বইয়ের কথা

শীতের রাত। আমরা সব পিচ্চি পিচ্চি ভাইবোন লেপ মুড়ি দিয়ে বসে পড়তাম বড় এক বিছানায়, মধ্যমণি থাকতেন নানি কিংবা দাদি। আর তাঁরা খুলে দিতেন গল্পের ঝাঁপি। ওই গল্পগুলো আবার তাঁরা শুনেছিলেন তাঁদের দাদি-নানিদের কাছে; হয়তো এমনই কোনো শীতের রাতে। এসব অবশ্য বই উদ্ভাবনের পরের ঘটনা। বই যখন ছিল না, তখনো এভাবেই লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ত বিচিত্র সব গল্পগাথা। আর কোনো উপায় তখন ছিল না। বই সে গল্পগুলোকে একরকম স্থায়ী রূপ দিয়েছে। কাগজ উদ্ভাবনের পর থেকে কোটি কোটি বই লেখা হয়েছে, হচ্ছে নিয়মিত। আর এখন তো ই-বুক রিডারের মতো ইলেকট্রনিক যন্ত্রেই পড়ে ফেলা যায় পছন্দের অনেক বই। তো এই বই নিয়েই মজার কিছু তথ্য জানাচ্ছেন মেহেদী হাসান

.
.

শুরুর বইগুলো

সেই শুরু থেকেই বই কিন্তু এমন ছাপার অক্ষরে পাওয়া যেত না। ছাপাখানার আগে হাতে লেখা বই–ই ছিল ভরসা। সেসব বইয়ের প্রতিটি কপিতে আলাদা করে অলংকরণ করতেন শিল্পীরা। তখন কাগজ তৈরি হতো পার্চমেন্ট থেকে। মানে প্রাণীর চামড়া পাতলা করে তাতে লেখা হতো বই। বুঝতেই পারছ, একেকটা কপি তৈরিতে লেগে যেত দীর্ঘ সময়।

১৯৯৭ সালে প্রকাশের পর থেকে ব্রিটিশ লেখিকা জে কে রোলিংয়ের ‘হ্যারি পটার’ সিরিজের প্রথম কিস্তি হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলসফারস স্টোন বইটি বিক্রি হয়েছে ১২ কোটির বেশি 

মুদ্রণ

১৪৪০ সালের দিকে জার্মানিতে মুদ্রণযন্ত্র উদ্ভাবন করেন জোহানেস গুটেনবার্গ। প্রথমে চৌকোনা ধাতব খণ্ডে প্রতিটি হরফ খোদাই করে নিয়েছিলেন তিনি। শব্দ অনুযায়ী হরফগুলোকে একের পর এক সাজিয়ে দিতেন। এরপর সে ফর্মা কাগজে ছাপ দিলে হয়ে যেত মুদ্রিত লেখা। আর পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা জুড়ে হতো গোটা বই।

.
.

সোনার বই

ইউরোপে উপাসকেরা প্রথম বই লেখেন লাতিন ভাষায়। খাঁটি সোনা ব্যবহার করে সেই বইগুলো অলংকরণ করতেন তাঁরা।

ফিকশন

বইকে দুই শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। ফিকশন আর নন-ফিকশন। ফিকশন হলো লেখকের কল্পনা। কাল্পনিক চরিত্র ও ঘটনা নিয়ে লেখা হয়। এ ধরনের বইগুলোকে আমরা গল্প–উপন্যাস বলি।

.
.

নন-ফিকশন

বইয়ের এ শ্রেণিটি ঠিক তার উল্টা। মানে লেখায় থাকে সত্য ঘটনা। লেখক কল্পনার আশ্রয় না নিয়েই তা বর্ণনা করে যান। উদাহরণ হিসেবে ইতিহাস কিংবা কোনো প্রাণীর সম্পর্কে লেখা বইয়ের উল্লেখ আমরা করতে পারি। আবার অভিধান, রান্নার বই, নির্দেশিকাও এ শ্রেণিতে পড়ে।