লাল-সবুজের ছায়া

ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় ছাতা বিতরণ করছেন লাল-সবুজ সোসাইটির সদস্যরা। ছবি: দীপু মালাকার
ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় ছাতা বিতরণ করছেন লাল-সবুজ সোসাইটির সদস্যরা। ছবি: দীপু মালাকার

ঘটনাস্থল ফার্মগেট এলাকা। তীব্র রোদে ঝাঁ ঝাঁ করছে চারদিক। কিন্তু কাজের বিরাম নেই। অন্যদের মতো রিকশাচালকেরাও করে যাচ্ছেন রোজকার পরিশ্রম। হঠাৎই এক রিকশাচালককে ঘিরে ধরেন কিছু তরুণ ছেলেমেয়ে। বলেন, ‘এই যে চাচা, থামেন, রোদে কষ্ট পাচ্ছেন। এই নেন, ছাতাটা আপনার জন্য।’

রিকশাচালক হকচকিয়ে ওঠেন, ছাতার দাম দিতে হবে না তো! তরুণ দল আশ্বস্ত করে, এই ছাতা নিলে টাকা দিতে হবে না। তাঁরা খুশিমনেই উপহার দিচ্ছেন রিকশাচালককে। আনন্দের রেখা খেলে যায় রিকশাচালকের মুখে।

এমন আনন্দময় মুহূর্তের জন্ম দিয়েছেন লাল-সবুজ সোসাইটি নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরুণ সদস্যরা। প্রথমে হাতখরচের টাকা বাঁচিয়ে ছাতা কিনে বিতরণ করেন তাঁরা। ২৫ জুন সংগঠনটি প্রথমবারের মতো ঢাকায় এ কর্মসূচি হাতে নেয়। সেদিন টিএসসি, ফুলার রোড ও নীলক্ষেত মোড়ে বয়স্ক শ্রমজীবীদের ৫০টি ছাতা দেওয়া হয়েছিল। ফেসবুকে ছবির সঙ্গে খবরটি ছড়িয়ে পড়ায় অনেকেই এগিয়ে আসেন। ছাতা কেনায় সহযোগিতা করেন। সেই সহযোগিতায় খুলনা, বরিশাল ও ঝালকাঠিতে বিতরণ করা হয় ২৫০টি ছাতা।

লাল–সবুজ সোসাইটি মূলত বরিশাল অঞ্চলের তরুণদের সংগঠন। ২০০ সদস্যের সংগঠনটি বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন স্থানে নারীদের আত্মরক্ষাবিষয়ক কৌশল শেখায়। পাশাপাশি তরুণ স্বেচ্ছাসেবকেরা সামাজিক নানা বিষয়ে সচেতনতার কাজটিও করেন। বরিশাল থেকে মুঠোফোনে লাল-সবুজ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা তাহসীন উদ্দীন বলছিলেন, ‘বরিশালে একসময় কাজ করতেন এমন অনেক সদস্য এখন ঢাকায় থাকেন। তাঁরাই মূলত ঢাকায় ছাতা বিতরণের উদ্যোগটা নিয়েছিলেন। তবে মুহূর্তেই দারুণ সাড়া পাই আমরা। এখন পরিকল্পনা করেছি রেইনকোট বিতরণের।’