পোষা প্রাণী দিবস

শিশুদের খেলার সঙ্গী হিসেবে কিংবা নিঃসঙ্গ মানুষের সঙ্গদাতা হিসেবে পোষা প্রাণীর তুলনা হয় না। প্রভুর বাড়ির পাহারাদারি থেকে শুরু করে কখনো কখনো প্রভুর দেহরক্ষীর ভূমিকাও পালন করে থাকে কোনো কোনো প্রাণী। পোষা প্রাণী যেমন প্রভুভক্ত হয়, তেমনই মালিকও কিন্তু পোষা প্রাণীকে শর্তহীনভাবেই ভালোবাসেন। পোষা প্রাণী ও মালিকের মধ্যে এই যে শাশ্বত রসায়ন, এ ব্যাপারকে উৎসাহিত করার জন্য প্রবর্তিত হয় ‘পোষা প্রাণী দিবস’ নামে একটি দিন। প্রতিবছর ১১ এপ্রিল উদ্‌যাপিত হয় দিবসটি।

মার্কিন প্রাণী কল্যাণ আইনজীবী নালী কলিন পেজ ২০০৬ সালে দিবসটির প্রবর্তন করেন। এই নারী একজন পোষা প্রাণী ও পারিবারিক জীবনধারা বিশেষজ্ঞ এবং স্বনামধন্য লেখক। রাস্তাঘাটে বেওয়ারিশ প্রাণী কিংবা আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেতাইভাবে বেড়ে ওঠা প্রাণীদের জন্যও গভীর মমতা কলিন পেজের। প্রাকৃতিক নিয়মে প্রাণী ও মানুষের যে স্বাস্থ্যসম্মত সহাবস্থান—সেই ধারণাকেও তিনি আমলে নিয়েছেন। তিনি প্রাণী ক্রয় করে প্রতিপালন করাকে নিরুৎসাহিত করেছেন। বরং আশ্রয়কেন্দ্র থেকে দত্তক নেওয়া কিংবা আহত কোনো প্রাণীকে সুস্থ করে প্রতিপালন করার প্রতিই জোর দিয়েছেন।

পোষা প্রাণীর তালিকায় একেবারে প্রথমেই রয়েছে কুকুর। এরপর রয়েছে বিড়াল। মাছ, পাখি, খরগোশ, কচ্ছপ, ইঁদুর, বেজি এমনকি শখের বশে কেউ কেউ সাপও পুষে থাকেন। এদের সঙ্গে মানুষের গড়ে ওঠে নিবিড় বন্ধুত্ব, গড়ে ওঠে আত্মিক বন্ধন। পোষা প্রাণী থাকার মানসিক এবং শারীরিক উপকারিতাবিষয়ক একটি গবেষণাকর্মের সঙ্গে আমেরিকার ন্যাশনাল হেলথ ইনস্টিটিউট দীর্ঘ ১০ বছর যুক্ত ছিল। তারা বলছে, পোষা প্রাণী কেবল আমাদের হৃদয়ই দখল করে তা নয়, বরং এরা আমাদের বিভিন্ন রকম হৃদ্‌রোগের সুস্থতায়ও অবদান রাখে। এদের সঙ্গ কর্টিসল (দুশ্চিন্তার হরমোন), কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

বিশেষ এই দিনটিকে কীভাবে উদ্‌যাপন করা যেতে পারে? আপনার পোষা প্রাণীটির সঙ্গে ছবি তুলতে পারেন, বিশেষ খাবারও খাওয়াতে পারেন। 

ন্যাশনাল ডে ও ডেইজ অব দ্য ইয়ার অবলম্বনে কবীর হোসাইন