আর এখন যত আমরা সূর্যমুখী সম্পর্কে জানছি, আমাদের মনে তত এই প্রশ্ন জাগছে, এত দিন কেন এই ফুলের চাষ আমরা করিনি। সবদিক দিয়েই এই ফুল আমাদের জল, মাটি, আবহাওয়া ও পরিবেশের উপযোগী। সূর্যমুখী সারা বছর চাষ করা যায়। সব ধরনের মাটিতেই জন্মে। গাছের সবকিছুই কাজে লাগে—বীজ থেকে হয় তেল, বীজ ছাড়ানো ফুলের মাথা ও খইল উৎকৃষ্ট গবাদি খাদ্য, গাছের শুকনা কাণ্ড ও পুষ্পস্তবক উৎকৃষ্ট জ্বালানি। উৎপাদন বিবেচনায়ও এটি লাভজনক ফসল। যেখানে এক কেজি শর্ষে বীজ থেকে মেলে ৩০০-৩৫০ গ্রাম তেল, সেখানে সূর্যমুখী থেকে পাওয়া যায় ৪০০-৪৫০ গ্রাম। সবচেয়ে বড় কথা, বাংলাদেশের অনেক চর অনাবাদি পড়ে থাকে, বাণিজ্যিকভাবে এগুলোতে অনায়াসে সূর্যমুখী চাষ করা যায়। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে সূর্যমুখীর সম্ভাবনা উজ্জ্বল।