অঞ্চলভিত্তিক গ্রন্থাগার চাই

প্রতীকী ছবি

জ্ঞানের উৎস হচ্ছে বই। সাধারণত সব রকমের বই যে স্থানে সযত্নে রক্ষিত থাকে, তাকেই লাইব্রেরি বা গ্রন্থাগার বলা যায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়, ‘গ্রন্থাগারে শত বছরের মহাসমুদ্রের কল্লোল যেন ঘুমিয়ে থাকে।’ মানুষের সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশের সঙ্গে গ্রন্থাগারের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। পৃথিবীর যেকোনো জাতির ভবিষ্যৎ পথের আলোড়ন ঘটাতে লাইব্রেরির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গ্রন্থাগার ব্যক্তির জীবনে জ্ঞান লাভ ও মানবিক বিকাশ সাধন করে থাকে। পাঠক হওয়াই বড় কথা এবং গ্রন্থাগার সেই কাজ অনায়াসে সাধন করতে পারে। গ্রন্থাগারে দেশের বিভিন্ন কবি–সাহিত্যিকদের গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, রম্য রচনা ও জীবনবৃত্তান্ত–সম্পর্কিত গ্রন্থাবলি থাকার পাশাপাশি বিদেশি কবি–সাহিত্যিকদের গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, রসাত্মক গল্প কিংবা বিভিন্ন দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য–সম্পর্কিত গ্রন্থাবলি রাখা হয়। যা পাঠকের জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তা ছাড়া রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় গ্রন্থাবলিও সংরক্ষিত থাকে।
আমাদের দেশে বর্তমানে প্রায় অনেক অঞ্চলে গ্রন্থাগার নেই বললেই চলে, যা দেশের তরুণ সমাজের মেধা বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে। বলা যায়, আমাদের দেশের তরুণ সমাজকে আলোকিত করতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলভিত্তিক গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করা আবশ্যক। শিশু থেকে বৃদ্ধ—সব বয়সের লোক এখান থেকে বিভিন্ন বই পড়ার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন এবং দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় বিষয়াবলি সম্পর্কে অবগত হবেন। জানতে পারবেন একটি দেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাস, ঐতিহাসিক ঘটনা ও দৈনন্দিন জীবনে সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য। অনেক তরুণ ভার্চ্যুয়াল–জগৎ থেকে নিজেকে মুক্ত করবেন এবং বিভিন্ন গ্রন্থাবলি পাঠ করার প্রতি গভীর মনোযোগী হবেন। যদি অঞ্চলভিত্তিক গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়, তাহলে সমাজে শিক্ষার প্রসার ঘটবে এবং দেশ উন্নতির শিখরে পৌঁছাবে।


মো. আকিব হোসাইন
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
ঢাকা কলেজ, ঢাকা।