টেলিভিশন

>

টেলিভিশনই তো প্রথম বিশ্বটাকে মানুষের ঘরের মধ্যে এনেছিল। যার মাধ্যমেই হয় তথ্য ও বিনোদনের এক বিস্ময়জাগানিয়া অগ্রগতি। টেলিভিশন শব্দটির উৎপত্তি গ্রিক ও লাতিন শব্দের সম্মিলনে। গ্রিক শব্দ ‘টেলি’ অর্থ দূরত্ব আর লাতিন শব্দ ‘ভিশন’ অর্থ দেখা। প্রযুক্তির অগ্রযাত্রার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়েছে টেলিভিশন প্রযুক্তিও। সময়রেখায় রইল সেই চিত্রই।

জনৈক ব্রিটিশ টেলিগ্রাফ অপারেটর লক্ষ করেন সেলেনিয়ামের বৈদ্যুতিক রোধ আলোর কারণে প্রভাবিত হয়। এই ঘটনার পর বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে সেলেনিয়াম ফটোসেল ব্যবহার করে আলোকশক্তিকে বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তর করা যায়।
জনৈক ব্রিটিশ টেলিগ্রাফ অপারেটর লক্ষ করেন সেলেনিয়ামের বৈদ্যুতিক রোধ আলোর কারণে প্রভাবিত হয়। এই ঘটনার পর বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে সেলেনিয়াম ফটোসেল ব্যবহার করে আলোকশক্তিকে বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তর করা যায়।

১৮৭৩ সাল

জার্মান বিজ্ঞানী পল গোতালিব নিপকো (১৮৫৯-১৯৪০) একটি ডিস্ক (চাকতি) তৈরি করেন, যেটি টেলিভিশনের জন্য কারিগরি স্ক্যানিংয়ের একটি প্রক্রিয়া হিসেবে ব্যবহার করা যেত। নিপকোর ডিস্কটি পরে টেলিভিশন উদ্ভাবন ও আধুনিকায়নে ভূমিকা রেখেছিল।
জার্মান বিজ্ঞানী পল গোতালিব নিপকো (১৮৫৯-১৯৪০) একটি ডিস্ক (চাকতি) তৈরি করেন, যেটি টেলিভিশনের জন্য কারিগরি স্ক্যানিংয়ের একটি প্রক্রিয়া হিসেবে ব্যবহার করা যেত। নিপকোর ডিস্কটি পরে টেলিভিশন উদ্ভাবন ও আধুনিকায়নে ভূমিকা রেখেছিল।

১৮৮৪ সাল

টেলিভিশন উদ্ভাবনের পথে একটা অর্জন আসে জার্মান উদ্ভাবক কার্ল ব্রাউনের (১৮৫০-১৯১৮) হাত ধরে। তাঁর তৈরি ক্যাথোড-রশ্মি টিউব, যা ব্রাউন টিউব নামে পরিচিতি পায়, পরে টেলিভিশনে ছবি তৈরির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে।
টেলিভিশন উদ্ভাবনের পথে একটা অর্জন আসে জার্মান উদ্ভাবক কার্ল ব্রাউনের (১৮৫০-১৯১৮) হাত ধরে। তাঁর তৈরি ক্যাথোড-রশ্মি টিউব, যা ব্রাউন টিউব নামে পরিচিতি পায়, পরে টেলিভিশনে ছবি তৈরির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে।

১৮৯৭ সাল

আলোকে বিদ্যুতে পরিণত করার পর সেটিকে আবার আলোতে রূপান্তরের জন্য একটি উপায় বের করেন ফরাসি বিজ্ঞানী জর্জেস ক্লদ (১৮৭০-১৯৬০)। নিয়ন বাতির সাহায্যে বিদ্যুৎকে আলোতে রূপান্তরের যে কৌশল তিনি আবিষ্কার করেন, তা টেলিভিশন আবিষ্কারের ক্ষেত্রে ছিল একটি যুগান্তকারী অর্জন।
আলোকে বিদ্যুতে পরিণত করার পর সেটিকে আবার আলোতে রূপান্তরের জন্য একটি উপায় বের করেন ফরাসি বিজ্ঞানী জর্জেস ক্লদ (১৮৭০-১৯৬০)। নিয়ন বাতির সাহায্যে বিদ্যুৎকে আলোতে রূপান্তরের যে কৌশল তিনি আবিষ্কার করেন, তা টেলিভিশন আবিষ্কারের ক্ষেত্রে ছিল একটি যুগান্তকারী অর্জন।

