জেভিয়ারের উদ্যোগ

.
.

জেভিয়ার এলিয়টের বয়স সবে ১১ বছর। শৈশব থেকেই ছোট এই মানুষটির দিন কেটেছে নানা অপ্রাপ্তির মধ্যে। ঠিকমতো খাবার জুটেছে তো ভালো পোশাক জোটেনি। শখের কিছু হাতে পাওয়া ছিল স্বপ্নের মতো ব্যাপার। কারণ, জেভিয়াররা এত দিন ছিল গৃহহীন। জেভিয়ারের বয়স যখন এক বছর, তখন বাবাকে হারায়। এরপর মা ও তার দুই ভাইবোন মিলে তাদের ঠাঁই হয়েছিল গৃহহীনদের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে।
বছর খানেক আগে তারা যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার ফিনিক্স শহরে নিজেদের বাসায় উঠেছে। তবে ভুলতে পারেনি আশ্রয়কেন্দ্রের দিনগুলো। আর ফেলে আসা বন্ধু ও তার মতো অনেকের কথা। এসব ভেবেই আশ্রয়হীন শিশুদের জন্য জেভিয়ার এলিয়ট তৈরি করছে পোশাক। জেভিয়ারের বানানো পোশাকগুলো তার মা পৌঁছে দিয়েছেন স্থানীয় একটি আশ্রয়কেন্দ্রের শিশুদের হাতে। তার মা স্টিফানি এলিয়ট এবিসি নিউজকে জানিয়েছেন, তাঁর ছেলের এমন শখের কথা জেনে তিনি বেশ আশ্চর্যই হয়েছিলেন।
জেভিয়ার তার মায়ের কাছ থেকেই অনুপ্রাণিত হয়েছে। বাড়তি আয়ের জন্য সে দরজির কাজ করে। মায়ের পোশাক বানানো দেখেই মাথায় এই ভাবনা আসে। এ কাজের জন্য প্রশিক্ষণও নিয়েছে ছোট্ট জেভিয়ার।
প্রথমে ছোট বাচ্চার জন্য ‘নিনজা টার্টেল’ নামে বিশেষ ধরনের পোশাক বানিয়েছিল জেভিয়ার। এরপর ফেসবুকে মায়ের মাধ্যমে ‘ক্লথস ফর চ্যারিটি বাই এলিয়ট ফ্যামিলি’ নামে একটি পেজ খুলে নিজের উদ্যোগের কথা জানায় জেভিয়ার। পেজটি বেশ জনপ্রিয়তা পায় যুক্তরাষ্ট্রে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ছুটে আসে জেভিয়ারের সাক্ষাৎ পেতে। সাড়া ফেলে জেভিয়ারের গল্প, অনেকে তাদের ঠিকানায় পোশাক পাঠাতে শুরু করে। আর সেই বস্ত্রসম্ভার পৌঁছে যায় গৃহহীন শিশুদের হাতে।

এবিসি নিউজ অবলম্বনে

নুর–ই–তাসনিয়া