের মতো প্রাক্তন ছাত্র দেখা গেছে। রাবির বর্তমান উপাচার্য এবং বিএনপি আমলের উপাচার্যকেও চোখে পড়েছে। ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি উদ্যোক্তাদের অন্যতম। রাকসুর শেষ সংসদ নির্বাচনের নির্বাচিত ভিপি এবং বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভী স্বতঃপ্রণোদিতভাবে নিবন্ধিত হয়েছেন। তিনি আজকের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতও। এ পর্যন্ত যা নির্দেশ করছে, তাতে মনে হয়, উদ্যোক্তারা চাইলেই একে শুধুই আটপৌরে পুনর্মিলনীর ঘেরাটেপে বন্দী না রেখে শিক্ষার মান উন্নয়নে এমনভাবে কাজে লাগাতে পারেন, যার সুদূরপ্রসারী তাৎপর্য তৈরি হতে পারে।
আমাকে যখন এতে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং উদ্যোক্তাদের তৈরি করা রাবির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞাত হই, তখন সত্য প্রকাশের তাড়না অনুভব করি। অবশ্য সত্য কী, তা বড় গোলমেলে বিষয়। তারপরও রাবি সম্পর্কে ইতিহাসের মহাফেজখানা থেকে কিছু অপ্রকাশিত তথ্য হাজির করা যাক। তুলনা করে দেখা যাক, ৬৪ বছর আগে ১৯৫৩ সালে যখন রাবি যাত্রা শুরু করেছিল, তখনকার রাজনৈতিক পরিবেশ কেমন ছিল। এ বিষয়ে কিছু টুকরো কাহিনি (anecdote) আমাদের মর্মাহত ও উদ্বিগ্নও করতে পারে।
৬৪ বছর আগে এই ভূখণ্ডের রাজনীতিতে বড় তর্ক ছিল, রাষ্ট্র ও সংবিধানে ধর্মের কি জায়গা হবে, সেক্যুলারিজম নাকি ইসলামি সংবিধান? ‘ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার’ [খালেদা জিয়ার রূপকল্প ২০৩০-এ বর্ণিত] নীতি নেব, নাকি ধর্মরাষ্ট্র গড়ব? যে রাজনৈতিক শক্তি রাবি গড়েছিল, তাদের দর্শন ছিল ধর্মরাষ্ট্রের পক্ষে। তারাই রিপাবলিকের আগে ‘ইসলামিক’ রেখেছিল। অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিন, যিনি রাবি বিল পাসে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন, তাঁর বরাতে একজন মার্কিন কনসাল একটি নথিতে লিখেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী ‘রিপাবলিক’ চান, ইসলামিক রিপাবলিক নয়। বাঙালি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী স্পষ্টতই ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে ধর্মরাষ্ট্রবাদীদের সঙ্গে সুর মেলালেন। রাবির দ্বারোদ্ঘাটনের চার দিন পরে ১০ জুলাই তিনি পূর্ব পাকিস্তান সফরে আসেন। ‘ইসলামি সংবিধান’ তৈরিতে সর্বাত্মক মদদ দেন। মার্কিন কনসাল গ্রে ব্রিম ১৬ জুলাই ওয়াশিংটনে গোপন তারবার্তা পাঠান যে ধর্মীয় সংগঠনগুলো ‘সেক্যুলার স্টেট’ প্রতিষ্ঠার ধারণার নিন্দা করেছে। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, রাষ্ট্রীয় জীবনে ইসলামি সিলসিলার বিস্তার না ঘটালে আগামী নির্বাচনে তাঁরা মুসলিম লীগকে ভোটই দেবেন না। তাঁরা ৩১ জুলাই পূর্ব পাকিস্তানে ‘ইসলামি সংবিধান দাবি দিবস’ পালনের ডাক দেন। ১৯৫৩ সালের এই সময়টায় জামায়াত ইসলামিসহ সমমনা দলগুলো যথারীতি ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িক, অন্যদিকে আওয়ামী মুসলিম লীগ তখন অসাম্প্রদায়িক হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে।
সামনে ইসলামপন্থীদের রেখে পেছনে ছিল ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের কারসাজি। গ্রে ব্রিম মন্তব্য করেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সেক্যুলার স্টেট এবং ইসলামিক স্টেটের যে প্রসঙ্গ তুলেছেন, তা পূর্ব পাকিস্তানে সংবেদনশীল বিষয়।’ রাবির ৬৪ বছর উদ্যাপনের মাহেন্দ্রক্ষণে মি. ব্রিমের কোনো উত্তরসূরি রাষ্ট্রদূত যদি স্বাধীন বাংলাদেশে একই বিষয়ে কাছাকাছি কোনো মন্তব্য করেন, তাহলে আমরা অবাক হব না।
