কার পায়ের শব্দ?

আঁকা: নাজিয়া রহমান    প্রথম শ্রেণি, নতুনকুঁড়ি নার্সারি স্কুল, ময়মনসিংহ
আঁকা: নাজিয়া রহমান প্রথম শ্রেণি, নতুনকুঁড়ি নার্সারি স্কুল, ময়মনসিংহ

দুপুরে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ ধড়মড় করে উঠে দেখি, বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে, অন্ধকার হয়ে গেছে। কয়টা বাজল? আর সবাই কোথায়?

মুখে-চোখে জল দিয়ে আবার রুমে এলাম, কাউকে দেখতে পেলাম না। ঘুম ঘুম চোখে পশ্চিম দিকের জানালার পাশের চেয়ারটায় বসলাম। অঝোরে বৃষ্টি ঝরছে। বৃষ্টি দেখছি, ভালোই লাগছে। কিন্তু কেমন যেন অদ্ভুত। ঘড়ি ছয়বার ঢং ঢং করল। 

মাকে ডাকলাম, দিদিকে ডাকলাম। সাড়া নেই! কী হলো? ঘুমিয়ে পড়েছে নাকি? ডাকলাম না আর। চা হলে মন্দ হতো না, সঙ্গে চানাচুর-মুড়ি। দারুণ জমত। বৃষ্টি দেখছি, খেয়াল নেই। হঠাৎ পড়ার টেবিলটায় দেখি, ধোঁয়া ওঠা চা আর চানাচুর-মুড়ি! কে দিল এসব? ভাবলাম, মা বা দিদি দিয়ে গেছে, টের পাইনি। চায়ে চুমুক দিলাম, ভালোই বানিয়েছে। বৃষ্টির হালকা ছাট জানালার খোলা অংশটুকু দিয়ে আসছে, কী যে দারুণ লাগছে। 

মাথাটা এখন কাজ করছে। তবে এবার কেমন ছমছম করে উঠল সারা শরীর। আলো নেই কোথাও। সুইচ টিপলাম, কিন্তু জ্বলল না! বুকটা ধক করে উঠল। কে যেন হেঁটে গেল! গলা শুকিয়ে গেছে, ঢোঁক গিলে বললাম, ‘কে? কে ওখানে? কে?’

কোনো উত্তর এল না। দূরে কেমন একটা গোঙানিমতো শব্দ করছে কেউ! দৌড়ে বিছানায় উঠে কাঁথামুড়ি দিলাম, ভয়ে থরথর করে কাঁপছি। কার পায়ের শব্দ? কে এল? গলাটা আরও শুকিয়ে গেল। আমি আর সজাগ থাকতে পারলাম না, জ্ঞান হারালাম…।

অপূর্ব মজুমদার

অষ্টম শ্রেণি, খুলনা জিলা স্কুল, খুলনা