চিকিৎসকদের পাশে চিকিৎসকেরা

>

কোনোটা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, কোনোটা আবার তাৎক্ষণিক উদ্যোগ। পরিচালিত হচ্ছে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে। করোনাকালে তাঁরা এগিয়ে এসেছেন চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায়। কোনো সংগঠন পৌঁছে দিয়েছে ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী, খাবার, কেউবা স্বেচ্ছাসেবায় যুক্ত হয়েছেন চিকিৎসকদের অণুপ্রাণিত করতে। এমন কয়েকটি উদ্যোগের কথা থাকছে মূল রচনায়। লিখেছেন সজীব মিয়া

চিকিৎসকদের হাতে ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী তুলে দিচ্ছেন প্ল্যাটফর্মের কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক। ছবি: সংগৃহীত
চিকিৎসকদের হাতে ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী তুলে দিচ্ছেন প্ল্যাটফর্মের কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক। ছবি: সংগৃহীত

চিকিৎসকদের প্ল্যাটফর্ম
চীনের উহান শহর থেকে করোনাভাইরাস এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করল, আর কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত রোগীর প্রথম মৃত্যুও হলো চীনেই। জানুয়ারির সেই সময়টাতেই তৎপর হলো ‘প্ল্যাটফর্ম’। তরুণ চিকিৎসক ও মেডিকেলপড়ুয়াদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি নিজেদের চিকিৎসাবিষয়ক নিউজ পোর্টাল ও ফেসবুক পেজের মাধ্যমে করোনাভাইরাস বিষয়ে আলোচনা ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করল। প্রকোপ যখন ছড়াতে থাকল, দিনে দিনে বাড়ল প্ল্যাটফর্মে যুক্ততা। সারা দেশে চিকিৎসকদের জন্য সুরক্ষাসামগ্রী সরবরাহ থেকে করোনাকালে সম্মুখসারির যোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করতে কাজ করছে সংগঠনটি।

সংগঠনটি নিজেদের পরিচয় দেয় ‘প্ল্যাটফর্ম অব মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল সোসাইটি’ হিসেবে। দেশের চিকিৎসকদের নিরাপদ কর্মস্থল সৃষ্টি, অধিকার রক্ষা ও দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে ২০১৩ সালে এর যাত্রা শুরু। সংগঠনের ফেসবুক গ্রুপে বর্তমানে যুক্ত আছেন প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার জন। যাঁদের মধ্যে যেমন আছেন দেশবরেণ্য চিকিৎসক তেমনি আছেন মেডিকেল শিক্ষার্থীও। প্ল্যাটফর্মের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও তরুণ চিকিৎসক ফয়সাল বিন সালেহ বলছিলেন, ‘চিকিৎসক এবং মেডিকেল ও ডেন্টাল শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কেন্দ্রীয় পরিষদ ও আটটি আঞ্চলিক পরিষদের মাধ্যমে আমরা কাজ করে থাকি। পুরোটাই স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে।’

প্ল্যাটফর্ম এখন কাজ করছে করোনা প্রতিরোধে। প্ল্যাটফর্মের পরামর্শক ও উপদেষ্টাদের একজন অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী। তিনি বললেন, ‘প্ল্যাটফর্মের তরুণেরা অনলাইনে উদ্বুদ্ধকরণের কাজ করছে। করোনাবিষয়ক সঠিক তথ্য সরবরাহ করছে। প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবেও মাঠে মানবিক কাজে তারা হাজির হচ্ছে। করোনার সময়ে তাদের দলগত উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এরই মধ্যে অনুদান হিসেবে পাওয়া প্রায় ১৬ লাখ টাকার সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ করেছে। আমি প্রণোদনা বোধ করি এদের কাজ দেখে।’

প্ল্যাটফর্মের পিপিই ব্যাংক
দুনিয়াজুড়ে যখন করোনার ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়ার পর অনিবার্য হয়ে উঠল বাংলাদেশের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পিপিই বা ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রীর প্রয়োজনীয়তা। তখনই উদ্যোগী হয়ে প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলল ‘পিপিই ব্যাংক’। এই ব্যাংকের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুদান ও সুরক্ষাসামগ্রী জোগাড় করা হলো। সেগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পর প্রয়োজনের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সরবরাহ করল স্বেচ্ছাসেবকেরা। ডা. ফয়সাল বলছিলেন, ‘এখন পর্যন্ত কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালসহ ১৫টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ৩৩২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় ১০ হাজার পিপিই দিয়েছি আমরা। যে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।’