২০১২ সালে যখন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের কলেজ পার্কে অবস্থিত মার্কিন জাতীয় মহাফেজখানায় কাজ করেছিলাম, এই অবমুক্ত করা মার্কিন নথিগুলো তখনকার সংগ্রহ। সেই কলেজ পার্কের এক সন্ধ্যায়, যে কপিটি পড়ে চমকিত হয়েছিলাম, দুঃখের বিষয় সেটি গতকাল খুঁজে পাইনি। সেই নথি সম্ভবত ১৯৫৩ সালের মার্চ ও এপ্রিলে ঢাকা থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো তৎকালীন মার্কিন কনসাল জেনারেল গ্রে ব্রিমের বার্তা।
উল্লিখিত নথির বক্তব্য ছিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্ররা যেহেতু বামপন্থার দিকে ঝুঁকেছেন, তাই রাবি ছাত্ররা তাঁদের পাল্টা জবাব দেবেন। ওই সময়ে পাকিস্তানি রাজনীতিকদের একটা বাতিক ছিল মার্কিনদের এই ধারণা দেওয়া যে লালে লাল হওয়াটা (কমিউনিজমের দিকে ঝোঁকা) তাঁরা যেকোনো মূল্যে ঠেকাবেন। মার্কিন নথিমতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার লক্ষ্য ছিল কমিউনিজমের বিরুদ্ধে পাল্টা দুর্গ গড়ে তোলা, সরকারবান্ধব নয়া ছাত্র-শিক্ষক মোর্চা গড়া। অথচ পরিহাস এই, ছাত্রদের যে প্রত্যক্ষ ভোটব্যবস্থা প্রত্যেক ক্ষমতাসীনের জন্য অস্বস্তি ও ভীতিপ্রদ, সেই পথে রাবি ছিল আগুয়ান। রাকসুর সাত বছর পরে ১৯৬৯ সালে ডাকসু হয়েছিল! উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান যে শিক্ষাবিদ ড. শামসুজ্জোহার আত্মদানে ভাস্বর, তিনি রাবিরই একজন।
ব্রিটিশ শিক্ষাবিদ স্যার স্যাডলার কমিশন ১৯১৭ সালে ঢাকা ও রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেছিলেন। দেখাই যাচ্ছে, নুরুল আমিন সরকার কোনো শুভবোধ থেকে তার বাস্তবায়ন করেননি। দৃশ্যত, কোনো মহৎ কিছু গড়ার পেছনেও যে শাসকের সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি থাকে, তার অন্যতম নজির রাবির প্রতিষ্ঠা। রাবি প্রতিষ্ঠাকালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় মনোভাব, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুঁসে ওঠা আবহাওয়াকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছিল।
মার্কিন কনসাল জেনারেল ১৯৬৮ সালে লিখেছেন, ২১-২২ মার্চ একজন মার্কিন কর্মকর্তা রাজশাহী সফর করেছেন। রাজশাহীতে কলেজছাত্র প্রায় সাত হাজার, এর মধ্যে ২ হাজার ৫০০ রাবির। ওঁরা ঢাকার ছাত্রদের মতো রাজনীতিতে সক্রিয় নন। শহরে তিনটি সিনেমা হল আছে। বেশির ভাগ ছেলে সেখানে সময় কাটান। রাবি প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছর পরে, ১৯৫৮ সালের ১ এপ্রিল মি. ব্রিমের উত্তরসূরি কনসাল গেনে ক্যাপ্রিও ‘রাজশাহী বিভাগে বিচ্ছিন্নতাবাদ’ শীর্ষক এক অদ্ভুত বার্তা পাঠান। নিলফামারীর জলঢাকার কইমারি ইউনিয়নে পুলিশের গুলিতে পাঁচজন নিহত হয়েছিলেন। তিনি লেখেন, রাজশাহীর মানুষ পৃথক প্রদেশের দাবি তুলেছেন। আগের মাসে অ্যাসেম্বলিতে আস্থা ভোটে আওয়ামী লীগের কোয়ালিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়া ২৭ এমপির মধ্যে ১৬ জনই ছিলেন রাজশাহী বিভাগের। আবার ১৯৭২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি মার্কিনরা দেখেছেন, উত্তর ভিয়েতনামে বোমাবর্ষণের প্রতিবাদে প্রায় ১৫০ জন রাবি ছাত্র মার্কিনবিরোধী স্লোগান তুলে রাজশাহীর মার্কিন তথ্যকেন্দ্র ইউসিস গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন। জেনারেল এরশাদের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধেও রাবির সংগ্রাম ছিল স্মরণীয়।
তেপ্পান্নর জুলাইয়ে নুরুল আমিন যখন রাবি আইন পাস করার উদ্যোগ নেন, মার্কিন নথি বলছে, তাঁর গদি ছিল টলোমলো। নুরুলের নির্বাচনভীতি ছিল, তাঁর প্রশাসন যে জুলুম করেছে, তাতে তিনি জানতেন, ন্যায্য ভোট হলে তাঁর পক্ষে নির্বাচনী বৈতরণি পার হওয়া অসম্ভব হবে।
