মানুষের চন্দ্রজয়

তিন নভোচারী—(বাঁ থেকে) নিল আর্মস্ট্রং, মাইকেল কলিন্স ও বাজ অলড্রিন
তিন নভোচারী—(বাঁ থেকে) নিল আর্মস্ট্রং, মাইকেল কলিন্স ও বাজ অলড্রিন

চাঁদ আমাদের কত আপন, তাই আদর করে ডাকি মামা! চাঁদ মামাকে নিয়েই চাঁদের বুড়ির গল্প ফাঁদি, রাতের আকাশে দেখতে পাই সেই বুড়ি চরকা কাটছে। চাঁদ নিয়ে এমন কত শত গল্প আর পঙ্‌ক্তিমালা যে রচিত হয়েছে, তার কি ইয়ত্তা আছে!

কবি-সাহিত্যিকের কল্পনার সেই চাঁদই ভাবিয়েছিল জ্যোতির্বিজ্ঞানীর অনুসন্ধিৎসু মনকে। যার পথ ধরেই চন্দ্রাভিযান, চন্দ্রজয়। ঠিক ৫০ বছর আগের এই ২০ জুলাই চাঁদের মাটিতে প্রথম পা রেখেছিল মানুষ।

চাঁদের মাটিতে বাজ অলড্রিন
চাঁদের মাটিতে বাজ অলড্রিন

সেই অভিযানের কাহিনি অনেকের জানা—১৯৬৯ সালের ১৬ জুলাই, আমেরিকার ফ্লোরিডার এডওয়ার্ড কেনেডি সেন্টার থেকে চাঁদের উদ্দেশে রওনা করল মহাকাশযান অ্যাপোলো-১১। এই যানে নভোচারী ছিলেন তিন মার্কিন নাগরিক—নিল আর্মস্ট্রং, বাজ অলড্রিন আর মাইকেল কলিন্স। নিরাপদ যাত্রা শেষে ২০ জুলাই অ্যাপোলো-১১ চাঁদের সংস্পর্শে আসে। এরপরই চন্দ্রযান ইগলে করে চাঁদের মাটিতে নামেন অভিযাত্রী দলের নিল আর্মস্ট্রং ও বাজ অলড্রিন। ঝটপট কয়েকটি ছবি তুলে চাঁদের মাটিসহ আরও কিছু নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করেন তাঁরা। দ্রুত ফেরেন চন্দ্রযান ইগলে।

এই অভূতপূর্ব চন্দ্র অভিযান সফল করা সহজ ছিল না। অভিযানের প্রতিটি মুহূর্ত নাসার এডওয়ার্ড কেনেডি সেন্টার তদারক করেছিল। সঙ্গে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মহাকাশ কেন্দ্রও যুক্ত ছিল। ২১ জুলাই পৃথিবীর উদ্দেশে ফিরে আসে অ্যাপোলো-১১। সফল অবতরণ করে প্রশান্ত মহাসাগরে। রচিত হয় নতুন ইতিহাস।

সিবিএস নিউজ, বিবিসি বাংলা ও নাসার ওয়েবসাইট অবলম্বনে সামিহা আকবর