মাকড়সার জালে শহর ঢাকা

মাকড়সার জালে ঢাকা পড়া একটি ঝোপ
মাকড়সার জালে ঢাকা পড়া একটি ঝোপ

একটি বাড়ি কিংবা ছোট এলাকা নয়, পুরো একটি শহরই যেন ঢাকা পড়েছে মাকড়সার জালে। হাজার হাজার মাকড়সা ঘুরে বেড়াচ্ছে এখানে-সেখানে। এমন দৃশ্য কেবল ভৌতিক ছবিতেই দেখা যেতে পারে। কিন্তু ঘটনাটি চলচ্চিত্রে নয়, বাস্তবেই ঘটেছে। গ্রিসের আইতোলিকো শহরের প্রায় পুরোটাই ছেয়ে গেছে মাকড়সার জালে।

আইতোলিকো শহর গ্রিসের ‘ছোট ভেনিস’ নামে পরিচিত। গত সপ্তাহের শুরুর দিক থেকে এ শহরে মাকড়সার জালের বিস্তার চোখে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের। গাছপালা, জলাশয়ে থাকা নৌকা, এমনকি কোনো কোনো বাড়িঘরও মাকড়সার জালে ঢাকা পড়তে শুরু করে।

স্থানীয় বাসিন্দা জিয়ান্নিস জিয়ান্নাকোপোলাস জানান, আইতোলিকো শহরে পোকামাকড়ের আনাগোনা একটু বেশিই। তাই এলাকাবাসী ততটা উদ্বিগ্ন নন। তবে এবার যেভাবে পুরো শহর মাকড়সার জালে ছেয়ে গেছে, এমনটা এর আগে কখনো দেখা যায়নি।

কীটবিশেষজ্ঞ মারিয়া শাতজাকি বলেন, যে প্রজাতির মাকড়সা আইতোলিকো শহরে জাল বুনছে, সেগুলো ২ সেন্টিমিটারের বেশি বড় হয় না। তবে এই প্রজাতির মাকড়সা মজবুত জাল বুনতে পারে।

কিন্তু আইতোলিকো শহরে কেন এভাবে মাকড়সা জাল বুনল? এর উত্তর দিয়েছেন গ্রিসের জীববিজ্ঞানী ফটিস পারগানটিস। তিনি বলেন, মাকড়সার প্রিয় খাবার হলো নাট নামের এক প্রজাতির কীট। আকার-আকৃতিতে এরা মশার মতো। সাধারণ উষ্ণ ও আর্দ্র তাপমাত্রা এই প্রজাতির কীটের প্রজননের জন্য আদর্শ। আইতোলিকোর পরিবেশে যখন উষ্ণ ও আর্দ্র তাপমাত্রা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তখন নাটের সংখ্যা পরিমাণে বেড়ে যায়। আর নাটদের খেতে মাকড়সার আনাগোনাও বাড়ে।

ফটিস পারগানটিস বলেন, পুরো ব্যাপারটিই শিকার ও শিকারিকে ঘিরে ঘটেছে। মজা করেই এই জীববিজ্ঞানী বলেন, নাট কিংবা মাকড়সা কোনোটাই মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়। তবে আইতোলিকোর বাসিন্দাদের মাকড়সার জাল পরিষ্কার করতে প্রচুর শ্রম দিতে হবে।