আমাদের কুইকুই

সেদিন আমার নানা হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। নানা বাসায় ফিরে এলে দেখি, তাঁর হাতে ছোট্ট একটা পাখি! নানা নাকি পাখির ছানাটি কুড়িয়ে পেয়েছেন, তাই ওকে বাসায় নিয়ে এসেছেন। বাচ্চা পাখিটা নাকি ভূবনচিল। ওকে পেয়ে আমরা তো খুব খুশি হলাম। ওর নাম রেখে দিলাম কুইকুই। কারণ, খাবার দিলে ও ‘কুইইই’ করে ডাকে।

কুইকুই তো একেবারে বাচ্চা পাখি, তাই ওকে আমরা একটা কাগজের বাক্সের বাসা বানিয়ে দিলাম। চারপাশে টবে লাগানো গাছও রেখে দিলাম। ওকে আমার মা ছোট মাছ আর মুরগি খাওয়াতে লাগল। কুইকুই সেসব গাপুসগুপুস করে খেয়ে বেড়েও উঠতে লাগল। ওর গায়ের রং কালো-বাদামি আর হলুদের মিশেল। ওর ঠোঁট খুব ধারালো আর ওর নখগুলোও। ও সন্ধ্যায় ঘুমায়, ওঠে সেই সাতসকালে। তবে কুইকুই এখন আর আমাদের সঙ্গে থাকে না। ও যখন একটু বড় হলো, তখন ওকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

কেজি টু, অক্সফোর্ড স্কুল, ঢাকা