বাজারের সব ডিমই কি এক

ফিরোজ সাহেবের স্কুলপড়ুয়া ছেলেটি প্রায়ই অসুস্থ থাকে। ছেলেটির খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে তিনি খুবই সচেতন থাকেন, যাতে তাঁর ছেলেটির স্বাস্থ্য ঠিক থাকে এবং মানসিক বিকাশও সঠিকভাবে হয়। কিন্তু তাঁর মনে হচ্ছে, ছেলের শারীরিক, মানসিক গঠন ও শক্তিরও কিছু ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। তিনি ছেলেকে একজন পুষ্টিবিদের কাছে নিয়ে গেলেন।

পুষ্টিবিদ বিভিন্ন পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর জানালেন, ছেলের শরীরে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রয়োজন রয়েছে। পুষ্টিবিদ এও জানালেন, মানুষের শরীরে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি হয় না। বাইরে থেকে খাদ্যের মাধ্যমে তা সংগ্রহ করতে হবে। তাঁর ছেলেকে সামুদ্রিক তৈলাক্ত মাছ, তিসি, বাদাম, সয়াবিন ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে খাওয়াতে বললেন। সেই সময় ফিরোজ জানলেন, মুরগির ডিম ফ্যাটি অ্যাসিডের জন্য ভালো একটি উৎস। প্রতিদিনের খাদ্যের মধ্যে মুরগির ডিমই হচ্ছে সবচেয়ে সহজলভ্য এবং দামও তুলনামূলকভাবে কম বলে মনে হলো ফিরোজের। তিনি ছেলেকে নিয়মিত মুরগির ডিম খাওয়ানো শুরু করলেন।

কয়েক মাস পর যখন ফিরোজ আবার পুষ্টিবিদের কাছে গেলেন, তখন জানা গেল, ছেলের শারীরিক অবস্থার খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। ফিরোজ সাহেবের নিজেরও তা–ই মনে হচ্ছিল। তিনি পুষ্টিবিদকে জানালেন, ছেলেকে নিয়মিতই মুরগির ডিম খাওয়াচ্ছেন। তাতেও অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় এখন কী করবেন, তা জিজ্ঞেস করলেন তিনি। পুষ্টিবিদ ছেলেকে পুর্নাভার ওমেগা থ্রি–সমৃদ্ধ ডিম খাওয়াতে বললেন। বাজারের সাধারণ মুরগির ডিমে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ কম থাকে, যেখানে পুর্নাভা ওমেগা থ্রি–সমৃদ্ধ ডিমে তা সঠিক পরিমাণে থাকে।

ফিরোজ সাহেব ওমেগা থ্রি ডিম সম্পর্কে বাসায় এসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে জানার চেষ্টা করলেন। দেখলেন বিশ্বের সব দেশেই এই ডিমের প্রচলন রয়েছে। এই ওমেগা থ্রি–সমৃদ্ধ ডিমের অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ফার্মাসিউটিক্যাল প্রোডাক্টের মতোই এর প্রতিটি ব্যাচ থেকে সংগৃহীত ডিম এবং ডিমের কুসুমে থাকা নির্দিষ্ট পরিমাণের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাপ নিজস্ব ল্যাবে উন্নত প্রযুক্তির গ্যাস ক্রোমাটোগ্রাফির সাহায্যে নির্ণয় করা হয়। বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানি রেনাটা লিমিটেডের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান পুর্নাভা ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ ডিম উৎপাদনের উদ্যোগ নেয় এবং মুরগিকে ওমেগা থ্রি–সমৃদ্ধ খাদ্য বিভিন্ন মাত্রায় দিয়ে, নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও পরিচর্যার মাধ্যমে ওমেগা থ্রি–সমৃদ্ধ ডিম উৎপাদন শুরু করে। ওষুধ কোম্পানিটি প্রায় দুই বছরের অধিক সময়ের ধারাবাহিক গবেষণার পর মুরগিকে উদ্ভিদজাত ওমেগা থ্রি–সমৃদ্ধ খাদ্য উপাদান দিয়ে তারা তাদের নিজস্ব খামারে লেয়ার মুরগির মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে এই ডিম উৎপাদন করে।

ফিরোজ আরও জানলেন, এই ডিম সম্পূর্ণ অ্যান্টিবায়োটিক রেসিডিউলমুক্ত এবং সব ধরনের ক্ষতিকারক পদার্থ থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ। তিনি শুধু তাঁর ছেলে নয়, পরিবারের সব সদস্যদের জন্যই পুর্নাভার ওমেগা থ্রি–সমৃদ্ধ ডিম কিনলেন। পুর্নাভার ওমেগা থ্রি–সমৃদ্ধ ডিমটি ফিরোজের কাছে শুধু ডিমই নয়, এ যেন এক নির্ভরযোগ্য স্বস্তি।