চট্টগ্রামে দুই চাকার বন্ধু পরিবার

এফএনএফ রাইডার্স চিটাগাংয়ের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
এফএনএফ রাইডার্স চিটাগাংয়ের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

সবাই চট্টগ্রামের সাইক্লিস্ট। কিন্তু ছিলেন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যে যার মতো। বিশেষ কোনো দিবসে সাইকেল রাইডে দেখা হতো একে অপরের। টুকটাক কথা হতো। সেই থেকে দল বাঁধার বীজ বপন। অবশেষে এক ছাতার নিচে এলেন তাঁরা। সেই শুরু। সাইক্লিস্টদের এই বন্ধু পরিবারের পরিসর দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই গল্প সাইক্লিস্টের সংগঠন ‘এফএনএফ রাইডার্স চিটাগাংয়ের’। 

২০১৪ সালের ১১ এপ্রিল। শহর থেকে ১৪ জন সাইক্লিস্ট গেলেন রাউজানের চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) ক্যাম্পাসে। ২৩ কিলোমিটারের যাত্রা শেষে সবাই বসলেন ক্যাম্পাসের সবুজ গাছের ছায়ায়। সেখানেই প্রস্তাব উঠল সংগঠন গড়ার। ব্যস হয়ে গেল এফএনএফ রাইডার্স পরিবার। এখন ফেসবুক গ্রুপে এর সদস্যসংখ্যা প্রায় ১৭ হাজার। এর মধ্যে সক্রিয় সাইক্লিস্ট প্রায় ৩০০ জন। সদস্যদের বয়স ১২ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার তাঁরা একত্র হন। বেরিয়ে পড়েন রাইডে। প্রতি সপ্তাহেই নতুন নতুন জায়গায় রাইডের আয়োজন করা হয়। 

কথা হয় সংগঠনের অন্যতম অ্যাডমিন সারিকা সানজু হকের সঙ্গে। সারিকা বলেন, ‘ফেসবুক গ্রুপেই ইভেন্টের বিষয়ে আলোচনা হয়। সময় ও স্থান নির্ধারণের পর বেরিয়ে পড়ি সবাই। সংগঠনের এখন নারী সাইক্লিস্টের সংখ্যা ৩০ জনের বেশি। তা ছাড়া শেখানো হয় বিনা মূল্যে সাইকেল চালানো। এ পর্যন্ত ৩০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।’ 

সংগঠনের পক্ষ থেকে সাপ্তাহিক রাইড ছাড়াও নানান কর্মসূচি নেওয়া হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১০০ কিলোমিটারের ‘অ্যাডভেঞ্চার রাইড’, দেশের যেকোনো জেলা ভ্রমণে ‘এক্সপ্লোর রাইড’ ও পুরো দেশ ভ্রমণে ‘ক্রস কান্ট্রি রাইড’। এ ছাড়া আয়োজন করা হয় সাইকেল রেসিংয়ের। 

বর্তমানে এই সংগঠন পরিচালনা করেন সুবীর মিত্র, শাকিল মোহাম্মদ রুবেল চৌধুরী, আরিফিনুল হক, স্বপ্নীল দে ও সারিকা সানজু হক। অ্যাডমিনরা জানান, তাঁরা সাইক্লিংয়ের পাশাপাশি দল বেঁধে মানুষের পাশে দাঁড়ান।