টেলিফোন ডিরেক্টরি ছেঁড়ার রেকর্ডও যাঁর দখলে!

লিনসে লিন্ডবার্গ
লিনসে লিন্ডবার্গ

প্রতিটি টেলিফোন ডিরেক্টরি প্রায় এক হাজার পৃষ্ঠার। লিনসে লিন্ডবার্গ সেই পুরু বইগুলো একে একে দুই হাতে তুলে নিচ্ছেন, হ্যাঁচকা টানে মাঝবরাবর ছিঁড়ে ফেলছেন। স্রেফ এক টানে ছিঁড়ে ফেলার দৃশ্যও দেখার মতো! লিন্ডবার্গের অবলীলায় বই ছিঁড়ে ফেলার সেই মুহূর্তটা মনে হচ্ছিল, এ তো অতি সহজ একটা কাজ! তবে কাজটি যে অতটা সহজ নয়, তা লিনসে লিন্ডবার্গের অধ্যবসায় বলে দেয়। প্রায় ছয় মাস টানা চেষ্টায় ডিরেক্টরি ছিঁড়ে ছিঁড়ে রপ্ত করতে হয়েছে, এমন নান্দনিক দুভাগ করার দক্ষতা। আর ফলাফলও চমকানোর মতোই। কেননা, এক মিনিটে সর্বোচ্চ পাঁচটি ডিরেক্টরি ছিঁড়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখানোর কৃতিত্ব নারীদের মধ্যে তাঁরই।
মঞ্চে ‘মামা লু’ নামের ৪০ ছুঁইছুঁই আমেরিকান এই নারীর অর্জন অবশ্য এই একটি ব্যাপারেই থেমে নেই। বাহুর ঊর্ধ্বভাগে আপেলে রেখে কৌশলে চাপ দিয়ে এক মিনিটের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আপেল চূর্ণ করার গিনেস রেকর্ডটিও রয়েছে তাঁরই ঝুলিতে। এ ছাড়াও সেঁক দেওয়ার গরম পানির বোতল ফুলিয়ে ছিন্নভিন্ন করে দেওয়ার মতো অসাধ্য কাজও সাধন করেছেন লিন্ডবার্গ। এই কাজের জন্য এমনকি ফুসফুস ফেটে যাওয়ারও ঝুঁকি ছিল তাঁর। এ ছাড়া তাওয়াকে কাগজের মতো অর্ধেক ভাঁজ করে ফেলা কিংবা ধাতব দণ্ডকে বাঁকিয়ে ফেলা যেন লিন্ডবার্গের কাছে ছেলেখেলার মতোই।
একটি ‎হিসাবরক্ষণ প্রতিষ্ঠানের মর্যাদাপূর্ণ চাকরি ছেড়ে যখন সার্কাসে নিজের প্রতিভার প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন লিন্ডবার্গ, হিতাকাঙ্ক্ষীরা স্রেফ ‘বোকামো’ বলেই রায় দিয়েছিলেন সেই সিদ্ধান্তকে। কিন্তু তিনি অটল ছিলেন তাঁর স্বপ্নযাত্রায়। আর সে জন্যই এখন লিন্ডবার্গের ভক্তেরা ছড়িয়ে আছে পৃথিবীজুড়ে।

ডেইলি মেইল ও গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অবলম্বনে ফাইজুন নাহার