১৯৫৩ সালের ১৮ জুন মার্কিন কনসাল ব্রিম লিখেছেন, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে রাবি খোলার ঘোষণা পুনরায় দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিন আমাদের বলেছেন, উপাচার্য এখনো ঠিক হয়নি। তবে ঢাবির প্রশাসনিক বিধিগুলো (যা ছিল কালাকানুন) রাবিতেও তিনি ব্যবহার করতে চান। রাবি খোলার আগে এটা তিনি জারি করবেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি জানেন, তাঁকে এ জন্য যথেষ্ট সমালোচিত হতে হবে। কিন্তু ছাত্র ও শিক্ষকেরা মারাত্মকভাবে রাজনীতিতে জড়িয়ে এতটাই বিহ্বল হয়ে পড়েছে যে শিক্ষা কার্যক্রম প্রায় অর্থহীন হয়ে পড়েছে। তাই তাকে অবশ্যই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।’
উল্লেখ্য, ঢাবিতে এ সময় ‘বহিষ্কৃত’ ছাত্রদের পুনর্বহালে এপ্রিল থেকে ৪ জুলাই, অর্থাৎ রাবি খোলার দুদিন আগ পর্যন্ত ছাত্রধর্মঘট চলেছিল। আর আমরা দেখি, সেই ১৯৫৩ সালের ‘বাংলা দেশে’ও কে উপাচার্য হবেন, তা ছিল ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার বিষয়। সেই ধারা আজ বেগবান, নাকি দুর্বল? একটা আত্মজিজ্ঞাসা দরকার।
ঢাবির উপাচার্য পদে আসতে চাইছিলেন ড. আই এইচ জুবেরি। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর আস্থাভাজন ছিলেন, ঢাবির উপাচার্য হওয়ার ‘দৌড়ে’ও ছিলেন। ব্রিম লিখেছেন, জুবেরিকে রাবির ভিসি করায় তিনি অন্তত এক বছর আর ঢাবির ভিসি হতে দৌড়াবেন না। ঢাবির ভিসির ওপর সরকার সন্তুষ্ট ছিল না, কিন্তু বিকল্প ছিল না বলে তাকেই পুনর্নিয়োগের চিন্তা ছিল। মার্কিন নথিমতে ড. জুবেরির ব্যক্তিত্বের ঘাটতি ছিল। তাঁর পক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা রক্ষা করে চলা কঠিন ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আস্থাভাজন বলে তাঁকেই বেছে নেওয়া হয়। রাবি খোলা হয় ৬ জুলাই। মি. ব্রিম ৯ জুলাই লিখেছেন, পদাধিকার বলে রাবির আচার্য গভর্নর। ভিসি নিয়োগের কর্তৃত্ব তাঁরই, এমনকি আইন তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাঁর স্বীয় বিবেচনামতে হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা দিয়েছে।
আজ পুনর্মিলনীতে যাঁরা আসবেন এবং যাঁরা আগামীকাল এমনই কোনো সম্মেলনে যোগ দেবেন, তাঁরা স্মরণ করবেন, স্বাধীনতার আগে নিয়মিত রাকসু নির্বাচন হয়েছে। বাংলাদেশ পর্বে সামরিক শাসনে তা স্থগিত হয়েছে, ৪২ বছরে মাত্র তিনবার রাকসু ও সিনেট নির্বাচন হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ৩৭ হাজার ছাত্রছাত্রী, অথচ তার ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংসদ নির্বাচন নেই। শুধু তা-ই নয়, এই একটি নেই আরও অনেক নেই নিশ্চিত করেছে। সুইমিং পুল নেই, জিমনেশিয়াম নেই, মল নেই, টেনিস কোর্ট নেই, বাস্কেটবল নেই, লাইব্রেরির অবস্থা সঙিন। অথচ এককালে এর সবই ছিল। এই যে একদা ছিল এখন নেই, সেসব দিনের কথাই স্মৃতিচারণা করবেন রাবির সাবেক শিক্ষক-ছাত্রছাত্রীরা।
প্রাক্তন বা অ্যালামনাই সংগঠনগুলো উন্নত বিশ্বে প্রেসার গ্রুপ হিসেবে বিরাট মর্যাদা ভোগ করে। বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ দুর্বল থাকার কারণে অ্যালামনাই-সংক্রান্ত আয়োজনগুলোও উদগ্রভাবে বিভক্ত ও একঘেয়ে হয়ে গেছে। সাধারণত এ ধরনের সমাবেশে প্রাক্তনের তকমা আঁটা সেলিব্রিটিদেরই আমন্ত্রণ করা হয়, আর তাঁদের বাছাইয়ে দলীয় ও ঘরানাগত পছন্দ-অপছন্দ বেশ ফুটে ওঠে। রাবির পুনর্মিলনীর উদ্যোক্তারা সম্ভবত সে রকমটা চাননি। তাঁরা দলমত-নির্বিশেষে রাবির সাবেক শিক্ষকদের খুঁজে বের করে এক জায়গায় জড়ো করার চেষ্টা করেছেন। শুনেছি, এই সমাবেশকে নির্দলীয় ও নির্মোহ রাখতে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। এতে সভাপতি বা প্রধান অতিথি থাকবেন না। আমরা এর সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করি।