ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) বাঁধের মধ্যে একটি খাল রয়েছে পানি সংরক্ষণের জন্য। সড়ক ও জনপথ (সওজ), নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মালিকানাধীন এই খাল ভরাট করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা, প্রকাশ্যে। কীভাবে এই বেআইনি কাজ চলতে পারে?
সওজ ও সিটি করপোরেশন বলছে, তারা ভরাট বন্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের কাছে লিখিত অনুরোধ জানিয়েছে। পাউবোর বক্তব্য, যে অংশ ভরাট হয়েছে, তা সওজের অধীন, ভরাট আরও বাড়লে তারা ব্যবস্থা নেবে। আর পুলিশ বলছে, তাদের কাছে অভিযোগ করার সুযোগ নেই, সওজ তাদের জায়গা দখলমুক্ত রাখবে, অভিযান চালাতে চাইলে তারা ফোর্স দেবে। বোঝা যাচ্ছে, সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে। এই যদি পরিস্থিতি হয়, তবে দখলদারেরা তো সুযোগ নেবেনই।
দখলদারদের পরিচয় তাঁরা প্রভাবশালী। তাঁদের বেশির ভাগই সরকারি দল ও এর অঙ্গসংগঠনের লোক। তাঁরা এরই মধ্যে খালের এক বিঘা জায়গা ভরাট করছেন, তাঁদের লক্ষ্য আরও নয় বিঘা ভরাট করা। সেখানে তাঁরা বিপণিবিতান বানাতে চান, দোকানপ্রতি ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা নেওয়া হবে বলেও প্রচার রয়েছে। কার খাল কারা ভরাট করেন, বিপণিবিতান বানান, আবার দোকান বিক্রি করারও ঘোষণা দেন!
যে খালটি রয়েছে, তা ভরাট করার পরিণতি কী হতে পারে, তা স্পষ্ট। পানি সংরক্ষণের জায়গা কমে যাওয়া মানে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা বেড়ে যাওয়া। দখলদারেরা সফল হলে ডিএনডি বাঁধের জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি আরও শোচনীয় হবে। যেটুকু খাল ভরাট হয়েছে, তা আগের জায়গায় ফিরিয়ে নেওয়া ও ভরাটের কাজ এখনই বন্ধ করতে হবে। দখলদারদের বিরুদ্ধে নিতে হবে আইনি ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। সওজ, সিটি করপোরেশন, পাউবো বা পুলিশ প্রশাসন—কারোরই দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ নেই।