১৯০২ সাল

যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবক লি ডি ফরেস্ট (১৮৭৩-১৯৬১) সেলেনিয়াম ফটোসেল থেকে তৈরি দুর্বল ভিডিও সংকেতকে শক্তিশালী করার একটি যন্ত্র তৈরি করেন এই সময়। তিনি তাঁর এই যন্ত্রের নাম দেন অ্যাম্পলিয়ন। তবে যন্ত্রটিকে টেলিভিশনের জন্য উপযোগী করার জন্য তাঁর আরও ১০ বছর সময় লেগেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবক লি ডি ফরেস্ট (১৮৭৩-১৯৬১) সেলেনিয়াম ফটোসেল থেকে তৈরি দুর্বল ভিডিও সংকেতকে শক্তিশালী করার একটি যন্ত্র তৈরি করেন এই সময়। তিনি তাঁর এই যন্ত্রের নাম দেন অ্যাম্পলিয়ন। তবে যন্ত্রটিকে টেলিভিশনের জন্য উপযোগী করার জন্য তাঁর আরও ১০ বছর সময় লেগেছিল।

১৯০৬ সাল

টেলিভিশন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রগুলো একে একে উদ্ভাবিত  হয়ে গেলেও এগুলোকে এক সুতোয় বেঁধে একটা কার্যকর মডেল তৈরি হয়ে দাঁড়ায় প্রধান চ্যালেঞ্জ। স্কটিশ উদ্ভাবক জন লগি বেয়ার্ড  (১৮৮৮-১৯৪৬) এই অসাধ্য সাধন করেন ১৯২৬ সালের ২৬ জানুয়ারি। পৃথিবীর প্রথম টেলিভিশন আবিষ্কার করে তাক লাগিয়ে দেন তিনি, যদিও তখন এটি ছিল সাদা-কালো।
টেলিভিশন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রগুলো একে একে উদ্ভাবিত হয়ে গেলেও এগুলোকে এক সুতোয় বেঁধে একটা কার্যকর মডেল তৈরি হয়ে দাঁড়ায় প্রধান চ্যালেঞ্জ। স্কটিশ উদ্ভাবক জন লগি বেয়ার্ড (১৮৮৮-১৯৪৬) এই অসাধ্য সাধন করেন ১৯২৬ সালের ২৬ জানুয়ারি। পৃথিবীর প্রথম টেলিভিশন আবিষ্কার করে তাক লাগিয়ে দেন তিনি, যদিও তখন এটি ছিল সাদা-কালো।

১৯২৬ সাল

পুরোপুরি বিদ্যুচ্চালিত টেলিভিশনের পেটেন্ট পান যুক্তরাষ্ট্রের ফিলো ফ্রান্সওর্থ (১৯০৬-১৯৭১)।
পুরোপুরি বিদ্যুচ্চালিত টেলিভিশনের পেটেন্ট পান যুক্তরাষ্ট্রের ফিলো ফ্রান্সওর্থ (১৯০৬-১৯৭১)।

১৯২৭ সাল

যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা নাসার জন্য প্রথম রঙিন টেলিভিশন তৈরি করেন টেলিভিশনের জনক জন লগি বেয়ার্ড।
যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা নাসার জন্য প্রথম রঙিন টেলিভিশন তৈরি করেন টেলিভিশনের জনক জন লগি বেয়ার্ড।

১৯২৮ সাল

জেনােরল ইলেকট্রনিকসের প্রকৌশলী নিক হলোনিয়াক সর্বপ্রথম এলইডি বা লাইট এমিটিং ডায়োড উদ্ভাবন করেন, যা আধুনিক এলইডি টিভি তৈরির পথে প্রথম প্রদক্ষেপ।
জেনােরল ইলেকট্রনিকসের প্রকৌশলী নিক হলোনিয়াক সর্বপ্রথম এলইডি বা লাইট এমিটিং ডায়োড উদ্ভাবন করেন, যা আধুনিক এলইডি টিভি তৈরির পথে প্রথম প্রদক্ষেপ।

১৯৬২ সাল

জাপানের এনএইচকে নেটওয়ার্কে সুইজারল্যান্ডে প্রথমবারের মতো আধুনিক হাইডেফিনেশন টেলিভিশনের প্রযুক্তি উপস্থাপন করে।
জাপানের এনএইচকে নেটওয়ার্কে সুইজারল্যান্ডে প্রথমবারের মতো আধুনিক হাইডেফিনেশন টেলিভিশনের প্রযুক্তি উপস্থাপন করে।

১৯৮৩ সাল

মার্কিন প্রতিষ্ঠান ডিরেক্টটিভি বিশ্বের প্রথম স্যাটেলাইট টেলিভিশন চালু করে।
মার্কিন প্রতিষ্ঠান ডিরেক্টটিভি বিশ্বের প্রথম স্যাটেলাইট টেলিভিশন চালু করে।

১৯৯৪ সাল