মনের বাক্স

করোনাময় ভালোবাসা

করোনার এই সময়ে অনেক মিস করছি তোকে। জানি না কবে তোর সঙ্গে আমার দেখা হবে। তোকে দেখার জন্য আমি ব্যাকুল হয়ে গেছি। এ বছর বৈশাখ এসেছে করোনাভাইরাসের মধ্যে। তাই এবার তোর সঙ্গে ঘুরতে পারিনি। তোকে অনেক ভালোবাসি রে। তুই ভালো থাকিস, সাবধানে থাকিস।

রানা, রংপুর।

বন্ধু আমার সেলিম

আজকাল তোকে খুব মিস করছি। এই করোনার সময় তোর ও আমার মাঝে যে দূরত্বটা তা যেন মনকে আরও কাছে নিয়ে

এসেছে। তুই যখন ভাত খেয়ে উঠতি তোর পেট ভরেছে কি না, বোঝা যেত তোর বিস্কুট খাওয়া দেখে। আমার বন্ধু ডিম খায় না।

 একেকটা অমলেট, মামলেট, সেদ্ধ বা পোচ খেয়ে বলে, আমি কি ডিম খেয়েছি! ভালো থাকিস বন্ধু আমার। ভালো থাকিস দূরে দূরে। যদি মনে পড়ে আমায় দোয়া করিস মনে মনে।

আদি, বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।

করোনাকালীন পত্রসাহিত্য

প্রিয়তমা, শুভেচ্ছা নিয়ো। অনেক দিন পর লিখলাম। ভালোবাসা থেকে শুভ পরিণয়। সন্তান, সংসার, চাকরি, সমাজকর্ম সবকিছু নিয়ে আমাদের পথচলা। এখন পত্রলেখার দিন নয়। করোনার ভয়াল থাবা আর লকডাউনে মানবতা আজ ভূলুণ্ঠিত। বিশ্বে লাশের সারি বেড়েই চলেছে।

ধন্যবাদ করোনাকে। কেননা মানুষকে সে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। বিশ্বনেতারা বিলিয়ন ডলার খরচ করে মারণাস্ত্র তৈরি করেন। এসবের কী দরকার ছিল? সবই তো আজ অসহায়। করোনায় তোমাকে বেশ কাছে পেলাম। সবাই নিজের পরিবারকে প্রয়োজনীয় সময় দিল। মনে করো না ভালোবাসা ম্লান হয়েছে। তা আরও বাড়ছে। রবি ঠাকুরের মতো বলতে হয়, ‘রাতের সব তারাই আছে দিনের আলোর গভীরে।’ এসো আমরা সবাই নজরুলের মতো মানবতার গান গাই। দরিদ্র মানুষকে পারলে সাহায্য করি।

তোমার শুভকামনায় ও করোনামুক্ত বাংলাদেশের আশায়।

তারিকুল, জামালপুর।

আজীবন ভালো থাকো প্রিয়

অব্যক্ত কথাগুলোকে শতসহস্র শব্দে বুনে ফেলেছি। এবার শুধু তোমার ঠিকানার অপেক্ষা। এটাও সম্ভবত অজানা নয়, তবে ঠিক যেন সাহস করে উঠতে পারছি না। মনের ডাকঘরে রোজ নতুন করে লেখা চিঠিগুলো জমা হচ্ছে। জানি তোমার মনের চমৎকার সেই ডাকঘরকে অনেক আগেই পরিত্যক্ত বলে ঘোষণা করেছ। হিংসা হয়, বড্ড হিংসা হয় সেই প্রেরককে, যার চিঠিখানা তুমি সাদরে গ্রহণ করেছিলে। মাঝে মাঝে ভাবি, চিঠিখানা এবার তোমায় পাঠিয়েই দেব। হয়তো খুব বাজেভাবে সেটাকে তুমি ছুড়ে ফেলে দেবে।

তবে বিশ্বাস করো, আমি বিন্দুমাত্র অভিমান করব না, কেননা, যেখানে অধিকার নেই সেখানে অভিমান যে বড়ই হাস্যকর।

রিজওয়ান আলাভী, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর।

বেঁচে থাকার স্নিগ্ধ আলো

শ্রাবণের অন্ধকার মেঘের মতো অচেনা গন্তব্যে পাড়ি দিতে ইচ্ছে aকরে। তাই বলে মনে করো না এ হৃদয় নিঃস্ব হয়ে গেছে। তাহলে মানুষের সমুদ্রে সম্পূর্ণ নিঃসঙ্গ একজনের কবিতা রচনা করব কীভাবে? তাই এ ব্যাকুল হৃদয় নিয়ে এখনো টিকে আছি, আমার ছোট্ট ডিঙি নিয়ে স্রোতের উত্তাল ঢেউয়ের ছন্দে। খোলা আকাশের দিকে যখন তাকাই, দেখতে পাই সন্ধ্যাতারার মধ্যে তোমার মাধুর্যময় প্রতিফলন।

মনে হয়, এ ভয়াবহ উত্তাল স্রোতের মধ্যে প্রকৃতি আমাকে বেঁচে থাকার স্নিগ্ধ আলো দেখাচ্ছে।

ইশরাক, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা।

তোমার ফেরার অপেক্ষায়

তুজু

আজ ৬ মাস ১২ দিন হলো আামাদের দেখা হয় না। তুমি করতেও চাওনি, আমিও জোর করিনি। আর দেখা হবে কি না সেটাও জানি না। তবু অপেক্ষায় আছি। তোমার ফেরার। তোমার একটা মেসেজের জন্য সারা দিন বসে থাকি কোনো মেসেজ আসে না...।

তোমার রাগ কমে গেলে ফিরে এসো প্লিজ।,

শ্রেয়া, ঠিকানা অজানা থাক।

লেখা পাঠানোর ঠিকানা

অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। ই-মেইল: [email protected], ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’