চিকিৎসকদের মনোবল বাড়াতে
সুরক্ষাসামগ্রী সরবরাহের চেয়েও চিকিৎসকদের তথ্য দেওয়া ও নানা কর্মসূচির মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করছে প্ল্যাটফর্ম। যেমন করোনায় আক্রান্তদের সেবা দিতে গিয়ে আক্রান্ত চিকিৎসকের মানসিক সুরক্ষার উদ্যোগটি। আক্রান্ত চিকিৎসকদের কাউকে থাকতে হচ্ছে সেলফ আইসোলেশনে বা হোম কোয়ারেন্টিনে। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই মনোবল হারিয়ে ফেলছেন, মানসিকভাবেও ভেঙে পড়ছেন। তাঁদের মনোবল ফিরিয়ে আনতে পরামর্শ ও মানসিক শক্তি দিতে যাত্রা শুরু করেছে ‘প্ল্যাটফর্ম সাপোর্ট টিম ফর আইসোলেটেড অ্যান্ড কোয়ারেন্টাইনড ফিজিসিয়ানস’। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা এই দলের মাধ্যমে হোম কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনে থাকা চিকিৎসকদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মানসিক সহায়তা ও পরামর্শ দিচ্ছেন।

চিকিৎসকদের সাহসী ভূমিকার প্রচারণা
চিকিৎসকদের মনোবল বাড়াতে ও সাধারণ মানুষের কাছে তাঁদের কাজগুলো তুলে ধরতে শুরু হয়েছে প্ল্যাটফর্মের প্রচারণা—মিট দ্য সুপারহিরো। করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত চিকিৎসক মঈন উদ্দিনসহ ১০ জন চিকিৎসককে নিয়ে পোস্টার করে এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছে প্ল্যাটফর্ম।

আছে আরও কার্যক্রম
করোনার সময় ছাড়াও প্ল্যাটফর্মের রয়েছে আরও অনেক কাজ। তারা নিজস্ব ‘করোনা প্ল্যাটবট’ (m.me/Platform.med.org) তৈরি করেছে। যেখানে কথোপকথনের মাধ্যমে কোভিড-১৯–সম্পর্কিত তথ্য সহজেই জানা যায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাজেও স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে যুক্ত রয়েছেন প্ল্যাটফর্মের সদস্যরা। চিকিৎসক ফয়সাল বিন সালেহ বলছিলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা হটলাইন ৩৩৩-এর মাধ্যমে জনগনকে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন প্রায় ৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসক, যাঁরা সবাই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে যুক্ত হয়েছেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বিত করোনা নিয়ন্ত্রণকক্ষেও কাজ করছেন আমাদের ২০ জনের একটি দল।’

ডু সামথিং ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দেওয়া হচ্ছে সুরক্ষাসামগ্রী। ছবি: সংগৃহীত
ডু সামথিং ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দেওয়া হচ্ছে সুরক্ষাসামগ্রী। ছবি: সংগৃহীত

কিছু করার তাগিদ থেকে
কয়েকজন তরুণ চিকিৎসকের উদ্যোগ ‘ডু সামথিং’। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে নানা ধরনের কাজ করে থাকে বছরজুড়ে। করোনার সময়েরও তাঁরা এগিয়ে এসেছেন। কর্মহীন মানুষের হাতে খাদ্যপণ্য তুলে দিয়েছেন, মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস বিষয়ে সচেতনতা তৈরিসহ চিকিৎসকদের পিপিই ও খাবার সরবরাহ করছেন।

তরুণ চিকিৎসক ও সংগঠনের সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলছিলেন, ‘আমরা মার্চের গোড়া থেকেই কাজ শুরু করেছিলাম। অনেকের জানা থাকবে, সে সময় মাস্কের দাম হু হু করে বেড়ে গিয়েছিল। দেশের বিভিন্ন হাসাপাতলে স্বল্পমূল্যে মাস্ক সরবরাহ করেছি তখন।’

তারপর করোনার প্রকোপ যখন বাড়তে থাকল, চিকিৎসদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সংগ্রহ করলেন পিপিই। সেসব পৌঁছে দিলেন চট্টগ্রাম, বগুড়া, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসকদের কাছে। নাজমুল জানালেন, এখন পর্যন্ত তাঁরা ১৩৬টি পিপিই সরবরাহ করেছেন।

এদিকে মানুষ অবরুদ্ধ হতে থাকল, কর্মহীন হয়ে পড়ল অনেকে। তখন তাঁরা ছুটলেন নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য নিয়ে। এ কার্যক্রম এখনো চলছে। এরই মধ্যে করোনা চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত রাজধানীর কুয়েত–বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের খাবারের সংকটের ব্যাপারটি গণমাধ্যমে দেখেন নাজমুল। জানতে পারলেন, তাঁরা যেসব রেস্তোরাঁ থেকে খাবার আনিয়ে নিতেন, হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা শুরু হওয়ার পর তারা সরবরাহ করছে না। ১৩ এপ্রিল সেই খবর জেনেই উদ্যোগী হয়েছিলেন। সাভারের বাসায় নিজেরাই প্রস্তুত করেছিলেন খাবার। কর্মরত পরিচিত চিকিৎসকদের সহায়তায় সেসবই পৌঁছে দিতেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের।

নাজমুল বলেন, ‘খবর প্রচারিত হওয়ার পর আমাদের মতো অনেকেই এসেছিল খাবার দিতে। ডু সামথিং ফাউন্ডেশন ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ও বিকেলের জন্য প্রায় ১০০ জনের জন্য খাবার দিয়েছি। এ কাজে যে অর্থ প্রয়োজন হয়েছিল, তা আমাদের পরিচিত চিকিৎসকদের কাছ থেকেই অনুদান হিসেবে সংগ্রহ করেছি।’

প্রতিদিন চিকিৎসকদের খাবার পৌঁছে দেয় গ্রুপ অব ডক্টরস। ছবি: সংগৃহীত
প্রতিদিন চিকিৎসকদের খাবার পৌঁছে দেয় গ্রুপ অব ডক্টরস। ছবি: সংগৃহীত

খাবার হাতে একদল চিকিৎসক
সোহানূর রহমান রাজধানীর মিরপুরের কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালের চিকিৎসক। রাতে দায়িত্ব পালন করলে রাতের খাবারটুকু তিনি বাইরে থেকে আনিয়ে নেন। ২৬ মার্চের কথা অনেকের স্মরণে থাকতে পারে। সেদিনই সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হলো। রোস্টার অনুযায়ী কর্মস্থলে রাতের দায়িত্ব পালন করছিলেন সোহানূর। কিন্তু রাতে খাওয়ার সময় হাসপাতালের ক্যানটিন পেলেন বন্ধ। বাইরে থেকে আনিয়ে নেবেন, সে উপায়ও নেই তখন।

তাঁর মনে হলো এমন বিপদে নিশ্চয়ই অনেক কর্তব্যরত চিকিৎসকও আছেন, যাঁদের হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা খাবারেও চলছে না, পারছেন না আগের মতো পাঠাও-উবারের মতো অনলাইন সেবা ব্যবহার করে খাবার আনিয়ে নিতে। সোহানূর বলছিলেন, ‘সিদ্ধান্তটা তখনই নিয়ে ফেলি। কয়েকজনের খাবারের ব্যবস্থা করব আমরা। কাজের ফাঁকে নিজেরাই রান্না করে পৌঁছে দেব। ভাবনাটি নিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করি, আমার ফেসবুক প্রোফাইলে, চিকিৎসকদের বিভিন্ন গ্রুপেও জানিয়ে দিই সে কথা।’

সেই প্রচেষ্টার কথা অনেকের ভালো লাগে। সমমনা চিকিৎসকেরা তাঁকে সহায়তা করতে এগিয়ে আসেন। আগ্রহীদের নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবেই শুরু করেন কাজটি। কেউ রান্না করেন পাঁচজনের খাবার, কেউবা সাতজনের। এ নিয়েই ব্যক্তিগত বাহনে ২৭ মার্চ রাতে খাবার দিতে বের হয়ে যান তাঁরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, গ্রিনলাইফ হাসপাতালসহ বেশ কিছু হাসপাতালে চিকিৎসকদের খাবার সরবরাহ করলেন।

সোহানূর বললেন, ‘দিন কয়েক পর উদ্যোগের নাম দিলাম—গ্রুপ অব ডক্টরস। আমাদের উদ্যোগটা কোনো খাবার সরবরাহ সেবা নয়। প্রতিটি খাবারে মিশে থাকে দায়িত্বরত একজন চিকিৎসকের জন্য আরেকজন চিকিৎসকের শ্রম, ভালোবাসা ও স্নেহ।’

বর্তমানে তাঁরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের কাছে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। কেউ দুপুরের খাবার নিতে চাইলে সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে এবং রাতের খাবারের জন্য বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে নির্দিষ্ট নম্বরে জানাতে হয়। ডা. সোহানূর বলেন, ‘খাবারের জন্য আমরা কোনো মূল্য নিচ্ছি না। তবে কেউ চাইলে প্রতি প্যাকেট খাবারের জন্য ৮০ টাকা বা এর বেশি অনুদান দিতে পারেন।’

গ্রুপ অব ডক্টরসের এই উদ্যোগ থেকে প্রায়ই খাবার নেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ফাহমিদ উজ্জামান। তিনি বলেন, ‘সোহান আমার পরিচিত। ওদের উদ্যোগের শুরু থেকেই আমি জানি। ওদের উদ্যোগটা প্রশংসনীয়।’

২১ এপ্রিল পর্যন্ত ২ হাজার ২০০ জনের বেশি চিকিৎসকের কাছে তাঁরা খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। সামনে পবিত্র রমজান মাস। ইফতারি নিয়েও চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশে থাকতে চায় গ্রুপ অব ডক্টরস।